হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ৩
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ১৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:৪৫:০২ দুপুর
দল, মত নির্বিশেষে সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মাঝে এক ধরণের ক্ষোভ শুরু হয়। কেউই আল্লাহ, রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে এ ধরণের কার্যকলাপ বরদাশ্ত করতে পারছিলেন না। সকলেই তাই এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিবাদে অংশ নিবার মতো শক্ত প্লাটফর্ম কামনা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সময়ের প্রয়োজনে জাতির সামনে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদীন, লক্ষাধিক আলেমের উস্তাদ, আলেমকুলের শিরোমণি শাইখুল আরব ওয়াল আযম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী (রঃ) এর সুযোগ্য খলিফা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম উস্তাদ, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) চেয়ারম্যান, ৯৩ বছর বয়সী পীরে কামেল শাইখুল হাদীস মাওলানা আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দাঃবাঃ) হুজুর এবং তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় হেফাজতে ইসলাম। তিনি প্রথমে জাতির উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি দিয়ে মানুষের ঈমানকে জাগিয়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর নেতৃত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচহাজার আলেমের উপস্থিতিতে গৃহীত হয় মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার কবচ হিসেবে ১৩ দফা কর্মসূচি সম্বলিত আন্দোলন - হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
মূলত ইসলাম এবং ইসলামী আকিদাকে হেফাজতের উদ্দেশ্যেই এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আল্লামা শফী হুজুরের ঈমান, আকিদা, ইসলামী জ্ঞান ও পান্ডিত্যের ব্যাপারে এতদিন কারোই কোনো সন্দেহ ছিল না। কেউ কোনো মন্তব্যও করেননি। কিন্তু যখন তিনি এ রকম একটা আন্দোলন শুরু করলেন তখনই তাঁকে প্রতিহত করার জন্য কিছু নষ্ট মানুষেরা একত্র হয়ে তাঁর উপর কালিমা লেপন করে তাঁকে বিতর্কিত করে নিজেদের অশুভ উদ্দেশ্য সফলের হীন লক্ষ্যে নানা রকম কূট-কৌশলের আশ্রয় নিতে শুরু করল। তারা ভুলে গেল ক্ষণিকের জীবনের মোহে তারা একজন গুণী মানুষকে মূল্যায়নের পরিবর্তে তার নামে কলংক ছড়িয়ে পরকালের কোন্ কামাইটা করছে। কুরআন শরীফে আল্লাহ তা‘আলা পরিষ্কার ঘোষণা করেছেন, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের কোনো পুরুষ যেন অন্য কোনো পুরুষকে উপহাস না করে, কেননা তারা উপহাসকারীদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে; এবং কোনো নারীও যেন অন্য কোনো নারীকে উপহাস না করে, কেননা তারা উপহাসকারিণীদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যকে খোঁটা দিও না এবং একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমান আনার পর ফাসিক নাম যুক্ত হওয়া অতি গর্হিত। আর যারা এরূপ কার্যাবলী থেকে নিবৃত্ত না হয় তারাই প্রকৃত অনাচারী।” (সুরা হুজুরাত ঃ আয়াত ১১)
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১২৬৮ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার আলোচনায় অতীতটা খানিক বুঝলেও বর্তমান ও ভবিষ্যতটা মোটেও বুঝতে পারছিনা-
মেহেরবানী করে যদি এ বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা দিতেন!!
মেধা ও বাস্তব অভিজ্ঞতায় ঈর্ষণীয় যোগ্যতার অধিকারী সম্মানিত ব্লগার নজরুল ইসলাম টিপু (নিচের পোস্টে) কিছু বিশ্লেষণ করেছেন
আল্লামা সাঈদীর অপরাধ কোনভাবেই ক্ষমাযোগ্য নয়! কেননা.......
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1704/tipu1900/43218
এটাতে আপনার মন্তব্য যুক্ত হলে আমার মত অনেক পাঠকই উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ..
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/73919
শুরুতে এদের যে সব কাজগুলোর জন্য আপনি এদেরকে সমীহ করছেন , এদের প্রতি সরকারের আচরনের জন্য সিমপ্যাথী/অ্যামপ্যাথী দেখিয়েছেন, বর্তমানে তাদের কার্যকলাপ আপনাকে ধাঁধায় ফেলে দেবে ।
শফি হুজুর ৯৫ বছর বয়সে দুনিয়াতে বাচার লাইগা যেই জিহাদ শুরু করছেন। সেইটার পিছনে বড় বাতাস লাগছে। এই বয়সে তাঁর মাদ্রাসার চাকুরীটা বহুত দরকার। অকর্মা মানুষ কোন মতে একখান কাম পাইলে, সেই কামের গুষ্টি শেষ কইরবে, যে কাম দিছে তারেও ডুবাইয়া মারবে। এত গুলা পোলা পাইন ঢাকায় মইরা গেল, আর হে কিনা আমামীলীগ আমাদের বন্ধু, নাস্তিক গুলাই শত্রু। আমামীলীগ যে মুসলমান নয় হেই কথা এই বুইড়ারে কেডা বুঝাইবে।
তা হেফাজত সংশ্লিষ্ঠদের আছে কি না প্রশ্নের দেখা দিয়েছে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন