জনসচেতনতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৪৫:৩৭ দুপুর
আমাদের মতো এত ভেজাল খাবার হজম করার মতো ক্ষমতা মনে হয় পৃথিবীতে কম জাতিরই আছে। আমাদের দেশে হেন খাবার নেই যেখানে ভেজাল দেয়া হয় না।
আজ থেকে কয়েক বছর আগে ম্যাজিষ্ট্রেট রোকনুদ্দৌলা ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে বেশ নাম ডাক করেছিলেন। তারপর কোনো এক অজানা (!) নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয় তাকে সম্ভবত কোনো এক অপরাধে ফাঁসানোও হয়েছিল।
যাহোক, যে প্রসঙ্গে আজকে এ লেখার অবতারণা। এবার বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ উঠেছে। ৩ জাতের তরমুজই পাও্য়া যাচ্ছে প্রচুর। (১) ছোট সাইজের একদম নীল বডি কালার, যা অনেক আগে পাওয়া যেত।
(২) চক্রা-বক্রা ২ রংয়ের বডি কালার, যেটাকে কেউ কেউ বাংলালিংক তরমুজ বলছেন। (৩) হালকা সবুজ বডি কালার, যা প্রতিবছরই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। শেষোক্ত ২টি জাতের সাইজ বেশ বড় হয়ে থাকে।
এবার আশ্চর্যজনকভাবে বাজারে দোকানে কেটে রাখা তরমুজ লাল টকটকে দেখা যাচ্ছে। বাস্তবেও বেশ লাল রংয়ের তরমুজ এবার পাওয়া যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এগুলো কী বাস্তবেই লাল না কি কোনো কেমিক্যাল দিয়ে লাল বানানো হচ্ছে বেশি মুনাফা লাভের আশায়। কারণ এত বেশি লাল হবার কথা নয়, অন্তত আমাদের অভিজ্ঞতা তা-ই বলে।
এ প্রসঙ্গে কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করছি আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে।
(১) গত ৭/৮ দিন আগে আমার এক কলিগ দুপুরে বাসা থেকে লাঞ্চ সেরে এসে গল্প করছিলেন, দুপুরের খাওয়া শেষে প্লেটে করে তরমুজ খাচ্ছিলেন। খাওয়া শেষে প্লেটে যে রস অবশিষ্ট ছিল তার মধ্যে তিনি পাউডার জাতীয় কিছু ভাসতে দেখেন। অর্থাৎ, যে রসটা স্বচ্ছ হবার কথা ছিল সেখানে রসের উপরে কী যেন ভাসছিল। সেটা কী হবার কথা?
(২) গত ৩ দিন আগে আমাদের কোম্পানীর চেয়ারম্যান স্যার গল্প করছিলেন, তিনি প্রতি মৌসুমেই প্রতি দিন ২/৩ টি করে তরমুজ খান। এবারও তাই খাচ্ছিলেন। সেদিন খাবার কিছুক্ষণ পর ওয়াশ রুমে ওজু করতে গিয়ে গ্লাসে দেখতে পান তাঁর দাঁতগুলি সব পান খাওয়া দাঁতের মতো লাল টকটকে। তিনি কিছুটা ভড়কে গিয়েছিলেন। আসলে কী তা হবার কথা?
(৩) গতরাতে আমার এক সহপাঠীকে এ প্রসঙ্গে গল্প করতেই তিনি জানালেন, পরশুদিন তিনি বেশ কিছু তরমুজ খেয়েছিলেন। প্রচুর গরম হবার কারণে বেশ আয়েশ করেই তিনি তরমুজ খেয়েছিলেন। এরপর ওয়াশ রুমে টয়লেট করতে গেলে পায়খানা লাল টকটকে রংয়ের দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। পরক্ষণেই অবাক হন এ ভেবে যে, ব্লাড ডিসেন্ট্রি হবার মতো কোনো কারণ ঘটেনি কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না এমন হলো কেনো? কাল রাতে আমার কাছে প্রথম ২টি ঘটনা জানার পর তিনি নিশ্চিত হলেন যে, আসলে কী ঘটেছিল।
(৪) সেদিন পেপারে দেখলাম, সম্ভবত কুষ্টিয়াতে তরমুজ খেয়ে ১৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এরমধ্যে আবার ২ জন মারা গেছেন।
উল্লেখিত ঘটনাগুলি আমাদের জন্য সত্যিই আতংকের বিষয়। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসলেই কী এ বছর তরমুজে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় কোনো কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে? কারা করছে এ জাতীয় নোংরা কাজ? এসব দেখার দায়িত্ব কার? যারা এসব জঘন্য কাজের সাথে জড়িত কবে তাদের বোধদয় ঘটবে? দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য কে কার ক্ষতি করছে? এদের কী কোনো জবাব দিতে হবে না?
ক্ষমতার জোরে দুনিয়াতে পার পেয়ে গেলেও আখেরাতে এদের মুক্তি মিলবে কীভাবে? কিয়ামতের ময়দানে আ্ল্লাহর সামনে কী জবাব দেবার জন্য দাঁড়াতে হবে না?
[জনসচেতনতামূলক এ লেখাটি আপনি অনুগ্রহ করে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে। আপনার ভাই-বোনকে জীবনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা আপনার নৈতিক দায়িত্ব। অনুগ্রহ করে সকলকে সচেতন করে তুলুন।]
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৮ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
3,000 bottles of fake Zamzam water seized, 29 June 2013
Ordinary water sold as Zamzam in Makkah, 15 June 2001
Fake Zamzam water sale thriving along highways, 9 May 2011
আশাকরি মডারেটর এটাকে সুনজরে রাখবে।
কিন্তু কোরাণ, হাদীস, আখেরাতের ভয় ভীতি কথামালা জলাঞ্জালি দিয়ে পশ্চিম ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, জাপান অঞ্চলের মানুষ নিজ উদ্যগেই ভেজালকে না বলে দিয়েছে।
আর কোরআন, হাদীসের শিক্ষা কী বলে?
কুরআন, হাদীসের কথাগুলো কী আপনার আমার ভালোর জন্য না কি ক্ষতির জন্য?
কোরান হাদীসে খোলামেলা করেই অসহায়, অবলা ক্রীতদাসী, যুদ্ধবন্ধী নারী ধর্ষনের(যৌনাচার) কথা বলা হয়েছে। এটি তো কোন যুগেই কারো জন্যই ভাল হতে পারে না, নয় কি?
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭: আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন: এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন এবং বললেন: আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০: ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল। মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
কোরাণ ২৩-৫,৬, ;
৫। এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
৬। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন