হাসিনা ও মুজিবের অবাধ্য সন্তানঃ

লিখেছেন লিখেছেন আমিজিয়া ২৬ মার্চ, ২০১৩, ০৬:০৯:০৪ সকাল

জাতিগত ভাবে আমরা বাংলাদেশী অনেকটা কনজারভেটিভ, হয়ত আমাদের পরমপরা ব্যাপার। আমাদের দেশে বেশীর ভাগ মানুষই মা বাবার কথা শুনে, দাম দেয়, সম্মান করে। মাযে মাযে বাবার কিছু কিছু উপদেশ অথবা আদেশ আমাদের জীবনে বাই-ল (আইন) হইয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হইলো, বাবা মা ইচ্ছা মত জায়গায় উনাদের শেষ নিঃশাসের পর কবর দেয়া, বাবা মায়ের ইচ্ছামত বিবাহ করা, নামাজ পডা ইত্যাদি, ইত্যাদি।

ইসালামী আইনে যদি চিন্তা করি, আলাহ ও তাঁর রাসুল (সঃ) পরে হইলো নিজের মা ও বাবা। উনাদের সব আদেশ, উপদেশ , কথা পালন করা আমদের কর্তব্য শুধু শুনা যাবেনা যদি না উনারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল(সঃ) বিরুব্ধে কিছু করতে বলে। তবুও নমনিয়, ভদ্রভাবে আচরন করতে হবে।

উপরের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য থেকে বুযা গেলো যে, আমরা যদি মা বাবার কথা না শুনি তা খুবই খারাপ, এবং আমাদের সমাজে ওদের কানা চোখে সবাই দেখে যারা বাবা মার অবাধ্য হয় অথবা উনাদের আমান্য হয়। তাছাডা সামাজে, কিছু কিছু জায়গায় মা বাবার অবাধ্যরা সমাজের বাহিরে বলে গন্য হয়। খুবই খারাপ ব্যাপার।

এবার আমাদের চিন্তাধারাটা একটু পারিবারিক থেকে দুই পা এগিয়ে রাষ্ট্রিয়ভাবে চিন্তা করা যাক। আমাদের দেশে এক শ্রেনীর বা দলের লোকজন সংগ্রামী জননেতা শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বা জনক মেনে ও মনে করে অনেক ধন্য হয়ে জান। তাতে আমার কিছু আসে যায় না, সেটা উনাদের ব্যাপার। আমার মতে আমাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম(আঃ) মুসলিম হিসাবে। এব্যাপারে দ্বিমত যদি একজন মুসলিম বা মুসলিমাহ করে উনাদের ঈমানের বারোটা বাজবে কিনা তাঁর ব্যাখা ইসলামের আলেমাই দিবেন। এব্যাপারে কিছু হাদিস আছে দেখে নিবেন প্লিজ। অনেক ভাই বোনেরা এইটা বুজতে পারেন না যে মুজিব সাহেবকে জাতির পিতা বলতে কি বুজায়। উনারা মনে করেন মুসলিম হিসাবে আমাদের পিতা না বলে জাতির পিতা বললে অসুবিধা কোথায়...ভেবে দেখুন দুইটার অর্থ একি। দুঃখের বিষয় হইল অনেকে এই বিষয়টাকে খুব ছোট মনে করেন।

আছা আসল কথায় আসা যাক। ঠিক আছে উনারা মানুক মুজিব সাহেব উনাদের পিতা। ভালই, করতালি দিতে হবেনা কারন এইটা পুরান ব্যাপার। কিন্তু, আমার মনে ব্যাথা এজন্যে যে, উনারা নিজেরা জঘন্যভাবে উনাদের পিতাকে অসম্মান করেন, পিতার অবাধ্য, এখানে থেমে নেই উনারা উনাদের পিতার মৃত্যুর আগের শেয ইচ্ছাটাকে তো মানেই না , আবার উলটা ব্যাবহার করতাছেন।

কি কইলাম?? হম, মুজিব মিয়া মৃতশায়িত হবার আগে ১৯৭৩ তে বাছাইকৃত হাজার হাজার রাজাকারদের মাপ কইরা দিয়েছিল, আবার মাপযোগ্য না এমনও ছিল অনেক উনাদের শাস্তিভোগ করে কাউকে অক্কা পাইতে হইছে আবার কাউকে হাজতের রুটি খাইতে হইছে।

এইযে উনাদের বাপ মাপ করে ভাল হইতে চেষ্টা করেও, পারতেছেন না। কারন উনার উত্তরসূরি সবাই উনার অবাধ্য, বাপের কথাটাকে এক পয়সারও দাম দিচ্ছেনা। উনারা ট্রাইবুনাল তুনাল কিছু বুযেনা, উনারা বুযে ফাঁসি আর ফাঁসি। কত বড বেয়াদব হইলে বাপের আদেশ ও সম্মান এভাবে দুলায় মিশায় দিতে পারে? উত্তরসূরী তো দুরের কথা, খোদ বাপজানের রক্তের (শুনেছি) মেয়ে সবার সাথে সুর মিলিয়ে শুদু "ফাঁসি, ফাঁসি" সপ্ন দেখে দেখে মাযে মধ্যে নিজের ফাঁসির দরিতে মনে হয় দেখন। ট্রাইবুনালের আইন পরিবর্তন করে হলেও ফাঁসি চান, তাইও যদি না হয়, শাহবাগের ও লুচ্চা মিয়া (জাফর, গাফফার) দের কথায় হলেও ফাঁসি চান।

বাপের কথার অবাধ্য ছাড়া এই কি? আপানারা এখন এই অবাধ্য সন্তান্দের বাহির করবেন নাকি ওদের বুযিয়ে ভাল হওয়ার পর রাখবেন এইটা আপনাদের উপর ছেডে দিলাম।

আচ্ছ ঠিক আছে, বুযালাম হাসিনা আপু উনার বাবার হত্যার বিছারের জন্যে রাজনীতিতে এসেছেন। মানুষ হিসাবে আমাদের সবার কম বেশী জিদ আছে, প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছাতো মানুষ হিসাবে সবার থাকার কথা, কিন্তু উনার বাবা মাকে ও পরিবারকে তো জামায়াতের নেতার গুলি করেনি। গুলি চালিয়েছিল পিতা মিয়ার নিজের জেনারেল রা, কেন? সেদিকে না যাই এখন, কেন উনার জানাজাতে লোক পাওয়া যায়নি, সেদিকে না যাওয়াই ভাল।

প্রতিশোধ নেন , তবে হত্যাকারিদের ফাঁসি দেন। জেনারেলদের অপরাধের জন্যে জামায়াতের নেতাদের কেন বলি দিতে চাছছেন ? তাঁর উপরে আবার ১৯৭৩ রাজাকারদের তালিকা ধরে নয়। কেন? সেই তালিকা তো ফ্রেস ছিল তখনকার যখন মানুষ জানত কে মুক্তিযোব্ধা ছিল আরে কে রাজাকার ছিল।

আবারও পিতা মিয়ার অবাধ্য, তাঁর উপর চিন্তাধারা আরো উলটা, তালিকা ভুক্তাদের না ধরে নিরপরাধীদের বলি দেয়ার সপ্নে ঘুম হয় না উনাদের। কেন? জামায়াত? নিচ্ছয় কোন গভীর ......হবে ইসলাম কে শেষ করার খোয়াব...

এসব অবাধ্য উত্তরসূরীদের বিচার আপনাদের হাতে ছেডে দিলাম।

বিষয়: রাজনীতি

১১১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File