হার্টের ব্লক সারাতে রিল্যাক্সজেশন

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:০১:৫৫ রাত



মানুষের জীবনে অসংখ্য জটিল রোগের একটি হলো হার্ট ব্লক। কোন কারণে যদি করনারি আর্টারীর ভেতর চর্বি জমে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশির অক্সিজেন ও নিউট্রিশন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে তখন রোগীর বুকে ব্যথা হতে পারে। এ রোগকে বলে করনারি আর্টারী ডিজিজ। সাধারণত এ রোগ নিশ্চিত হবার জন্য রোগীর এনজিওগ্রাম করা হয়। যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমে রক্ত চলাচলের রাস-া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন রোগী বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করবে। এ সময় রোগীর বমি হতে পারে, ঘাম হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং বুক ধড়ফড় করতে পারে। হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমার কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও নিউট্রিশন না পায় তবে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি শুকিয়ে যায় এবং পাম্প করতে পারে না ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

এনজিওগ্রামের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ব্লক কিংবা আংশিক ব্লক নিশ্চিত হবার পর ডাক্তার পরবর্তী করণীয় নির্ধাারণ করেন। আংশিক ব্লকের ক্ষেত্রে ডান পায়ের কুঁচকির কাছে নিড্‌ল এর মাধ্যমে আর্টারীতে রিং পরানো হয় এবং ঐ নির্দিষ্ট ব্লকের স'ানে সেট করা হয় যেন তা রক্ত চলাচলের রাস-া সরু হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। এ পদ্ধতিকে রিং পড়ানো বা এনজিওপ্লাষ্টি বলে।

আর যদি এমন হয় যে, চর্বি জমার কারণে আর্টারীর সম্পূর্ণ বা বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে ঐ আর্টারীকে পরিত্যক্ত করে পা অথবা শরীরের অন্য অংশ থেকে স্রষ্টা প্রদত্ত অতিরিক্ত রক্তনালী কেটে নিয়ে ঐ নির্দিষ্ট পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে রক্ত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস-া তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতির নাম বাইপাস সার্জারী।

বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখছি অপারেশন ছাড়াই খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরার পরিবর্তনের মাধ্যমে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব।

আমরা জানলাম আরো একটি পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে হার্টের ব্লক দূর করা যায়। বিজ্ঞান সম্মত এ পদ্ধতিতে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা শুরু হলেও আমাদের দেশে তা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে এবং বেশির ভাগ মানুষের এ ব্যাপারে কোন ধারণাই নেই। এ ব্যবস'ায় কোন অপারেশন নেই, কাজেই প্রয়োজন হয় না রোগীকে রক্ত দিবারও, আর খরচও হয় অনেক কম। এ পদ্ধতির নাম রিল্যাক্সজেশন।

আপনি হয়ত এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন যে, রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে আবার কীভাবে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব? এটা কী কোনো দিন হয় নাকি?

হ্যাঁ, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে রিল্যাক্সজেশন করে কিছু সাজেশন দিয়েই হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব। শুধু হার্টের ব্লকই নয় বরং যে কোন জটিল শারীরিক সমস্যাই রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব।

এমকিউ মিশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে যে কোন জটিল রোগ নিরাময় করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব সৈয়দ হারুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কুরবাণী ঈদের কয়েকদিন আগে তিনি ৬ দিনের একটি ষ্পেশাল রিল্যাক্সজেশন সেশন করেন বিভিন্ন ধরণের রোগীদের নিয়ে। সেখানে হার্টের ব্লকসহ আরো নানারকম জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার ও স্ট্রোক করে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া ব্যক্তিও ছিলেন।

সেশন সম্পন্ন করেছেন এমন একজন মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি হার্টে ৯০% ব্লক নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এই ব্লকের কারণে তাঁর চলাফেরায় বেশ সমস্যা হতো। সেশন সম্পন্ন করার পর ২/৩ দিন পরেই তিনি গাবতলী থেকে কুরবাণীর গরু কিনে হেঁটে ধানমন্ডিতে তাঁর বাসায় এসেছেন। কোন রকম ক্লানি- বোধ করেননি। ঐ সেশনে অংশ নেয়া এনজিও কর্মকর্তা শামীমা আফরোজ জানালেন, তিনি ১৭.৯০ ব্লাড সুগার নিয়ে এসেছিলেন। সেশন সম্পন্ন করার পর তাঁর সুগার লেভেল কমে ৬.৯০ এ দাাঁড়িয়েছে।

নাহার আবেদ একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি জানালেন, হাই ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ে এসেছিলাম। এখন ব্লাড প্রেশার আমার নিয়ন্ত্রণে। ডায়াবেটিসের জন্য আগে তিন বেলা অষুধ খেতাম এখন দুই বেলা খাচ্ছি। ক্লানি-ভাব এখন নাই। সবকিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর গৃহবধু জাহানারা বেগম জানালেন, স্ট্রোক করার পর থেকে তাঁর স্মৃতিশক্তি অনেকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোনকিছু মনে রাখতে পারতেন না। ডান হাতে কিছু ধরতে পারতেন না। ডায়াবেটিসও বেশি ছিল। ৬ দিনের সেশন করার পর এখন তিনি অনেক ভাল। ডায়াবেটিস তাঁর নিয়ন্ত্রণে। ডান হাত দিয়ে কোন কিছু ধরাই নয় বরং উঠাতেও পারছেন, এখন মনে রাখতেও পারছেন সব কিছুই। এর জন্য স্রষ্টার কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞতাও জানালেন, পাশাপাশি দোয়াও করলেন যেন এ ধরণের রোগীরা সেবা পেতে পারে।

সৈয়দ হারুন সিলভা আল্ট্রামাইন্ড কোর্সের প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি সুপারভাইজার। তিনি জানালেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরেই স্রষ্টা প্রদত্ত সেলফ হিলিং ক্ষমতা সুপ্ত অবস'ায় আছে। রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে তিনি মানুষের এই সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। এ ব্যাপারে বিস-ারিত জানতে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন লালমাটিয়ায় অবসি'ত এমকিউ মিশন অফিসে। ফোন ঃ ৯১১৩২২৯, ০১৯১৫-৪৯০৫৪৫

মানুষের জীবনে অসংখ্য জটিল রোগের একটি হলো হার্ট ব্লক। কোন কারণে যদি করনারি আর্টারীর ভেতর চর্বি জমে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশির অক্সিজেন ও নিউট্রিশন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে তখন রোগীর বুকে ব্যথা হতে পারে। এ রোগকে বলে করনারি আর্টারী ডিজিজ। সাধারণত এ রোগ নিশ্চিত হবার জন্য রোগীর এনজিওগ্রাম করা হয়। যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমে রক্ত চলাচলের রাস-া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন রোগী বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করবে। এ সময় রোগীর বমি হতে পারে, ঘাম হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং বুক ধড়ফড় করতে পারে। হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমার কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও নিউট্রিশন না পায় তবে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি শুকিয়ে যায় এবং পাম্প করতে পারে না ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

এনজিওগ্রামের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ব্লক কিংবা আংশিক ব্লক নিশ্চিত হবার পর ডাক্তার পরবর্তী করণীয় নির্ধাারণ করেন। আংশিক ব্লকের ক্ষেত্রে ডান পায়ের কুঁচকির কাছে নিড্‌ল এর মাধ্যমে আর্টারীতে রিং পরানো হয় এবং ঐ নির্দিষ্ট ব্লকের স'ানে সেট করা হয় যেন তা রক্ত চলাচলের রাস-া সরু হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। এ পদ্ধতিকে রিং পড়ানো বা এনজিওপ্লাষ্টি বলে।

আর যদি এমন হয় যে, চর্বি জমার কারণে আর্টারীর সম্পূর্ণ বা বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে ঐ আর্টারীকে পরিত্যক্ত করে পা অথবা শরীরের অন্য অংশ থেকে স্রষ্টা প্রদত্ত অতিরিক্ত রক্তনালী কেটে নিয়ে ঐ নির্দিষ্ট পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে রক্ত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস-া তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতির নাম বাইপাস সার্জারী।

বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখছি অপারেশন ছাড়াই খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরার পরিবর্তনের মাধ্যমে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব।

আমরা জানলাম আরো একটি পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে হার্টের ব্লক দূর করা যায়। বিজ্ঞান সম্মত এ পদ্ধতিতে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা শুরু হলেও আমাদের দেশে তা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে এবং বেশির ভাগ মানুষের এ ব্যাপারে কোন ধারণাই নেই। এ ব্যবস'ায় কোন অপারেশন নেই, কাজেই প্রয়োজন হয় না রোগীকে রক্ত দিবারও, আর খরচও হয় অনেক কম। এ পদ্ধতির নাম রিল্যাক্সজেশন।

আপনি হয়ত এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন যে, রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে আবার কীভাবে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব? এটা কী কোনো দিন হয় নাকি?

হ্যাঁ, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে রিল্যাক্সজেশন করে কিছু সাজেশন দিয়েই হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব। শুধু হার্টের ব্লকই নয় বরং যে কোন জটিল শারীরিক সমস্যাই রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব।

এমকিউ মিশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে যে কোন জটিল রোগ নিরাময় করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব সৈয়দ হারুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কুরবাণী ঈদের কয়েকদিন আগে তিনি ৬ দিনের একটি ষ্পেশাল রিল্যাক্সজেশন সেশন করেন বিভিন্ন ধরণের রোগীদের নিয়ে। সেখানে হার্টের ব্লকসহ আরো নানারকম জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার ও স্ট্রোক করে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া ব্যক্তিও ছিলেন।

সেশন সম্পন্ন করেছেন এমন একজন মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি হার্টে ৯০% ব্লক নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এই ব্লকের কারণে তাঁর চলাফেরায় বেশ সমস্যা হতো। সেশন সম্পন্ন করার পর ২/৩ দিন পরেই তিনি গাবতলী থেকে কুরবাণীর গরু কিনে হেঁটে ধানমন্ডিতে তাঁর বাসায় এসেছেন। কোন রকম ক্লানি- বোধ করেননি। ঐ সেশনে অংশ নেয়া এনজিও কর্মকর্তা শামীমা আফরোজ জানালেন, তিনি ১৭.৯০ ব্লাড সুগার নিয়ে এসেছিলেন। সেশন সম্পন্ন করার পর তাঁর সুগার লেভেল কমে ৬.৯০ এ দাাঁড়িয়েছে।

নাহার আবেদ একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি জানালেন, হাই ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ে এসেছিলাম। এখন ব্লাড প্রেশার আমার নিয়ন্ত্রণে। ডায়াবেটিসের জন্য আগে তিন বেলা অষুধ খেতাম এখন দুই বেলা খাচ্ছি। ক্লানি-ভাব এখন নাই। সবকিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর গৃহবধু জাহানারা বেগম জানালেন, স্ট্রোক করার পর থেকে তাঁর স্মৃতিশক্তি অনেকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোনকিছু মনে রাখতে পারতেন না। ডান হাতে কিছু ধরতে পারতেন না। ডায়াবেটিসও বেশি ছিল। ৬ দিনের সেশন করার পর এখন তিনি অনেক ভাল। ডায়াবেটিস তাঁর নিয়ন্ত্রণে। ডান হাত দিয়ে কোন কিছু ধরাই নয় বরং উঠাতেও পারছেন, এখন মনে রাখতেও পারছেন সব কিছুই। এর জন্য স্রষ্টার কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞতাও জানালেন, পাশাপাশি দোয়াও করলেন যেন এ ধরণের রোগীরা সেবা পেতে পারে।

সৈয়দ হারুন সিলভা আল্ট্রামাইন্ড কোর্সের প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি সুপারভাইজার। তিনি জানালেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরেই স্রষ্টা প্রদত্ত সেলফ হিলিং ক্ষমতা সুপ্ত অবস'ায় আছে। রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে তিনি মানুষের এই সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। এ ব্যাপারে বিস-ারিত জানতে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন লালমাটিয়ায় অবসি'ত এমকিউ মিশন অফিসে। ফোন ঃ ৯১১৩২২৯, ০১৯১৫-৪৯০৫৪৫

মানুষের জীবনে অসংখ্য জটিল রোগের একটি হলো হার্ট ব্লক। কোন কারণে যদি করনারি আর্টারীর ভেতর চর্বি জমে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশির অক্সিজেন ও নিউট্রিশন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে তখন রোগীর বুকে ব্যথা হতে পারে। এ রোগকে বলে করনারি আর্টারী ডিজিজ। সাধারণত এ রোগ নিশ্চিত হবার জন্য রোগীর এনজিওগ্রাম করা হয়। যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমে রক্ত চলাচলের রাস-া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন রোগী বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করবে। এ সময় রোগীর বমি হতে পারে, ঘাম হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং বুক ধড়ফড় করতে পারে। হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমার কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও নিউট্রিশন না পায় তবে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি শুকিয়ে যায় এবং পাম্প করতে পারে না ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

এনজিওগ্রামের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ব্লক কিংবা আংশিক ব্লক নিশ্চিত হবার পর ডাক্তার পরবর্তী করণীয় নির্ধাারণ করেন। আংশিক ব্লকের ক্ষেত্রে ডান পায়ের কুঁচকির কাছে নিড্‌ল এর মাধ্যমে আর্টারীতে রিং পরানো হয় এবং ঐ নির্দিষ্ট ব্লকের স'ানে সেট করা হয় যেন তা রক্ত চলাচলের রাস-া সরু হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। এ পদ্ধতিকে রিং পড়ানো বা এনজিওপ্লাষ্টি বলে।

আর যদি এমন হয় যে, চর্বি জমার কারণে আর্টারীর সম্পূর্ণ বা বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে ঐ আর্টারীকে পরিত্যক্ত করে পা অথবা শরীরের অন্য অংশ থেকে স্রষ্টা প্রদত্ত অতিরিক্ত রক্তনালী কেটে নিয়ে ঐ নির্দিষ্ট পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে রক্ত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস-া তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতির নাম বাইপাস সার্জারী।

বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখছি অপারেশন ছাড়াই খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরার পরিবর্তনের মাধ্যমে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব।

আমরা জানলাম আরো একটি পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে হার্টের ব্লক দূর করা যায়। বিজ্ঞান সম্মত এ পদ্ধতিতে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা শুরু হলেও আমাদের দেশে তা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে এবং বেশির ভাগ মানুষের এ ব্যাপারে কোন ধারণাই নেই। এ ব্যবস'ায় কোন অপারেশন নেই, কাজেই প্রয়োজন হয় না রোগীকে রক্ত দিবারও, আর খরচও হয় অনেক কম। এ পদ্ধতির নাম রিল্যাক্সজেশন।

আপনি হয়ত এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন যে, রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে আবার কীভাবে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব? এটা কী কোনো দিন হয় নাকি?

হ্যাঁ, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে রিল্যাক্সজেশন করে কিছু সাজেশন দিয়েই হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব। শুধু হার্টের ব্লকই নয় বরং যে কোন জটিল শারীরিক সমস্যাই রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব।

এমকিউ মিশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে যে কোন জটিল রোগ নিরাময় করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব সৈয়দ হারুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কুরবাণী ঈদের কয়েকদিন আগে তিনি ৬ দিনের একটি ষ্পেশাল রিল্যাক্সজেশন সেশন করেন বিভিন্ন ধরণের রোগীদের নিয়ে। সেখানে হার্টের ব্লকসহ আরো নানারকম জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার ও স্ট্রোক করে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া ব্যক্তিও ছিলেন।

সেশন সম্পন্ন করেছেন এমন একজন মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি হার্টে ৯০% ব্লক নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এই ব্লকের কারণে তাঁর চলাফেরায় বেশ সমস্যা হতো। সেশন সম্পন্ন করার পর ২/৩ দিন পরেই তিনি গাবতলী থেকে কুরবাণীর গরু কিনে হেঁটে ধানমন্ডিতে তাঁর বাসায় এসেছেন। কোন রকম ক্লানি- বোধ করেননি। ঐ সেশনে অংশ নেয়া এনজিও কর্মকর্তা শামীমা আফরোজ জানালেন, তিনি ১৭.৯০ ব্লাড সুগার নিয়ে এসেছিলেন। সেশন সম্পন্ন করার পর তাঁর সুগার লেভেল কমে ৬.৯০ এ দাাঁড়িয়েছে।

নাহার আবেদ একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি জানালেন, হাই ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ে এসেছিলাম। এখন ব্লাড প্রেশার আমার নিয়ন্ত্রণে। ডায়াবেটিসের জন্য আগে তিন বেলা অষুধ খেতাম এখন দুই বেলা খাচ্ছি। ক্লানি-ভাব এখন নাই। সবকিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর গৃহবধু জাহানারা বেগম জানালেন, স্ট্রোক করার পর থেকে তাঁর স্মৃতিশক্তি অনেকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোনকিছু মনে রাখতে পারতেন না। ডান হাতে কিছু ধরতে পারতেন না। ডায়াবেটিসও বেশি ছিল। ৬ দিনের সেশন করার পর এখন তিনি অনেক ভাল। ডায়াবেটিস তাঁর নিয়ন্ত্রণে। ডান হাত দিয়ে কোন কিছু ধরাই নয় বরং উঠাতেও পারছেন, এখন মনে রাখতেও পারছেন সব কিছুই। এর জন্য স্রষ্টার কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞতাও জানালেন, পাশাপাশি দোয়াও করলেন যেন এ ধরণের রোগীরা সেবা পেতে পারে।

সৈয়দ হারুন সিলভা আল্ট্রামাইন্ড কোর্সের প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি সুপারভাইজার। তিনি জানালেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরেই স্রষ্টা প্রদত্ত সেলফ হিলিং ক্ষমতা সুপ্ত অবস'ায় আছে। রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে তিনি মানুষের এই সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। এ ব্যাপারে বিস-ারিত জানতে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন লালমাটিয়ায় অবসি'ত এমকিউ মিশন অফিসে। ফোন ঃ ৯১১৩২২৯, ০১৯১৫-৪৯০৫৪৫

মানুষের জীবনে অসংখ্য জটিল রোগের একটি হলো হার্ট ব্লক। কোন কারণে যদি করনারি আর্টারীর ভেতর চর্বি জমে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশির অক্সিজেন ও নিউট্রিশন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে তখন রোগীর বুকে ব্যথা হতে পারে। এ রোগকে বলে করনারি আর্টারী ডিজিজ। সাধারণত এ রোগ নিশ্চিত হবার জন্য রোগীর এনজিওগ্রাম করা হয়। যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমে রক্ত চলাচলের রাস-া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন রোগী বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করবে। এ সময় রোগীর বমি হতে পারে, ঘাম হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং বুক ধড়ফড় করতে পারে। হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি যদি করনারি আর্টারীতে চর্বি জমার কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও নিউট্রিশন না পায় তবে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশি শুকিয়ে যায় এবং পাম্প করতে পারে না ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

এনজিওগ্রামের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ব্লক কিংবা আংশিক ব্লক নিশ্চিত হবার পর ডাক্তার পরবর্তী করণীয় নির্ধাারণ করেন। আংশিক ব্লকের ক্ষেত্রে ডান পায়ের কুঁচকির কাছে নিড্‌ল এর মাধ্যমে আর্টারীতে রিং পরানো হয় এবং ঐ নির্দিষ্ট ব্লকের স'ানে সেট করা হয় যেন তা রক্ত চলাচলের রাস-া সরু হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। এ পদ্ধতিকে রিং পড়ানো বা এনজিওপ্লাষ্টি বলে।

আর যদি এমন হয় যে, চর্বি জমার কারণে আর্টারীর সম্পূর্ণ বা বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে ঐ আর্টারীকে পরিত্যক্ত করে পা অথবা শরীরের অন্য অংশ থেকে স্রষ্টা প্রদত্ত অতিরিক্ত রক্তনালী কেটে নিয়ে ঐ নির্দিষ্ট পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে রক্ত চলাচলের জন্য একটি বিকল্প রাস-া তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতির নাম বাইপাস সার্জারী।

বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখছি অপারেশন ছাড়াই খাদ্যাভ্যাস ও চলাফেরার পরিবর্তনের মাধ্যমে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব।

আমরা জানলাম আরো একটি পদ্ধতিতে দ্রুততম সময়ে হার্টের ব্লক দূর করা যায়। বিজ্ঞান সম্মত এ পদ্ধতিতে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা শুরু হলেও আমাদের দেশে তা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে এবং বেশির ভাগ মানুষের এ ব্যাপারে কোন ধারণাই নেই। এ ব্যবস'ায় কোন অপারেশন নেই, কাজেই প্রয়োজন হয় না রোগীকে রক্ত দিবারও, আর খরচও হয় অনেক কম। এ পদ্ধতির নাম রিল্যাক্সজেশন।

আপনি হয়ত এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন যে, রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে আবার কীভাবে হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব? এটা কী কোনো দিন হয় নাকি?

হ্যাঁ, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে রিল্যাক্সজেশন করে কিছু সাজেশন দিয়েই হার্টের ব্লক দূর করা সম্ভব। শুধু হার্টের ব্লকই নয় বরং যে কোন জটিল শারীরিক সমস্যাই রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব।

এমকিউ মিশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে যে কোন জটিল রোগ নিরাময় করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব সৈয়দ হারুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কুরবাণী ঈদের কয়েকদিন আগে তিনি ৬ দিনের একটি ষ্পেশাল রিল্যাক্সজেশন সেশন করেন বিভিন্ন ধরণের রোগীদের নিয়ে। সেখানে হার্টের ব্লকসহ আরো নানারকম জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার ও স্ট্রোক করে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া ব্যক্তিও ছিলেন।

সেশন সম্পন্ন করেছেন এমন একজন মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি হার্টে ৯০% ব্লক নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। এই ব্লকের কারণে তাঁর চলাফেরায় বেশ সমস্যা হতো। সেশন সম্পন্ন করার পর ২/৩ দিন পরেই তিনি গাবতলী থেকে কুরবাণীর গরু কিনে হেঁটে ধানমন্ডিতে তাঁর বাসায় এসেছেন। কোন রকম ক্লানি- বোধ করেননি। ঐ সেশনে অংশ নেয়া এনজিও কর্মকর্তা শামীমা আফরোজ জানালেন, তিনি ১৭.৯০ ব্লাড সুগার নিয়ে এসেছিলেন। সেশন সম্পন্ন করার পর তাঁর সুগার লেভেল কমে ৬.৯০ এ দাাঁড়িয়েছে।

নাহার আবেদ একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি জানালেন, হাই ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ে এসেছিলাম। এখন ব্লাড প্রেশার আমার নিয়ন্ত্রণে। ডায়াবেটিসের জন্য আগে তিন বেলা অষুধ খেতাম এখন দুই বেলা খাচ্ছি। ক্লানি-ভাব এখন নাই। সবকিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর গৃহবধু জাহানারা বেগম জানালেন, স্ট্রোক করার পর থেকে তাঁর স্মৃতিশক্তি অনেকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোনকিছু মনে রাখতে পারতেন না। ডান হাতে কিছু ধরতে পারতেন না। ডায়াবেটিসও বেশি ছিল। ৬ দিনের সেশন করার পর এখন তিনি অনেক ভাল। ডায়াবেটিস তাঁর নিয়ন্ত্রণে। ডান হাত দিয়ে কোন কিছু ধরাই নয় বরং উঠাতেও পারছেন, এখন মনে রাখতেও পারছেন সব কিছুই। এর জন্য স্রষ্টার কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞতাও জানালেন, পাশাপাশি দোয়াও করলেন যেন এ ধরণের রোগীরা সেবা পেতে পারে।

সৈয়দ হারুন সিলভা আল্ট্রামাইন্ড কোর্সের প্রশিক্ষক এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি সুপারভাইজার। তিনি জানালেন, প্রতিটি মানুষের ভেতরেই স্রষ্টা প্রদত্ত সেলফ হিলিং ক্ষমতা সুপ্ত অবস'ায় আছে। রিল্যাক্সজেশনের মাধ্যমে তিনি মানুষের এই সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলেন এবং সমস্যার সমাধান করেন। এ ব্যাপারে বিস-ারিত জানতে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন লালমাটিয়ায় অবসি'ত এমকিউ মিশন অফিসে। ফোন ঃ ৯১১৩২২৯, ০১৯১৫-৪৯০৫৪৫

বিষয়: বিবিধ

২৮৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File