রাজনীতি ও দেশের উন্নয়ণ
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসজীবন ২৪ জুলাই, ২০১৩, ০৫:২৫:১৯ বিকাল
মানুষ তখনই তার দেহের একটি অঙ্গের মূল্য বুঝতে পারে যখন তার সে অঙ্গটি বিকল বা নষ্ট হয়ে যায়। সন্তান মা-বাবার মূল্য বুঝতে পারে যখন তারা পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে যায়, আর একজন নাগরিক তখনই তার দেশটাকে বুঝতে পারে যখন সে দেশের বাহিরে অবস্থান করে। যাহারা প্রবাসে বসবাস করেন তারা বুঝতে পারেন দেশ তাদের নিকট কি মূল্যবান সম্পদ। তাই তারা দেশটাকে নিয়ে একটু বেশীই ভাবেন। আমরা যারা প্রবাসে বসবাস করি তারা সকলেই সবসময় চাই আমাদের দেশটা সুন্দর থাকুক, ভাল থাকুক এবং রাজনৈতীক সংকট মুক্ত থাকুক। যারা দেশটাকে নিয়ে বেশী ভাবার কথা তারা কতটুকু ভাবেন তা আমরা জানা নেই। আশা করি তারা হযতোবা আমার চেয়ে একটু বেশী ভাবেন। আমাদের এই সোনার চড়ানো বাংলাদেশটাকে নিয় আপনারা আরো বেশী বেশী ভাববেন এটাই কামনা করি। কিন্তু তখই হতাস হই যখন দেখি আমাদের দেশের রাজনৈতীক দলগুলো একে অপরকে চোর-বাটপার, দূর্নীতি বাজ বলে গালাগাল করে। আমি আমাদের দেশের বড় দল গুলোর নিকট এই টুকু আশা করব যে তারা অন্য কোন ইস্যু না হইক দূর্নীতি মূক্ত দেশ গড়তে একমত হবেন এবং এর একটি গ্রহণ যোগ্য সমাধান বের করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি আশার করবো ১৯৭১ সালের পর থেকে দেশে যে সকল বড় বড় দূর্নীতি হয়েছে তা যেন পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করেণ। দূর্নীতির বিচারের ক্ষেত্রে কোন দল, বল, গোত্র, ক্ষেত্র ইত্যাদির কথা চিন্তা না করে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা ধারণা আমাদের দেশের প্রভাব মুক্ত স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, দূর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা গেলেই দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে এবং উত্তোর উত্তোর বৈদেশীক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আমাদের দেশের বেকারত্ব দূর হবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর একছত্র ক্ষমাত কমিয়ে আনা উচিৎ বলে আমি মনে করি। কেন্দ্রে ক্ষমাতাকে কেন্দ্রভূত না করে তা বিকেন্দ্রিয় করণ করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আমি মনে করি প্রতিটি বিভাগে পৃথক পৃথক প্রশাসনিক রাজধানী করা উচিৎ যার নিয়ন্ত্রণ থাকবে রাষ্ট্রপধানের নিকট। বিভাগীয় প্রধাণ বা গর্ভনর যিনি থাকবেন তিনি তার নির্বচীত প্রতিনিধিদের নিয়ে বাজেট থেকে শুরু করে যাবতীয় কার কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন, শুধুমাত্র বৈদেশীক কোন চুক্তিতে তারা আবদ্ধ হতে পারবেনা, যদি তেমন কোন প্রয়োজন দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে প্রধানমন্ত্রীর শরনাপন্য হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিচালনা করতে যেয়ে যে বাজেট বা কার্যক্রম গুলো বিভাগীয় প্রধান বা গভর্ণর সাহেব করে থাকবেন তা অবশ্যই কেন্দ্রিয় সংসদে সংসদ অধিবেশনে অবশ্যই অনুমোধ করিয়ে নিতে হইবে। বিশেষ কারা বসতঃ বা দৈবিক বা প্রাকৃতিক কোন কারণে জরুরী কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে তার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি মহোদয় কতৃক যৌথ অনুমোধন অবশ্যই করিয়ে নিতে হইবে। একজন নির্বাচীত বিভাগীয় প্রধান বা গভর্নন যেমন তার নির্বাচনি এলাকর ভোটারদের নিকট জবাব প্রধান করিতে বাধ্য থাকেবেন ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মহোদয়ের নিকট ও জবাব প্রধানের জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন। এভাবে যদি ক্ষমতার বেকেন্দ্রিয় করণ করা যায় তা হলে আমাদের দেশ থেকে একদিন অবশ্যই দূনিতী বিধায় নিতে বাধ্য হবে এবং দেশে সমহারে উন্নয়ণ সাধিত হবে। আমি আমার দেশের বড় রাজনৈতিক দল গুলোর নিকটে অনুরোধ করবো তারা যেন শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি না করে উন্নয়ণেরও রাজনীতি করেণ।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন