বদনজরী ঃ পর্ব - ১৭
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৯:২৫:৩৪ সকাল
ইসলামে যেভাবে পর্দার বিধান রয়েছে যদি নারী-পুরুষ উভয়েই সেভাবে পর্দা শুরু করে তবে সমাজ থেকে অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে চিরতরে এবং মানুষের দৈনন্দিন খরচও অনেক কমে যাবে। বর্তমানে মেয়েরা নিজেদেরকে অপরের সামনে সুন্দরী হিসেবে উপস'াপন করার জন্য নানা রকম প্রসাধন সামগ্রী ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করে। বাইরের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত নারীরা অপর পুরুষের সামনে নিজেকে আকর্ষণীয়া হিসেবে উপস'াপন করার জন্য যতটা সময় ও অর্থ ব্যয় করে তার এক দশমাংশও ব্যয় করে না নিজের স্বামীকে তার সৌন্দর্য দেখাবার কাজে। অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়, তবে এতটাই নগন্য যে তা ধর্তব্যের মধ্যে পরে না। আর ইসলামের দৃষ্টিতে এ কাজ সম্পূর্ণভাবেই হারাম। যারা এ জাতীয় কাজের সাথে যুক্ত থাকবে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠিন শাসি-।
এ হারাম কাজকে আমাদের পরিবার ও সমাজ থেকে উচ্ছেদ করা বর্তমানে এক প্রকার অসম্ভব কাজ। কেননা, প্রথমতঃ আমাদের মেয়েরা এসব যুক্তিকে কোনভাবেই মানতে রাজী হবে না। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় যেসব আকর্ষণীয় ও চটকদার বিজ্ঞাপন প্রতি মুহুর্তে প্রচার হচ্ছে তা আসলে সকলের বিশেষ করে আমাদের মেয়েদের মাথাটাকে নষ্ট করে ফেলেছে। পরকালে কী হবে সেটা তখন দেখা যাবে কিংবা পরকাল আদৌ আছে কী না সেটা কে জানে, এ রকম একটা ভাব অনেকের মাঝে। দ্বিতীয়তঃ বহুজাতিক কোম্পানীগুলো কোনভাবেই চাইবে না তাদের হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক মুনাফা হাত ছাড়া হোক। সে রকম কোন সম্ভাবনা দেখা দিলে তা রোধ করার জন্য প্রয়োজনে তারা যে কোন কাজ করতে প্রস'ত।
তবে বাস-বিকই সৌন্দর্য চর্চার জন্য ব্যবহৃত এসব প্রসাধন সামগ্রী চেহারাকে সাময়িক চকচকে করলেও দিনে দিনে তা ত্বকের উজ্জলতা তথা গ্লামারকে নষ্ট করে ফেলে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এবং দেশের বড় বড় সব ত্বক বিশেষজ্ঞগণ পর্যন- প্রমাণ দিয়ে বলেছেন, কোন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করা যায় না কিংবা চেহারার উজ্জলতা বাড়ানো যায় না। সাময়িক চকচক করলেও এক বার ব্যবহার করা বাদ দিলেই এর ভয়াবহ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বুঝা যায়। তারপরও কেউ এর ব্যবহার বন্ধ করে না। অথচ কোন প্রকার প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার না করেই শুধুমাত্র স্রষ্টার দেয়া মনের অফুরন- শক্তিকে কাজে লাগিয়েই চেহারাকে অনেক বেশি স'ায়ীভাবে সুন্দর করা যায়।
পর্দা ব্যবহার করার ফলে গরমের দিনে শরীর সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মির হাত রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যান্সারসহ আরো নানা উপসর্গের হাত থেকে নিরাপদ থাকা যায়। আবার শীতের দিনে পর্দা করার ফলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে ফলে শরীরে তাপের ভারসাম্য রক্ষা হয় যা অনেক প্রকার সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১০৫২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একথা বুঝলেই সব সমস্যার সমাধান নিমিষেই সম্ভব।
এদিকে এ কথাটাও যদি পালন করা যায়, পর্দা ব্যবহার করার ফলে গরমের দিনে শরীর সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মির হাত রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যান্সারসহ আরো নানা উপসর্গের হাত থেকে নিরাপদ থাকা যায়। আবার শীতের দিনে পর্দা করার ফলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে ফলে শরীরে তাপের ভারসাম্য রক্ষা হয় যা অনেক প্রকার সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তাহলেও সব সমস্যার সমাধান সহজ হয় ।
কিন্তু আজ ইলেকট্রোপ্রোটিং এর যুগে তাকি মেনে চলছি বরং খারাপটার দিকেই বেশী প্রভাবিত হচ্ছি ।
চমতকার আপনার লেখা যা অত্যন্ত যুগোপযোগী ।
চালিয়ে যান অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন