মদিনা সনদ বা সমঝোতা কখনও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা (প্রমান এবং ইতিহাস)

লিখেছেন লিখেছেন ক্যরিয়ার স্পেশালিস্ট ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:০৬:২৯ সন্ধ্যা

মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চলবে: প্রধানমন্ত্রী।অর্থ্যাৎ সকল ক্ষমতার মালিক তিনি, তিনি এবং তিনি।

নিন আপনাদের জন্য মদিনা সনদ কাকে বলে ছাপালাম।

মদিনার সনদ



উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

৬২২ খ্রীস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনা নগরীতে হিজরতের করেন এবং মদীনা/মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। এসময় সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে ছিল গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ। তাই কলহে লিপ্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাতৃত্ব্য ও সম্প্রীতি স্থাপন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হযরত মুহাম্মদ (সাHappy ৪৭ ধারার একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে মদিনার সনদ নামে পরিচিত। এর প্রথম ১০ ধারায় বলা হয় যে, মুহাজির (দেশত্যাগী বা যারা মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছিল), বনু আউফ, বনু সাইদা, বনু হারিস, বনু জুশাম, বনু নাজ্জার, বনু আমর, বনু নবীত ও বনু আউস পূর্বহারে মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত নিয়মনীতি এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পণের মাধ্যমে বন্দীদের মুক্ত করবে। ১১ থেকে ২০ ধারায় মুসলমানদের পারষ্পরিক সম্পর্ক সম্পর্কিত আইন বিধৃত হয়। ২১ থেকে ২৬ ধারায় হত্যাকারীর শাস্তি, কোনো মুসলমান কোনো অন্যায়কারীকে আশ্রয় দিলে তার শাস্তি, কোনো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তার মীমাংসা পদ্ধতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদী বিষয়ক আইন সন্নিবেশিত হয়। ২৭ থেকে ৩৬ ধারায় সন্নিবেশিত হয় বিভিন্ন গোত্রের স্বরুপ সম্পর্কিত বিধান। পরবর্তী ধারাসমূহে যুদ্ধনীতি, নাগরিকদের ক্ষতির ক্ষতিপূরণ, নিজ নিজ ব্যয় নির্বাহ, এ সনদে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধে লিপ্ত হলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা, বন্ধুর দুষ্কর্ম, যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহ, নাগরিকের অধিকার, আশ্রয়দানকারী ও আশ্রিতের সম্পর্ক, নারীর আশ্রয়, সনদের স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশন্কা দেখা দিলে করণীয়, কুরাইশদের ব্যাপারে ব্যবস্থা, মদীনার উপর অতর্কিত আক্রমণ হলে করণীয় ইত্যাদী সন্নিবেশিত হয়। বিশ্বের ইতিহাসে এটিই প্রথম লিখিত চুক্তি ও সংবিধান। ঐতিহাসিক পি.কে. হিট্টির মতে-" Out of the religious community of all Madinah the later and largest state of Islam arose" অর্থ্যাৎ মদীনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে ইসলামী সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্হাপন করে। উক্ত সংবিধানে সকল পক্ষ মেনে নিয়ে স্বাক্ষর দান করেছিল।

মদীনা সনদের মূল বিষয়বস্তু ছিল:

১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।

২.হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন

৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবে না।

৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।

৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।

৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।

৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।

১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।

১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।

১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।

১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না

ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম মদিনা সনদ



যারা মদিনা সনদের সাথে আজকের পৃথিবীর ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্য মিল পান তাঁরা আসলে ইসলামের সাথে বর্তমান কালিক বিশ্ব রাজনৈতিক অবস্থানের সাথে আপোষ করে একটি ভিন্ন ধরণে ইসলামের সংস্করণ চালু করতে চাচ্ছেন। বেশ দূরে যেতে হবে না আমাদের প্রতিবেশী ধর্মের দিকে যদি আমরা তাকিয়ে দেখি তাহলে দেখতে পাব যে, তারা আপোষ করতে করতে কোথায় এসে আজ দাঁড়িয়েছে! তাদের ধর্ম এখন লতানো গাছের মত হয়ে গেছে, যা পায় সেটিকে আঁকড়িয়ে ধরে। এই ভাবে আঁকড়াতে আঁকড়াতে তারা কবে যে তাদের মূল থেকে তারা সরে এসেছে নিজেরাই তা বলতে পারেনা। এখন পলেস্তারা পরা মুর্দা লাশকেই তারা তাদের ধর্ম মনে করে চলছে। তাইতো দেবতার সামনে নয় ইঞ্চি স্কার্ট পরে ডিস্কও ড্যান্স করতেও কোন আপত্তি নাই। ধর্মের আধ্যাত্মিকতা বিসর্জন দিয়ে নিছক আনন্দ আর মনোরঞ্জন মূলক অনুষ্ঠান সর্বস্ব হয়ে গেছে!

তবে বাস্তবতা এই যে ইসলামের মূল মন্ত্র হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ”!! সোজা কথায় আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, মানে কোন মার্ক্স এঙ্গেল নাই, আব্রাহাম, ওয়াশিংটন নাই। রাজা নাই, বাদশাহ নাই, জমিদার নাই, বস নাই, ভয় নাই—– নাই নাই নাই!!! কোন মানব রচিত তন্ত্র মন্ত্র মতবাদ নাই নাই নাই!!! অতএব কেউ যদি মুখে সাক্ষ্য দেয় যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আরও স্বীকার করে মুহাম্মদর রাসুল আল্লাহ (মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর প্রেরিত রাসুল ) তাঁর মানে সে আর কোন নেতা পেতাকে মুক্তির দিশারী ভাবলে আমি মনে করি তা এই স্বীকার উক্তি আসলে কথার কথা মাত্র, তাতে কোন প্রত্যয় নেই।

যারা মদিনা সনদকে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে ভাবেন তারা আসলে বাস্তব সত্য জানেন না বা জেনেও সেই বাস্তবতা মেনে নিতে পারেন না। মদিনা সনদ বা সমঝোতা কখনও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা। কারণ সে সনদে পৌত্তলিকদের সাথে কোন সমঝোতা হয়নি। সেটি ছিল এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ধর্মীয়দের সহ অবস্থান মাত্র। মদিনা সনদে শুধু মাত্র এক আল্লাহতে বিশ্বাসী ধর্ম গোত্রকে তাদের ধর্ম কর্ম তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী চালিয়ে যাবার স্বাধীনতা দিয়েছিল তেমনি এক আল্লাহয় বিশ্বাসী ধর্ম অন্য এক আল্লাহয় বিশ্বাসী ধর্মের প্রতি কোন প্রকার বৈরী প্রচারণা চালাতে নিষেধ ও করেছিল। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী মদিনার ইহুদিরা সে সমঝোতাকে সম্মান করে নাই যার ফলে মুসলিম ইহুদী সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। তাছাড়া মদিনা সনদে গোত্র ভিত্তিক সরকার ব্যবস্থাও বহাল ছিল! মদিনা সনদে রাসুল সাঃকে সর্বময় চুড়ান্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। উনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সমঝোতা হয়েছিল।

বেশী দূরে যাচ্ছি্ না, এই বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা আদর্শ যে মদিনা সনদের মত নয় তাঁর প্রমাণ – এই দেশের সংবিধানে মুহাম্মদ সাঃ এর নির্দেশিত পথকে চুড়ান্ত বলে বিবেচনা করা তো দূরের কথা, দাবী করা হয়ে তাকে ইসলামকে রাষ্ট্রের ধর্ম করা হলে অন্যান্য ধর্মীয়দের প্রতি অবিচার করা হয়। এই দেশে যে কেউ রাজনীতি করতে পারবে কিন্তু শর্ত যে, আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধানের মধ্যে রাখা সব শর্তের মধ্যে থাকতে হবে! যে কারণে বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মীয় সমন্নয়কে সমর্থন করলে মদিনা সনদকে সমর্থন করেনা। মদিনা সনদকে সমর্থন করলে নবী সাঃ প্রচলিত শাসন ব্যবস্থাকে চুড়ান্ত বলে গণ্য করতে হবে। কিন্তু আমাদের সংবিধান তাঁর নাগরিকদেরকে সব ধরণের মানব রচিত মতবাদ প্রতিষ্ঠার স্বাধীনতা দিলেও শতকরা ৮৫ ভাগ জনগণের ধর্ম বিশ্বাস মদিনা সনদের প্রণেতা মুহাম্মদ সাঃ এর কর্তৃক কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক রাজনীতি করাকে বে-আইনি ঘোষণা করে রেখেছে। কেউ যদি আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করার কথা বলে রাজনীতি করে তাহলে তাকে দেশের প্রচলিত সংবিধান লংগনের অপরাধে জেলে যেতে হবে। এখানে কেউ যেন আবার আমার কথাকে জামাতের রাজনৈতিক স্লোগান “আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসন” পক্ষে বলে ধরে নিবেন না। আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসন জামাতের আবিষ্কৃত কোন নতুন প্যাটেন্ট নয়! এইটি আজ থেকে ১৪শত বছর আগ থেকেই মদিনা সনদের প্রণেতা মুহাম্মদ সাঃ প্রচলিত করেছিলেন। এই দর্শনের বাহকরা যুগে যুগে সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করার রাজনীতি করে আসছেন। এই দর্শনের ভিত্তিতে মুসলিমগণ বিগত ১৪ শত বছরে বেশ কয়েকটি সম্রাজ্য শত শত রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

যে ব্যক্তি মুখে আর বুকে “লাই-লাহা ইলল্লালাহ মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ” স্বীকার করে নেয় তখন তার উপর রাষ্ট্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা তাঁর উপর ফরজ হয়ে যায়। এখান থেকে শর্টকাটের কোন বেইল নাই!

কেউ কেউ বলেন- ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে গুণগান করে প্রাশ্চাত্যের উদাহরণ দান করেন বলেন। প্রাশ্চাত্যবাসী উদার মনোভাবের কারণে ধর্মনিরপেক্ষতাকে তাঁদের দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে বলেই আজ সেখানে ইসলাম প্রচারে সুযোগ হচ্ছে। এরা আবার বলে থাকেন ইসলাম ধর্মে প্রতিষ্ঠা আল্লাহ কাজেই এই ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তাকে সংরক্ষিত করে রাখবেন। আমরা বলি যে ইসলাম যদি সত্য আল্লাহর দ্বীন হয়ে থাকে তাহলে তাঁর প্রচারের জন্য বা প্রসারের জন্য প্রাশ্চাত্যে দর্শন ধর্ম নিরপেক্ষতা নামক কোন সহায়ক সাইন বোর্ডের প্রয়োজন নাই। আল্লাহ তাঁর দিনকে বুলন্দ করার জন্য নিজেই যথেষ্ট।

মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশের সংবিধানে যদি ধর্মনিরপেক্ষতা আদর্শ উল্লেখ নাও থাকে তাহলেও সেই দেশে সংখ্যা লঘুদের জন্য কোন ভয় নাই, কারণ আমরা ধর্মী সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী।





হজরত মুহম্মদ (সাঃ) মদিনা সনদ বা সমঝোতার পর

মদিনায় বিশ্বের প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করেন । এই রাষ্ট্রের বিভিন্ন সচিবালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।


রাষ্ট্রপ্রধান হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)


১. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যক্তিগত সচিব : হযরত হানযালা ইবনে আলরবি

২. পত্রলিখন ও অনুবাদ বিভাগ (সচিব) : হযরত আলী (রা.), হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ও হযরত জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)

৩. সচিব : হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) ও হযরত শুরাহবিল ইবনে হাসান (রা.)

৪. সিলমোহরের আংটিটির সংরক্ষক : হযরত মুকরি ইবনে আবি ফাতিমা (রা.)

৫. অভ্যর্থনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত : হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) ও হযরত বারাহ (রা.)

৬. অর্থ ও হিসাব বিভাগ : হযরত মুয়ানকি ইবনে আবি ফাতিমা (রা.)

৭. জনস্বাস্থ্য বিভাগ : চিকিৎসক হারিস ইবনে সালাহ এবং আবিবার পুত্র

৮. শিক্ষা বিভাগ (স্বাক্ষরজ্ঞান) : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সাইদ (রা) ও আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)

৯. যাকাত ও সদ্কা বিভাগ : হযরত যোবায়ের ইবনে আওয়াম ও যুহাইর

১০. বিজয়ের পর মক্কার প্রশাসক ছিলেন : হযরত ইত্তাব ইবনে উসাইদ (রা.)

১১. ইয়েমেনের দায়িত্বে ছিলেন : হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)

১২. আম্মানের দায়িত্বে ছিলেন : হযরত আমর ইবনে আজ (রা.)

১৩. ওহি বিভাগ : হযরত আবু বকর এবং ওসমান (রা.) সহ চার খলিফা সবাই এবং হযরত জায়েদ ইবনে আজ সাবিত (রা.), উবায় বিন কাব (রা.), মুয়াবিয়া (রা.), খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.), মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) এবং আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াসহ দশজন মেধাবী-উচু মর্যাদার সাহাবী

১৪. প্রতিরক্ষা বিভাগ : নবীজী (স.) নিজে ছিলেন তবে অধিনায়ক হিসেবে ৭২টি নিয়োগদান করেছিলেন

১৫. জননিরাপত্তা বিভাগ : হযরত কায়েস ইবনে সায়াদ (রা.)

১৬. বিচারপতি হিসেবে : হযরত ওমর ও হযরত আলী (রা.) সহ আটজন মশহুর বিদগ্ধ সাহাবী।

সূত্র : গভর্নমেন্ট আন্ডার দ্যা প্রফেট, ফুতহুল বুলদান, সিরাতে ইবনে হিশাম।

মদিনা সনদTHE MEDINA CHARTER



বিষয়: বিবিধ

৪২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File