হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ১২
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ০২ মে, ২০১৪, ১০:০৩:২৬ রাত
ব্যাখ্যা ঃ ৫
ত্যাজ্য সম্পত্তিতে সমঅধিকারের আইনসহ নারীনীতি পবিত্র কুরআন সুন্নাহ বিরোধী ধারাগুলোই আমরা সংশোধনের দাবী করছি। এছাড়া জাতিসংঘ কর্তৃক বিতর্কিত সিডো সনদ বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। এ সিডো সনদের বিরুদ্ধে খৃষ্টানদের ধর্মীয় নেতা পোপ ভ্যাটিক্যানসহ অনেক মুসলিম ও খৃষ্টান দেশ আপত্তি জানিয়েছে। এ সিডো সনদ কার্যকর হলে পারিবারিক ব্যবস্থা বলে কিছু থাকবে না। এ বিতর্কিত সনদে বিয়ে বহির্ভূত অবাধ যৌনাচারের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যাতে সন্তানের পিতৃপরিচয় বিলীন হয়ে যাবে। আমরা নারী সমাজকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসলাম সর্বোত্তম উপায়ে নারীদের মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার পক্ষে। আর বর্তমানের নাস্তিক্যবাদীরা নারীদেরকে কেবল অলংকারীক ও ভোগ্যপণ্যরূপেই বিবেচনা করে।
অন্যদিকে সরকার ঘোষিত শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে। এখানে ধর্মশিক্ষা রাখা হলেও ছাত্র/ছাত্রীদের মন ও মননে ধর্মহীন করার জন্য কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। চলতি ২০১৩ সালের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই সমূহে ইসলামের যে অপব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে তা চরম অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া কোমলমতি ছেলে, মেয়ে, শিশুদেরকে ক্লাসে একসাথে বসিয়ে যেভাবে যৌন শিক্ষা চালু করা হয়েছে. তা এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নৈতিকতা ও সুস্থ সামাজিক অনুশাসনকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মানুষকে যাবতীয় পশুপ্রবৃত্তি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অন্যায় অপরাধ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে ধর্ম শিক্ষা বা ধর্মীয় অনুভূতির বিকল্প নাই। এ কারণে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ থেকেই আমরা দাবী জানিয়ে আসছি যে, শিক্ষার সকল স্তরে সঠিক ধর্ম শিক্ষাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। ইসলাম সব সময় অন্যায়, অবিচার, ঘুষ, দূর্নীতি, মদ, জুয়া, মিথ্যা, খুন, ধর্ষণ, মারামারি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখে। সুতরাং, সুস্থ মানসিকতাপূর্ণ আদর্শ নাগরিক গঠনে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প কিছু হতে পারে না।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১২০৩ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটাই সত্য এবং এরই মাধ্যমে আমাদের মুক্তি ।
আপনি ব্যক্তিগতভাবে কী সমর্থন করেন আর না করেন তা দিয়ে কিন্তু ইসলাম চলবে না। ইসলাম কারো মনগড়া সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। কুরআনের ফায়সালা আল্লাহর তরফ থেকে আগত। আপনার লেখা শেষ বাক্যটি থেকে মনে হচ্ছে আপনি অমুসলিম। আপনি মুসলিম-অমুসলিম যাই হোন না কেন আপনাকে আঘাত দেবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও আমার নেই। তবে আপনি যদি অমুসলিম হয়ে থাকেন তবে ইসলাম সম্পর্কে কোনো রকম মন্তব্য করা থেকে আপনার বিরত থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
ইসলাম শুধু নারীকে নয় বরং নারীর আগে পুরুষকে দৃষ্টির হেফাজত করতে বলেছে। আপনি সব লেখাগুলি পড়ুন এবং সাথেই থাকুন আশা করি ভুল কেটে যাবে।
বাবা মারা যাবার আগে বারবার আমার গলা পেঁচিয়ে ধরছিল আর কী যেন বলতে চাইছিল। কিন্তু বলতে পারেনি।
এখনও মাঝে মাঝে এসব মনে হলেই নষ্টালজিয়ার ভুগি। একা একাই কাঁদি। এটাই আমার আবেগ, আমার নিজের মতো করে যার প্রকাশ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন