বদনজরী ঃ পর্ব - ১৩
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২০ মার্চ, ২০১৪, ০৭:০৫:৫০ সন্ধ্যা
আবার এমনও দেখা যায়, সন-ান দূরে কোথাও গিয়ে কোন অমঙ্গলে পড়লে মা'য়ের মন তা জানতে পারে। শুধু মা-ই নয় যে কেউ-ই তা জানতে পারবে তবে যেহেতু মা'র সাথে সন-ানের একটা বিশেষ ধরণের সম্পর্ক আছে তাই এক্ষেত্রে টিউনিংটা বেশি হয়।
আবার আমরা এমনও জানি যে, একজন ব্যক্তি বড় কোন সমস্যায় পড়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও কোনভাবেই সে সমস্যাকে দূর করতে পারছেন না। অবশেষে পরিচিত কারো মাধ্যমে জেনে তিনি দেখা করলেন কোন প্রকৃত সাধক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি কিছু বলার আগেই ঐ সাধক ব্যক্তিটি গর্ গর্ করে আগন'কের সব সমস্যার কথা বলে দিলেন। এমন কী, এ সমস্যা সমাধানের আশায় তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন তা-ও বলে দিলেন। এসব শুনে আগন'ক তো অবাক। যাহোক, এবার তিনি সমস্যার সমাধানও বাত্লে দিলেন। প্রশ্ন হলো তিনি কীভাবে জানলেন সব? শুধু কী সাধক ব্যক্তি বলেই? না, তা নয়। এটা সবাই জানতে পারে - এমন কী আপনিও পারবেন। তবে পার্থক্য এটুকু্ই যে তাঁর ভেতরে আল্লাহ প্রদত্ত এ ক্ষমতাকে তিনি কোনো না কোনো ভাবে চর্চার মাধ্যমে পরিশীলিত করেছেন, আর আপনি করেননি।
আসলে ব্যাপারটা কী ঘটে তা একটু আলোচনা করা যাক। যখন আগন'ক ঐ সাধক ব্যক্তিটির কাছে গিয়েছিলেন তখন মনে মনে তাঁর সমস্যাকেই তিনি চিন-া করছিলেন। তাঁর অজানে-ই তাঁর দেহ নামক মেশিন তা ট্রান্সমিট করে দেয় এবং ঐ সাধক ব্যক্তি তা রিসিভ করে নেন। ফলে আগন'ক কোন সমস্যার কথা না বলতেই তিনি তা ধরতে পেরেছিলেন।
উপরের ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, চিন-া ট্রান্সমিট হয় আবার তা রিসিভও হয় স্বয়ংক্রীয়ভাবেই, সেটা ট্রান্সমিটার কিংবা রিসিভার বুঝুক বা না বুঝুক। যেহেতু ‘‘থট ইজ এ এনার্জি”।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
৮৫৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন