"পেশা যখন যৌনতা" ও প্রথম আলো পত্রিকা।
লিখেছেন লিখেছেন উসামা ইউসুফ ০৭ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:১৫:০০ দুপুর
প্রথম আলো এতদিন পেশা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট করেছে, যেমন পেশা যখন ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ইত্যাদি। ছাত্র অবস্থায় এই সব রিপোর্ট পড়তাম নিয়মিত। রিপোর্ট পড়ে জানতাম কোন পেশায় কি কি সুবিধা, কি কি কোয়ালিটি থাকতে হবে, এবং সফল হতে হলে কি ভাবে আগাতে হবে। ওইসব রিপোর্টে থাকতো সেই সব পেশার সফল ব্যাক্তিদের সাক্ষাৎকার। ওই রিপোর্ট গুলির লক্ষ্য ছিল মানুষকে ওই সব পেশা সম্পর্কে তথ্য দেয়া যাতে করে মানুষ তাদের পছন্দ মত পেশা বেছে নিয়ে সে অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারে।
ভাবতে অবাক লাগে প্রথম আলোতে আজ রিপোর্ট হয়েছে "পেশা যখন যৌনতা" তবে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে . প্রশ্ন এই রিপোর্টের উদ্দেশ্য কি? রিপোর্টে বলা হয়েছে বৈবাহিক জীবনের চেয়ে এই পেশায় স্বাধীনতা বেশি, কাজ করতে হয় কম, কিভাবে খদ্দেরের অত্যাচার থেকে যৌন কর্মীরা নিজেদের বাঁচাতে পারে তার পথও বাতলে দেয়া হয়েছে। আরও বলা হচ্ছে, এই পেশার উপার্জন অনেক বেশি আগের চেয়ে। পরিশেষে বলা হয়েছে, এই পেশার ( প্রথম আলোর মতে) মানুষদের ঠকানো হচ্ছে, তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না, অর্থাৎ সেটা দেওয়া উচিৎ।
এই সব তথ্যের মাধ্যমে কি এই কাজকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি প্রচারনা চালানো হচ্ছে না? পৃথিবীর কোন ধর্মেই কি এই টাকার বিনিময়ে যৌন কর্ম কি নিষিদ্ধ নয়? প্রথম আলোর করতিপক্ষ নিজেদের মুসলিম পরিচয়ে পরিচিত না করে, ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবে বাঙ্গালী (উল্লেখ্য, হিন্দুদের মতে তারাই কেবল বাঙ্গালী, প্রমান শরৎচন্দ্রের উপন্যাস) বলে। প্রশ্ন হোল এই বাঙ্গালী সমাজে কি এহেন কর্ম কি কখনো স্বীকৃত ছিল? কক্ষনই নয়। মানুষকে এহেন ঘৃণ্য কর্মে আহ্বান করায় হল প্রথম আলোর লক্ষ্য। তারা কোন ধর্ম মানে না। ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা বোধও তাদের নেই। যেটা নাস্তিক সেকুলারদের বিশ্বাস। মানুষ তাদের কাছে আর পাঁচটা পশুর মতোই, যাদের কাজ খাওয়া ও বংশ রক্ষা করা করায় জীবনের লক্ষ্য। এই দুইটি করতে পারলেই তাদের জীবন সফল। এই মতাদর্শ বস্তুবাদের চরম বহিঃপ্রকাশ।
যে পত্রিকা যৌনতাকে পেশা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচারনা চালায়, তারা যে ইসলামের বিরোধিতা করবে সে বিষয়ে কোন সংশয় থাকে না। মুমিনদেরকে যে এই পত্রিকা কালিমা লিপ্ত করে, তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি বলে প্রচারণা চালাবে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। হেফাজত-ই-ইসলাম, জামায়াত ই ইসলামের বিরোধিতা এই পত্রিকা কেন করে তা কি সুস্পষ্ট নয়। এই কারণ কি এই যে তারা সকল ধর্মের স্বাধীনতায় (যাকে তারা ধর্ম নিরপেক্ষতা বলে) বিশ্বাস করে, নাকি তারা কোন ধর্মকেই বিশ্বাস করে না? সন্দেহ নেই যে কারণ হল দ্বিতীয়টি, কেননা পৃথিবীর কোন ধর্মকেই যদি তারা বিশ্বাস করতো তবে ধর্ম বিরোধী এমন অবাধ যৌনাচারের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারত না।
এই সব মানুষদের লক্ষ্য করেই হয়ত আল্লাহ্ বলেছেন " তাহারা পশু, বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট"।
বিষয়: বিবিধ
৪২৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন