হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ৭
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২৬ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০৬:২০ দুপুর
৫। নারীনীতি ও শিক্ষানীতির ইসলাম বিরোধী ধারা ও বিষয় সমূহ বিলুপ্ত করতে হবে এবং শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক
স্তর পর্যন্ত ইসলামের মৌলিক শিক্ষা মুসলিম ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৬। ভাষ্কর্যের নামে মূর্তিস্থাপন, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলনের নামে শিরিকী সংস্কৃতিসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৭। রেডিও টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমে দাড়ি টুপি ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।
৮। জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
৯। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখন্ডতা রক্ষার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ঈমান ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিও ও খৃষ্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
১০। কাদিয়ানিদের সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
১১। রাসুল প্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-উলামা, মাদরাসার ছাত্র, মসজিদের ইমাম, খতিব ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে।
১২। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল আলেম উলামা, মাদরাসা ছাত্র, ইমাম, খতিব ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দৃষ্কৃতিকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
১৩। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সমূহের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১২৮৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমনের এই সকল দাবী তখন কামে আইসব, যদি সরকার মুসলমান হইত। এখন সরকার হইল কাফের তার কাছে এই দাবীর কি দাম আছে? তারা হেফাতের এই দাবী শুইনা হাসাহাসি করে, বেতমিজি করে, মাতলামী করে, চুলকানিতে লুটাইয়া যায়।
বিশেষ করে আপনি যখন জানবেন যে আপনার এক ভাই গাফেল হবার কারণে আগুনে পুড়তে যাচ্ছে তখন আপনার দায়িত্ব হলো তাকে হেদায়েতের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। হেদায়েত দেয়া না দেয়া তো আল্লাহর ইচ্ছা। চলুন আমরা সকলে সে চেষ্টা শুরু করি।
যে সত্যের পথ চায়,
সত্য পথকে বিশ্বাস করে,
সত্য মানতে চায়,
তবে তার মত করে মানতে চায়, তারে কয় গাফেল। দেখেন নাই আবুল হাব, আবুল জেহেল আল্লাহরে মাইনত, কুনদিন আল্লারে গালি দিত না। তারা বইলত আমরা যেইভাবে আল্লাহরে ডাকি হেই টাই ঠিক পথ।
আমামীলীগ তো গাফেল না, হেদের মত বদমাশ আল্লাহর দুষমন জমিনে আরেক টা নাই। আমনে বিশ্বাস না কইরলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুর্তির সামনে দাড়াইয়া এই সকল গাফেল বেয়াদবদের একবার আল্লাহর দিকে ডাক দিয়া দেহেন?
তখন বুইজবেন গাফেল কেডা আর দ্বীনের দাওয়াত কারে কয়?
মন্তব্য করতে লগইন করুন