তালেবান,রাজাকার সমার্থক শব্দ দু'টির প্রায়গিক মিল - অমিল!
লিখেছেন লিখেছেন জহির আহমেদ ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:২৫:১৯ সকাল
আগেই বলে নেই কারো কারো কাছে লিখাটির শব্দচয়ন,ভাব মগবাজারি ফ্লেভারে মনে হতে পারে।অবশ্য বরাবরের মত হজম শক্তিতে দুর্বল (নাস্তিক) সম্প্রদায়ের বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছিনা! শব্দ দু'টির সমার্থকতা/প্রায়গিক মিল এবং অমিল আরো গবীরভাবে বুজার/ জানার দায়িত্ব আপনার নিজের।আমি শুধু আপনার চিন্তার খোরাক যোগাব। আজ বিশ্বের প্রত্যেকটা জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর জুলুম নির্যাতন নতুন কিছু নয়। এর কারন যতটা না মুসলিম হওয়া তার চেয়ে ইসলাম প্রতিষ্টার কথা বলা বড় কারন। ইসলামপন্থীদের নির্মুলের চেষ্টার বর্তমান আলোচিত অতি পরিচিত শব্দ দূ'টির সমার্থকতা যাহা লাউ তাহাই কদু এর মত। দির্ঘ সময় ধরে 'তালেবান' শব্দ দ্বারা যেভাবে বিশ্বের সকল সম্প্রদায়ের কাছে মুসলমানদেরকে একটি আতংকিত নাম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে সেই কাজটি 'রাজাকার' শব্দ দ্বারা চলছে... এবার আসুন আমেরিকান স্টাইলে 'তালেবান' আর আওয়ামি বাংলা স্টাইলে 'রাজাকারের' মধ্যে কিছু মিল এবং অমিল। বলে রাখি এখানে কে কাকে অনুসরন করছে আমি হলফ করে বলতে পারি পদ্মখেকো আবুল মাল স্টাইলে এর উত্তর হবে অবশ্য আমেরিকা আওয়ামিলিগকে অনুসরন করছে
ব্যবাহারিক/প্রায়োগিক মিল এবং অমিলঃ
মিল...
=:= বিশ্বের কোথাও বোমা ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করে 'তালেবানের' নাম ধরলে সাত খুন মাফ করিয়ে নেওয়া যায় ;আওয়ামীলীগ কোন হত্যাকাণ্ড ঘঠালে তা সহজেই 'রাজাকারের' নামে সমস্বরে জিকির করলে সেটা মাফ করিয়ে নেওয়া যায়।
=:=আমেরিকা কোন মুসলিম দেশ দখলের আগে 'তালেবান', অবৈধ মারনাস্ত্র ইত্যাদি জুজুর ভয় দেখিয়ে কাজ আদায় করে যদিও পরবর্তিতে কোন অস্ত্র পায়না এবং তার জন্য ক্ষমাও চায়। আবার ইসরাইলের সকল অবৈধ অস্ত্রকে বৈধতা দিচ্ছে। আওয়মিলিগ ঠিক সেরকমভাবে ইসলামপন্থীদেরকে কোন প্রমানছাড়াই জঙ্গি,পাথরকে বোমা আর ছাত্রলিগের প্রকাশ্য অস্ত্রবাজিকে প্রশ্রয় দিয়েই যাচ্ছে। আর এ সকল করছে আমেরিকার মত ওদের দালাল মিডিয়া দ্বারা।
=:=আমেরিকার কোন সাধারন নাগরিক অথবা সৈন্য সন্ত্রাসি আক্রমণে মারা গেলে 'তালেবানের' উপর দোষ চাপিয়ে সারা বিশ্ব চোখের জলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়। মানবতা হুমকির মধ্যে পড়ে যায়!(সদ্য আমেরিকার বোস্টনে ম্যেরাথন ব্লাস্ট উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে); আওয়ামিলিগ অথবা আওয়ামিলিগের দোষর কোন নাস্তিক সন্ত্রাসি কতৃক আহত অথবা নিহত হলে 'রাজাকারদের' উপর দূষ চাপিয়ে তাকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করা হয় অথবা হায় ফটিকছড়ি! হায় ফটিকছড়ি! বলে ফটিকছড়িকে কারবালা ঘোষণা করা হয়!
অমিল ......
=:=তালেবানের জন্ম ২০০১ সালে; রাজাকারের জন্ম ১৯৭১ সাল।
=:=তালেবানী ফোবিয়ার জন্মদাতা আমেরিকা ; রাজাকারী ফোবিয়ার জন্মদাতা আওয়ামিলিগ।
=:= এ ছাড়াও আরো কিছু বিষয়ে আমেরিকান স্টাইল এবং বাংলা আওয়ামি স্টাইলের মিল যেমনঃ
=:=বিশ্বের কোথাও কোন মুসলমান আক্রান্ত হলে মানবাধিকারের ফেরিওয়ালাদের কান এবং চোখকে বিশ্রামে রাখা হয় ; বাংলাদেশেও আওয়ামি অথবা আওয়ামি পুলিশলীগ কতৃক ইসলামপন্থিদের গণহারে হত্যা করলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়না আবার এরকমও জোকস শুনা যায় ওরা পুলিশের সাথে মারামারিতে যখন পারেনা তখন লজ্জায় নাকি নিজেরা আত্নহত্যা করে ফেলে!! what a mock!!
=:= মালালারা নোবেল প্রাইজ পায়... আর শাহবাগি নাস্তিকেরা ফ্রি বিরিয়ানিসহ সোনাগাওয়ে শয্যাসঙ্গিসহ আমোদ- প্রমোদের সুযোগ পায়।
=:=এ সব অন্যায় কাজ জায়িজ করিয়ে নিতে কেউ বাধা হয়ে দাড়ালে বিভিন্ন ছলাকৌশলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেমনঃ ইউরুপের কোন কোন দেশে ইরানের প্রেস টিভি নিষিদ্ধ ...বাংলাদেশে আমার দেশ, চ্যেনেল১, সোশ্যালমিডিয়ায় বাঁশেরকেল্লা, সোনারবাংলাদেশ ব্লগ নিষিদ্ধ ।
=:=ইউরুপের/আমেরিকার কোথাও শুধু নামায/ইবাদাত করতে চাইলে অনেকক্ষেত্রে খুব উৎসাহী হয়ে নামাযের ব্যাবস্থা করে দেবে আর যদি বলেন আমি নিজেও পড়ব অন্যদেরকে সেই দাওয়াতও দিতে চাই তাহলে কপাল খারাপ হতে কয়েকসেকেন্ডও লাগেনা; বাংলাদেশেও ইসলাম প্রতিষ্টার কথা বললে সেটা মধ্যযোগীয় আবদার এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চলতে বেশিক্ষন লাগেনা।
=:=এইভাবে কেউ চিন্তা করলে তাকে তালেবানের দোষর হিসেবে ধরে আবু গারিবে থ্যেরাপির ব্যবস্থা করা হয়(পাকিস্থানের আফিফা সিদ্দিকি) আর বাংলাদেশে করলে রাজাকারের পেইড চর হিসেবে আখ্যায়িত করে রিমান্ড মোবারক দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়(বাংলাদেশের মাহমুদুর রাহমান)।
=:=অবোধের মত বিশ্ব মুসলিমরা মোড়লরা যেভাবে সবজেনেও ললিপপ মুখে দিয়ে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত; বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ সব অন্যায় দেখেও নিজের পেঠ নিয়েই ব্যস্ত এবং এও বলে এগুলো সবই পলিটিক্স; আমার খাই দাই কাজ নাই??
আমার কথা এখানেই শেষ এবার আপনার প্রমানের পালা যে, এগুলোর একটিও মিথ্যা!
বিষয়: বিবিধ
২২০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন