২৫ ফেব্রুয়ারির মিডিয়ার কালপ্রিটগুলো আজও সরব!!
লিখেছেন লিখেছেন জহির আহমেদ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২৬:০১ সকাল
যার চলে যায় সেই বুঝে হায় বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা!
২৫ ফেব্রুয়ারীর সকাল ১০টা। ঢাকায় ছিলাম। ঘুমো ঘুমো চোখে ক্যানটিনে খেতে গিয়ে শুনলাম ভয়ংকর কিছু হয়ে যাচ্ছে দেশের সবগুলো বিডিয়ার ক্যাম্পে! তখন মুন্নিসাহারা যেভাবে ধারাবর্ননা দিচ্ছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল আর্মির কাউরে সামনে পাইলে নিজের হুজুগে বিদ্রোহটাও সাথে সাথে প্রকাশ করতাম! খুঁজলামও এরকম কাউকে। বাড়িতে ফোন দিলাম সদ্য রিটায়ার্ড হওয়া আর্মিতে থাকা মামার খুজে। উত্তর পেলাম ''সে, কি হচ্ছে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কিছুই বলতে পারেনা এবং সহি সালামতে চিটাগাং আর্মি ক্যাম্পে সদ্য বদলি হয়েছে এবং সেখানে সেইফে আছে''। তারপর প্রায় এদিনটি টিভিতে কয়েকদফায় সাহারা, নানকদের বৈঠক বৈঠক খেলা বেশ থ্রিলার মুভির মত মনে হল।
পরদিন! মেনুহলের ভিতর! খাল-নদী-নালা চতুর্দিক থেকে দেশের সেরা মেধাবী সন্তানদের লাশের স্তূপ! পোড়া লাশগুলোর গন্ধ যেন শত মাইল দূরে এসে নাকে লেগে চোখ দিয়ে ঝর্না হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে! সে এক ভয়ংকর দৃশ্য!
সেদিন জাতি দেখল জাতীর শ্রেষ্ট মেধাবী সন্তানদের মেরে ফেলতে এদেশীয় দালালদের সাথে দেশের বড় বড় মিডিয়াগুলোর অন্ধ হয়ে যাওয়া এবং উস্কানি দিয়ে মেরে ফেলতে সহায়তা করা!! ঠিক আজ যেমন সাংবাদিকতায় নুন্যতম পেশাদারিত্ব না দেখিয়ে ইসলাম্পন্থিদের উপর জগতের শ্রেষ্ট মিথ্যাচার এবং সত্য লোকিয়ে জাতিকে ধোকায় ফেলে তাদেরকে শেষ করে দিয়ে আপামর জনতার প্রাণের ইসলামী মূল্যবোধকে গলা টিপে মেরে ফেলতে বহিঃশত্রুদের এস্যাইনমেণ্ট পালন করে যাচ্ছে!
উপরের ছবিটি আজ যেন এ সাক্ষ্যই দিচ্ছে সেদিন এদেশীয় দালালদের সহায়তায় আমাদের গর্বের গোটা সেনাবাহিনীকেই কফিনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে! জাতি হিসেবে যা লজ্জার!
এ হত্যাকাণ্ডের মুল কালপ্রিটদের এখনকার মানবতাবিরোধী স্পেশাল ট্রাইবুনালের আওতায় এনে বিচার করার জোর দাবি তুলা হোক!
বিষয়: রাজনীতি
১১২১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২, এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কি কারণ ছিল ?কারা জড়িত ছিল ?এবং তাদের কি কোনো সাজা হয়েছে বা হবে ?
৩ , এই হত্যাকান্ডের পেছনে কি বিদেশী রাষ্টের ইশারা রয়েছে ? বা বিদেশী কোনো রাষ্টের ইশারা রয়েছে কি না তার খুজ নেওয়া হয়েছে ?
৪ , সরকারের ভুমিকা কি ছিল ? প্রশাসনের সকল স্থরের ভুমিকা কি ছিল ?এসব তদন্ত করা হয়েছিল ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন