মাহমুদুর রহমানের আদালতে দেওয়া জবানবন্দি এবং ভারতীয় গোয়েন্দাদের হত্যা পরকিল্পনা
লিখেছেন লিখেছেন ক্যরিয়ার স্পেশালিস্ট ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:১৯:১৩ সকাল
মাহমুদুর রহমানের শুনানি : সরকারপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শেষ হলে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, মাহমুদুর রহমান নিজেই তার পক্ষে শুনানি করবেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, বিচারপতির স্কাইপ সংলাপ নিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব অসত্য ও ভিত্তিহীন। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বেআইনিভাবে তার প্রবাসী বন্ধু ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যেসব কথা বলেছেন তা বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকা দি ইকোনমিস্ট প্রকাশ করে। ইউটিউবে তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং লাখ লাখ পাঠক তা প্রত্যক্ষ করে। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ইকোনমিস্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আমার দেশ ইকোনমিস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনই সাংবাদিকতার সব নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ প্রকাশের বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক রুল জারি করেছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের ওই আদেশ ও রুল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ স্থগিত করে দিয়েছেন। আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ বহাল থাকা এবং ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রুল বিচারাধীন থাকায় সরকার আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারে না। এ মামলার কোনো কার্যকারিতাও নেই। তিনি বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম স্কাইপ সংলাপের দায় স্বীকার করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যেহেতু তিনি তার বেআইনি কথোপকথন স্বীকার করে নিয়েছেন, তাই আমার বিরুদ্ধে করা এ মামলা চলতে পারে না।
তেজগাঁও থানায় দায়ের করা অপর দুটি মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বিলেন, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ প্রকাশের কারণে সরকার আমার বিরুদ্ধে গত ১৩ ডিসেম্বর মামলা করে। ওইদিন থেকেই আমি অফিসে অবরুদ্ধ জীবন কাটাই। আদালতের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, অফিসে অবরুদ্ধ থেকে আমি ফার্মগেট এলাকায় গিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করলাম কীভাবে? সরকার তার ফ্যাসিবাদী চরিত্র প্রকাশ করতে গিয়ে এতটাই উন্মাদ হয়েছে যে, সব কাণ্ডজ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, এ মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া শুনলাম, এ মামলা দুটির এজাহারেও আমার নাম নেই। আমাকে তড়িঘড়ি করে আটক দেখিয়েই রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না। আদালতে মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, গোটা দেশের মানুষ সরকারের জুলুম নির্যাতনের শিকার। দেশটাই আজ সরকারের বৃহত্ কারাগারে পরিণত হয়েছে।
তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ না করার কারণ উল্লেখ করে আদালতে তিনি বলেন, মাননীয় আদালত, বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও বিচারকদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নেই। সরকার বিচার বিভাগকে তার আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আমি কোনো আইনজীবী নিয়োগ করলে তারা আপনার কাছে আমার জামিনের আবেদন ও রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করবেন। কিন্তু আপনি তাদের আবেদন মঞ্জুর করে আমাকে জামিন দিতে পারবেন না। আবার রিমান্ডও বাতিল করতে পারবেন না। আপনার হাত-পা বাঁধা। সরকারের নির্দেশের বাইরে গিয়ে স্বাধীন বিচারিক মানসিকতা থেকে বিচার করার সুযোগ নেই। আমি আইনজীবী নিয়োগ করলে যা হবে, না করলেও একই ফল হবে।
ভারতীয় গোয়েন্দা পরকিল্পনা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্যের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে সরকার বিশেষ বাহীনি (Slow poisoning) এর মাধ্যমে মাহমুদু রহমানকে হত্যার ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা হাতে নিয়াছে। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে চিহ্নিত করে ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে ২০১২ সালে এই সাহসী সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করলেও গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের পরিকল্পনার সাথে দ্বীমত ও পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে সরকার তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা ভারত সফরকালীন সময়ে সে দেশের গোয়েন্দা প্রধানের সাথে একান্ত সাক্ষাত করেন। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র) এর চেীকস সদস্যদের। এর কিছু দিন পর উক্ত উপদেষ্টা আমেরিকা সফরকালীন সময়ে ইসরাঈলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের উর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে মিলিত হন। আর এই বৈঠকের আয়োজন করেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উক্ত বৈঠকে বেচে নেয়া হয় পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ মোসাদ সদস্যদের। যাদের মধ্যে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের হত্যাকারী হিসেবে ফ্রান্স সরকারের সন্দেহ ভাজন দুই সদস্যও রয়েছেন। ইসরাঈলী নাগরীকের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় শর্ত সাপেক্ষ্যে ভারতীয় সরকার ঐ দুই সদস্যকে ভারতীয় পাসপোর্ট প্রদানে সম্মত হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্বিতে জানা যায় ভারতীয় পাসপোর্ট ধারী ্ঐ দুই মোসাদ সদস্য গত সাপ্তায় ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তার পূর্ব থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি দল।
পুলিশের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হলেও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কারী হিসেবে মূল ভূমিকা পালন করছেন “র” এর সদস্যরা।
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে রিমান্ডে নিয়ে মাহমুদুর রহমান কে নির্যাতনের মাধ্যমে অচেতন করে তার শরীরে উক্ত বিষ প্রবেশে করানো হবে। আর জনগণের দাবির মূখে সরকার তাকে ছেড়ে দিলেও ধীরে ধীরে তিনি অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরবেন।
এই বিষের উল্লেখ্য যোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যা সহজে মানবদেহে ধরা পরে না। যার বাস্বব উদাহরণ সাবেক ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত এছাড়াও একবার এই বিষ শরীরে প্রবেশ করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকটা অসম্ভব।
উক্ত গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য আরো জানান অতি সত্বর মাহমুদুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে না পারলে যে কোন সময় সরকার তার জগন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। আর আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে পারে দেশপ্রেমিক সাহসী সম্পাদক মামহমুদুর রহমান।
বিষয়: রাজনীতি
১৭৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন