হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ১৪
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ০৫ মে, ২০১৪, ১১:৩৭:২৭ সকাল
ব্যাখ্যা ঃ ৭
বর্তমানে উপরোক্ত গণমাধ্যমে ইসলামের নিদর্শন নিয়ে হাসি তামাশা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। খুনি, দাঙ্গাবাজ, সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহী চরিত্রে পায়জামা-পাঞ্জাবী ও দাড়ি-টুপি চরিত্রধারীদের উপস্থাপন করা হয়। যা স্পষ্টত ইসলাম ও মুসলমানদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া আর কিছুই নয়। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এমন আচরণ কোনভাবেই চলতে দেয়া যায় না এবং এটা সুস্থ চিন্তার মত প্রকাশও হতে পারে না। এর কুফল বর্তমান সমাজে পড়তে শুরু করেছে। কথিত শাহবাগীরা দাড়ি টুপি ধারী বয়োবৃদ্ধ মুসলমান ও ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি যেভাবে হামলা করছে তা অমুসলিম দেশেও সচরাচর দেখা যায় না। আমাদের এ দাবীর যৌক্তিকতাটুকুও বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্যাখ্যা ঃ ৮
বর্তমান রাজনৈতিক কারণে মসজিদ মাদরাসায় অনাকাঙ্খিত বিভিন্ন ধরণের হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জুমআর দিন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের বিভিন্ন গেট বন্ধ রাখা, গুলিবর্ষণ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, তল্লাশির নামে হয়রানি, বুট জুতা নিয়ে পুলিশের মসজিদে প্রবেশ সহ বিভিন্ন রকমের অবমাননা ও মুসল্লিদের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় ওয়াজ ও তাফসীর মাহফিলে বাধাদান, মাইক খুলে নেয়া ও অনুমতি না দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। ধর্ম কর্ম পালনে এবং মসজিদে কোন রকমের প্রতিবন্ধকতা তৈরি বা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে চাপিয়ে দেয়া ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৮ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
আপনার যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে ছদ্মনাম পরিত্যাগ করে আসল নামে ব্লগে আসুন।
আমার আগের পোষ্টগুেলোতে আবেগের বশে ইসলাম সম্পর্কে যে ধরণের মন্তব্য করেছ তা ঠিক হয়নি। কেননা তুমি ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানো? যদি জানতে ইচ্ছে হয় ১০০ বার প্রশ্ন করে জানতে পারো। কিন্তু না জেনে চট করে একটা বাজে বা আক্রমনাত্মক মন্তব্য করা ঠিক নয়। আমি নিশ্চিত যে, তুমি তোমার ধর্মীয় গ্রন্থই ঠিক মতো পড়নি এখনও। কাজেই বেশি বেশি পড়, জানো। জানো আসল সত্য কি? পড় এবং নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর জানতে চেষ্টা করো। দেখো তোমার বিবেক কী জবাব দেয়? যদি সেখান থেকে কোনো উত্তর না পাও আমার কাছে নিঃসংকোচে জিজ্ঞেস করতে পারো। আমি সাধ্য মতো চেষ্টা করবো তোমার তেষ্টা মেটাতে। আমার জানা না থাকলে আমি জিনে নিয়ে তোমাকে জানাবো - কথা দিলাম।
আর তোমার বাসায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। যদি কখনো বি.বাড়িয়া যাবার সুযোগ পাই, চেষ্টা করবো সাক্ষাৎ করতে।
তোমার কথাগুলো অনেকটা পরষ্পর বিরোধী। নিজে বুঝছ যে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখা ভালো আবার বলছ, বিশ্বাস রেখে কোনো লাভ হয়নি। সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। কাজেই সব হতাশাকে ঝেরে ফেলো।
বেশি বেশি করে পড়। তোমার চোখের সামনে থেকে অনেক পর্দা খুলে যাবে। জানতে পারবে অনেক কিছুই।
সব মানুষকে ভালোবাসতে শিখো তবে সাবধান কারো কাছে থেকে বিনিময়ে প্রতিদান কিছু প্রত্যাশা করবে না। তাহলে জীবনে কখনো কোনো কষ্ট পাবে না। অন্যদিকে স্রষ্টাও যখন দেখবেন যে তুমি নিঃস্বার্থভাবে তার সৃষ্টিকে ভালোবাসছ তখন তিনিও তোমার প্রতি অনুগ্রহ করবেন।
আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করো না। তারা যদি তোমাকে ভুল বুঝেন তাহলে তাদের সাথে কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি করার প্রয়োজন নেই। ঠান্ডা মাথায় তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করো, যদি না বুঝে তাহলে অপেক্ষা করো।
আমাকে যখন বড় ভাই হিসেবে জেনেছ, তোমার কষ্টের কথা নিঃসংকোচে আমার সাথে শেয়ার করতে পারো। আমি সাধ্য মতো তোমাকে উপদেশ দিতে চেস্টা করব যেন তুমি সব কষ্টকে জয় করে নিজের পায়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে দাঁড়াতে পারো।
দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়?
মন্তব্য করতে লগইন করুন