বদনজরী ঃ পর্ব - ৮

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ১৯ মার্চ, ২০১৪, ০১:৪৭:৩০ দুপুর

এ জাতীয় পর্দা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর অসংখ্য হাদীস রয়েছে যা থেকে আমরা একটা পরিষ্কার ধারণা পেতে পারি। হাদীসের ব্যাপারে অনেকের অনেক রকম আপত্তি রয়েছে। যেহেতু অনেক সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি নিজের মন গড়া কথাকে হাদীসের নামে চালিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন, বলে কথিত আছে। তবে একটি ব্যাপারে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, যাঁরা হাদীস সংগ্রাহক ছিলেন তাঁদের পান্ডিত্য ছিল সমকালীন আলেম সমাজের মধ্যে এক কথায় শীর্ষে। তাঁরা তাঁদের অত্যন- কঠিন পরিশ্রম আর যুক্তির নিরীখে যাচাই বাছাই করেই তারপর হাদীসগুলিকে একত্রিত করেছেন। তাছাড়া হাদীস বর্ণনাকারীর সিল্সিলা যদি মূল পর্যন- না পৌঁছে থাকে কিংবা কোন জায়গায় কোন রকম সন্দেহ দেখা দেয় তাহলে সঠিক হবার পরেও অতিরিক্ত সতর্কতা স্বরূপ সেগুলিকে তাঁরা বর্জন করেছেন। এমনও দেখা গেছে যে, একটি হাদীস সবদিক থেকে শুদ্ধ থাকার পরও শুধুমাত্র ধারাবাহিকতার ব্যাঘাত ঘটার জন্য তাঁরা সেটিকে দূর্বল বলেছেন। কাজেই সহী হাদীস সম্পর্কে ঐসব ব্যক্তিদের ধারণা একেবারেই অমূলক। মূলতঃ এ সমস- হাদীসগুলি উপরোল্লিখিত কুরআনের আয়াতের বিস-ারিত ব্যাখ্যা, যা আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশেই রাসুল (সঃ) বলেছেন। মোট কথা, আমাদের স্রষ্টা মহান আল্লাহ-তা‘আলা চান আমরা যেন সুন্দর এবং শানি-পূর্ণভাবে ইহকালের জিন্দেগী পার করতে পারি এবং পরকালে বেহেশত্ই হয় আমাদের স'ায়ী ঠিকানা। এ লক্ষ্যে আমাদের জন্য যা মঙ্গলজনক সেটাই তিনি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মহাগ্রন' আল-কুরআন বলে যে, নারীর জন্য পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে যেন তারা সম্ভ্রান- মহিলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এটা তাদেরকে উত্যক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

শুধু তাই নয়, এমন কি খ্রীষ্টান, ইহুদীসহ অন্যান্য ধর্মেও পর্দার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যদিও খ্রীষ্টানদের মধ্যে ক্যাথলিক, প্রটেষ্ট্যান্ট, অর্থোডক্স ইত্যাদি নানা রকম গ্রুপের ফলে এবং প্রগতির বৈরি হাওয়ায় ১৯৬০ এর দশক থেকে অনেক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তারপরও তাদের অনেকে এখনও পর্দা মেনে চলে যদিও সেটা সীমিত আকারে। খ্রীষ্ট ধর্মে বলা হয়েছে, যে নারী পর্দা না করে মাথা খোলা রেখে চলাফেরা করে সে তার নিজের মাথাকে অসম্মান করে। ইহুদী ধর্মে বলা হয়েছে, শালীনতা, নম্রতা হচ্ছে এমন একটা মৌলিক বিষয় যে, আপনার বহিরাবরণ বলে দেয় যে আপনি ভেতরে কী? অর্থাৎ, আপনার ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ হলো আপনার পর্দা। এ ব্যাপারে একটা ষ্টেটমেন্ট হলো, আপনি চোখ দিয়ে আমার বহিরাবরণ যা দেখেন আমি তার চেয়েও অনেক বেশি। আপনি যদি সত্যিকারভাবে আমাকে দেখতে চান তাহলে আপনার দৃষ্টিকে অনেক গভীরে নিতে হবে। বহিঃক্রিয়া অন-রে সতর্কতা সৃষ্টি করে। এ চিন-া থেকে পর্দা করা উচিত যেন সর্বদা আমার মনে থাকে যে সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেখছেন। [ঙঁঃংরফব/ওহংরফব: অ ঋৎবংয খড়ড়শ ধঃ ঞুহরঁঃ]

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

৮৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

194757
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১২
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : এই কারণেই ভাই কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারি না। অবশ্য প্রথমবারই যা দেখার দেখে নেই।
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
145232
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : দৃষ্টির হেফাজত করুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File