শহুরে মধ্যবিত্তের নির্মিত সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক দেওলিয়াত্বের প্রকাশ
লিখেছেন লিখেছেন ক্যরিয়ার স্পেশালিস্ট ১৪ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:২০:৫৯ রাত
শিরোনাম আমার , আমি নিচে ফেসবুকে প্রাপ্ত একটি মন্তব্য তুলে ধরব.......
একজন লিখেছেন ঃ ভাই আমরা যেসব পোলাপাইন গ্রাম থেকে উঠে এসেছি তাদেরকে বাঙ্গাল শেখাতে আসবেননা প্লীজ।। শহরের
ফার্মের মুরগী টাইপের ছেলে-মেয়েদের আপনার ঝাকানাকা বাঙ্গালিত্ত বুঝান,আমাদেরকে নয়।। পুরো প্রাইমারী স্কুল জীবন একটি অজপাড়াগায়ে কাটিয়ে এসেছি। সেখানেও দেখেছি পহেলা বৈশাখ পালিত হতে, আর আপনাদের শহরের তথাকথিত বাঙ্গালিদেরো দেখলাম পহেলা বৈশাখ পালন করতে।। গ্রামে আজকের এই
দিনে সবচেয়ে গরীব চাষীটা , যার বছরের অন্যান্য দিনে তিনবেলাই হয়তো নুন-পান্তা খেয়ে কাটে সেও
আজকে পান্তা ভাত খাবেনা।। জমিয়ে রাখা টাকা খরচ করে হলেও একটু ভাল খাবারের আয়োজন করে।। আপনি আজকের এই দিনে পান্তা খাওয়ার নামে যে বাংগালীত্ত জাহির করতে চান সেটাকে বরং বলা উচিত
শত বছরের বাঙ্গালীত্তের চেতনাবিরোধী।। পহেলা বৈশাখে পান্তা খাওয়ার এই তামাশাটা হাজার বছরের ঐতিয্য নয় বরং আপনাদের বিকৃত মস্তিস্ক থেকে প্রসূত একটি নব্য আইডিয়া ছাড়া আর কিছু নয়।। আপনারা আজকে একদিনের জন্য বাঙ্গালী সাজার আপ্রাণ চেস্টা করেন , যারা আপনাদের মত এই ধরণের ভন্ডামী করেনা তাদের রাজাকার, পাকিস্তানী, বাংলার ঐতিয্যবিরোধী হাজারো উপাধী দেন কিন্তু এই আপনিই হয়তো বাঙ্গালী পোষাক লুঙ্গিটা পড়তেও জানেননা।। আজো লুঙ্গি না পড়ে বিছানায় গেলে ঠিকমত ঘুম আসেনা,দেশেতো বটে এই দূর প্রবাসেও পান্তা ভাত খাওয়া হয় মাঝে মধ্যে।। না, আপনাদের মত এত রংগলীলা করে গরম ভাতে ঠান্ডা পানি ঢেলে পান্তা বা টাকার ইলিশ আর ভর্তা দিয়ে নয় রাতের বেচে যাওয়া ভাত আর বাসী তরকারী দিয়েই পান্তা খাই।। আমার চেয়ে বড় বাঙ্গালী নিশ্চিয় আপনি নন।। বাংগালী ছিলাম, আছি,থাকবো। । নিজেকে প্রকৃত বাঙ্গালী মনে করি বলেই আপনাদের মত ভন্ডামী করা লাগেনা।। সারা বছরই বাংগালি থাকি একদিনের জন্য তাই আর সাজতে হয়না কস্ট করে।। আপনারা সেই তথাকথিত বাঙ্গালী যারা থার্টি ফাস্ট নাইটে , ক্রিস্টমাস ডে তে পুরো পশ্চিমা সেজে নোংরা শেষ সীমায় চলে যান আধুনিকতার নামে, আপনারা তারাই যারা ইসলামকে বর্বর, মধ্যযুগীয় ধর্ম বলে গালি দিয়ে সেই ধর্মেরই উৎসবের দিন ঈদকে উপলক্ষ্য করে অশ্লীলতার চূরান্ত সীমা অতিক্রম করেন , আবার এই আপনারাই পহেলা বৈশাখে হাজার টাকা দিয়ে পান্তা ইলিশ খেয়ে নিজেকে বাঙ্গালী ভেবে তৃপ্ত ঢেকুর তোলেন।। আসলে বাঙ্গালিত্তের চেয়ে আপনাদের কাছে উৎসব আর মাস্তিটাই মুখ্য, এই মাস্তি আর উৎসবের জন্যই আপনারা থার্টি ফাস্ট, ক্রিস্টমাস ডে, পহেলা বৈশাখ, ঈদ পালন করেন ।। এই মাস্তির জন্যই
শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধের বুলি আউড়ে বেড়াতে যান।। দিনশেষে বাঙ্গালীত্ত , মুক্তিযুদ্ধ এগুলোকে শুধু অযুহাত হিসেবে ব্যাবহার করেন।। আপনারা যখন এই পহেলা বৈশাখের উদযাপনকে হাজার বছরের সংস্কৃতি বলেন তখন আমি বলবো মাত্র ১০০ বছর আগেও এই জাতি রমনা পার্কে এরকম কোন নোংরামী করার কথা চিন্তাও করতে পারতোনা, করাতো অনেক দূরের ব্যাপার।। মঙ্গল দীপ, মঙ্গল শোভাযাত্রা নামের কুসংস্কার, পহেলা বৈশাখের নামে এইসব ফাতরামো, গরীব মানূষদের সাথে উপহাস করার কোন ইতিহাস ১০০ বছর আগেও ছিলনা।। আপনাদের এই বাঙ্গালীত্ত নিয়ে দূরে গিয়া মরেন......। (সংগৃহীত ও আনুপ্রানিত)
*** শিরোনামের সাথে সম্পর্ক খুঁজে পান কি ?
বিষয়: বিবিধ
১৩২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন