হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ১১
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ০২ মে, ২০১৪, ০৪:৩৫:৫১ বিকাল
ব্যাখ্যা : ৪
তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাস্তিক্যবাদী ব্লগাররা শুধু আল্লাহ, রাসুল (সাঃ), ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেই থামেনি সাথে সাথে আবহমান বাংলার রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসন ও সংস্কৃতির উপর ও আঘাত করে অনেক কর্মকান্ড ইতিমধ্যে করেছে। বিবাহ বহির্ভূত নারী পুরুষের দৃষ্টিকটূ বিচরণ ও রাস্তায় একসঙ্গে এমনকি একই তাঁবুতে অবস্থান করে রাত্রি যাপনের মতো অনৈসলামিক, অনৈতিক, অসামাজিক ও এদেশের আবহমান কৃষ্টিকালচার সংস্কৃতি বিরোধী কাজ প্রকাশ্যে করছে শাহবাগে। ধর্মীয় অনুভূতি ছাড়াও যা পারিবারিক, সামাজিক এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক দৃষ্টিতেও কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
শাহবাগে যে কালচারের চর্চা চলেছে ও চলছে, তা দেশে চালু হলে নারীদের নিরাপত্তা সর্বক্ষেত্রে বিঘ্নিত হবে। দেশের নারী সমাজকে ইভটিজিং, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানী থেকে বাঁচিয়ে রেখে সর্বোপরি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই উপরোক্ত কর্মকান্ড বন্ধ করার দাবী জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। ইসলাম নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং যৌন হয়রানী থেকে বেঁচে থাকার জন্য হিজাব প্রথা বাধ্যতামূলক করেছে এবং পুরুষদেরকেও বৈধ সম্পর্কের বাহিরে নারীদের সাথে দৃষ্টি অবনত রেখে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলে চমৎকার ভারসাম্য রক্ষা করেছে। কাজেই হিজাব পালন করে অথবা যৌন উদ্দীপনা তৈরি করে না এমন শোভনীয় পোশাক পরে নারীরা নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে বা ঘর থেকে বের হতে কোন বাধা নেই। ইসলাম নারীর নিরাপত্তার দিকটা কঠোর ভাবে দেখে কেবল সুযোগসন্ধানীরাই এটাকে নারী অবদমন বলে প্রচার চালায়। আমাদের কথা পরিষ্কার যে, হিজাব বা শালীনতার সাথে নারীদের নিরাপদ পথচলাচল, শিক্ষার্জন ও কর্মক্ষেত্রে যেতে কোন বাধা নেই। উদাহরণত : নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য আলাদা বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ থাকতে পারলে আলাদা কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে আপত্তি তোলার যুক্তি থাকতে পারে না।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
৯০৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সহমত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন