এক ফ্যাসিবাদী ১৭ টি অজিফা একশত রোগ

লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৩০:৪১ বিকাল

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে জাদু আছে। তিনি চাইলে সবকিছু করতে পারেন। এমনকি তিনি নারীকে পুরুষ এবং পুরুষকে নারী বানাতে পারেন। এই অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলেই বোধ করি তিনি বলেছিলেন, ‘বিএনপিকে শিক্ষা দিচ্ছি আমরা।’ তার সেই শিক্ষাদান প্রকল্প এখন কোন পর্যায়ে আছে এবং বিএনপি তা থেকে কী কী জ্ঞান লাভ করেছে— তা অবশ্য আমরা জানতে পারিনি।

কিন্তু ইদানীং তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার অসিয়ত করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি।

চালুনি নিন্দা করে সুঁচকে, ভাইরে তোমার পেছনে ছিদ্র কিন্ত নিজের...? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কী অবদান আমরা জানি না, অবশ্য তিনি সে সময় জাতিকে যে ‘জয়’ দান করেছিলেন তার কথা বাদ দিলে মনে রাখতে হবে, সে সময় পুরো জাতি যখন যুদ্ধ করছে তখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবার পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে দু’হাত ভরে নিয়েছেন মাস প্রতি ১৫০০ টাকা ভাতা এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা।অথচ বেগম জিয়া তখন বন্দি।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামীর কী অবদান জানি না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার স্বামীর অবদান বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ জানে। তার ‘মহান পিতার’ কথা না হয় বাদই দিলাম।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুযোগ পেলেই বিদেশে চলে যাওয়া কার মজ্জাগত অভ্যাস, তাও দেশের মানুষ জানে। তারা আরও জানে, তিনি কোন দেশে চলে যাবেন।সুরঞ্জিত একবার বলেছিলেন, বাঘে ধরলে ছাড়া পাওয়া যায়, কিন্তু শেখ হাসিনা ধরলে তার আর রেহাই নেই। ইতিহাসের বড় শিক্ষা ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়া। এই শিক্ষা আমরা নেই না। নেই না বলেই অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারি না। ফলে বর্তমান হয়ে পড়ে সিদ্ধান্তহীন। ভবিষ্যত্যাত্রা হয়ে পড়ে অনিশ্চিত।

আমাদের দেশের গড়পরতা মানুষের স্মৃতিশক্তি খুবই ক্ষীণ। অনেকাংশে ইঁদুরের মতো। ইঁদুরের স্মৃতি ধারণক্ষমতা মাত্র তিন দিন। তারপর সে ভুলে যায়। আমাদের দেশের মানুষের এই ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ তিন বছর। তারপর সব ভুলে যায়। আগের অভিজ্ঞতাগুলোও আর স্মৃতিতে থাকে না।

এই সুযোগগুলোই রাজনীতিতে কাজে লাগায় অশুভ শক্তি। আর সাধারণ মানুষ বার বার ফাঁদে আটকে যায়। তারপর তড়পায়। ফাঁদে আটকে যাওয়া হরিণের মতো অসহায়ভাবে চিত্কার করে, কাঁদে। কিন্তু উদ্ধার আসে না। উদ্ধারের নামে যে আসে সে নিষ্ঠুর-হৃদয় শিকারি। সে হরিণকে হত্যা করে, হাড়-মাংস কেটেকুটে গনগনে চুল্লিতে কাবাব বানায়। ভুনা রান্না করে। তারপর পরিবেশন করে টেবিলে টেবিলে। তারপর মজা করে খায়।

শেখ হাসিনার তসবিহ, হেজাব, ক্ষমা প্রার্থনা যেমন মানুষ ভুলে গেছে, তেমনি ভুলে গেছে তার দুঃশাসনে পীড়িত-লাঞ্ছিত বাংলাদেশের আর্তচিত্কার। ফলে ফখর ও মইনের সাহায্যে মসনদে আসীন হয়ে আবার বড় বড় নীতিবাক্য আওড়ে যাচ্ছেন তিনি। আর আমরা নিরুপায় গাধার মতো তা শুনছি।

বর্তমান শাসনামল নিয়ে অনেকেই লিখছেন। কিন্তু ১৯৯৬-২০০১ সময় সম্পর্কে সবাই প্রায় নীরব। এর ফলে মুছে যাচ্ছে সেই ‘স্বর্ণযুগ’ যা নিয়ে বগল বাজাচ্ছে শাসকরা। এই শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই শাসনামলকে সবাই দুঃশাসন বলে অভিহিত করেন। সেসময় ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ‘লীগ-দুঃশাসনের পাঁচ বছর’ সিরিজে ১৭টি পুস্তিকা প্রকাশ করে। পুস্তিকাগুলো হলো—১. বিষ কন্যা শেখ হাসিনা ২. ডিগ্রি কন্যা শেখ হাসিনা ৩. আকাশ কন্যা শেখ হাসিনা ৪. টাকার মানহানি ৫. বাজারে আগুন ৬. শেয়ারবাজারে মাথায় বাস ৬. তামাশার উপনির্বাচন ৭. পাঠ্যবই কেলেঙ্কারি ৮. আর চাই না ৯. টপ টেন হাসিনা সরকারের শীর্ষ দশ ১১. দুর্নীতিতে নাম্বার ওয়ান ১২. দখল লীগ আওয়ামী লীগ ১৩. আওয়ামী দুঃশাসনে লাঞ্ছিত নারী ১৪. খেলাপি কন্যা শেখ হাসিনা ১৫. সন্ত্রাসের শাসন ১৬. চাওয়া পাওয়ার গণভবন ১৭. আওয়ামী তথ্য সন্ত্রাস আক্রান্ত সাংবাদিক। এইপুস্তিকাগুলো যারা প্রণয়ন করেছিলেন তারা গবেষণা পদ্ধতি ও তথ্য সন্নিবেশ সংক্রান্ত প্রমাণীকরণ ধারণা সম্পর্কে সম্যক সতর্ক ছিলেন না। তারপরও শেখ হাসিনার ওই শাসনামলের সবচেয়ে বড় প্রামাণ্য দলিল ওই (অজিফা )পুস্তিকাগুলো।

আমাদের দেশের গড়পরতা মানুষের স্মৃতিশক্তি খুবই ক্ষীণ। অনেকাংশে ইঁদুরের মতো। ইঁদুরের স্মৃতি ধারণক্ষমতা মাত্র তিন দিন। তারপর সে ভুলে যায়। আমাদের দেশের মানুষের এই ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ তিন বছর। তারপর সব ভুলে যায়। আগের অভিজ্ঞতাগুলোও আর স্মৃতিতে থাকে না।

এই সুযোগগুলোই রাজনীতিতে কাজে লাগায় অশুভ শক্তি। আর সাধারণ মানুষ বার বার ফাঁদে আটকে যায়। তারপর তড়পায়। ফাঁদে আটকে যাওয়া হরিণের মতো অসহায়ভাবে চিত্কার করে, কাঁদে। কিন্তু উদ্ধার আসে না। উদ্ধারের নামে যে আসে সে নিষ্ঠুর-হৃদয় শিকারি। সে হরিণকে হত্যা করে, হাড়-মাংস কেটেকুটে গনগনে চুল্লিতে কাবাব বানায়। ভুনা রান্না করে। তারপর পরিবেশন করে টেবিলে টেবিলে। তারপর মজা করে খায়।

শেখ হাসিনার তসবিহ, হেজাব, ক্ষমা প্রার্থনা যেমন মানুষ ভুলে গেছে, তেমনি ভুলে গেছে তার দুঃশাসনে পীড়িত-লাঞ্ছিত বাংলাদেশের আর্তচিত্কার। ফলে ফখর ও মইনের সাহায্যে মসনদে আসীন হয়ে আবার বড় বড় নীতিবাক্য আওড়ে যাচ্ছেন তিনি। আর আমরা নিরুপায় গাধার মতো তা শুনছি। শেখ হাসিনার তসবিহ, হেজাব, ক্ষমা প্রার্থনা যেমন মানুষ ভুলে গেছে, তেমনি ভুলে গেছে তার দুঃশাসনে পীড়িত-লাঞ্ছিত বাংলাদেশের আর্তচিত্কার। ফলে ফখর ও মইনের সাহায্যে মসনদে আসীন হয়ে আবার বড় বড় নীতিবাক্য আওড়ে যাচ্ছেন তিনি। আর আমরা নিরুপায় গাধার মতো তা শুনছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে অন্যায়-অবিচার-দুঃশাসনের বর্ণনা প্রকাশ করা সীমিত আকারে অসম্ভব। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, দলীয়করণ, দখল, নামকরণ, হত্যাকাণ্ড, অপচয়সহ অজস্র বিষয়ে আওয়ামী লীগ একের পর এক রেকর্ড করে গিয়েছে। পাঁচ বছরের শাসন আমলে আওয়ামী লীগ দেশকে নিয়ে গিয়েছে দুঃশাসনের সর্বশীর্ষে।

এসব অন্যায়, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ঘটনা, বোমা হামলার কোনো তদন্ত হয়নি, বিচার হয়নি। বিচার ছাড়াই সাধারণ মানুষ অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত আর আওয়ামী সরকার চালিয়েছে তাদের একচ্ছত্র রাজত্ব।

আওয়ামী আমলে ঘটে যাওয়া ১০০ নির্বাচিত বিষয়ের শীর্ষ দশটি করে তালিকা । এতে করে আওয়ামী দুঃশাসনের প্রকৃত ছবিটি কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে।

শীর্ষ দশ সন্ত্রাসী:-১/ জয়নাল হাজারী : একের পর এক রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী উক্তি ও কাজ করে ফেনীর গডফাদার আওয়ামী এমপি জয়নাল হাজারী পুরো ফেনীকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করে। আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনা এই সন্ত্রাসীর পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নেন।

২/ শামীম ওসমান : নারায়ণগঞ্জকে অবরুদ্ধ ও খালেদা জিয়াকে এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করাসহ বিরোধী মতের গলা টিপে ধরে এই সন্ত্রাসী আওয়ামী এমপি।

৩/ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ : পুরো বরিশালে একক আধিপত্য বিস্তার করে আতঙ্কময় পরিবেশের জন্ম দেন শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় এই আওয়ামী চিফ হুইপ।

৪/ আবু তাহের : লক্ষ্মীপুরের এই আওয়ামী নেতা হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ পুরো লক্ষ্মীপুরকে মৃত্যুনগরীতে পরিণত করে।

৫/ ডা. এইচবিএম ইকবাল : অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনার জন্ম দেয়াসহ ঢাকার রাজপথে এই আওয়ামী এমপির নেতৃত্বে মিছিল থেকে গুলি করে চারজনকে মেরে ফেলা হয়।

৬ / হাজি মকবুল : ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকায় এই আওয়ামী এমপি বিরোধী মিছিলে হামলা চালিয়ে হত্যাসহ পুরো এলাকায় সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলে।

৭ / হাজি সেলিম : সন্ত্রাসী ক্যাডার নিয়ে চলাচল, পুলিশের হাত থেকে সন্ত্রাসী ছিনিয়ে নেয়া, বুড়িগঙ্গা নদী দখলসহ ঢাকা-৮ নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য এই আওয়ামী এমপি নিন্দিত হয়।

৮ / আখতারুজ্জামান বাবু : ব্যাংক দখলসহ হুমায়ূন জহির হত্যাকাণ্ডের আসামি হওয়া ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কাজের জন্য চট্টগ্রামের আওয়ামী এমপি আখতারুজ্জামান বাবু নিন্দিত হয়।

৯ / আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ : বিরোধী দলের কর্মীকে ঝুলিয়ে শাস্তি দেয়াসহ গফরগাঁওয়ের এই আওয়ামী এমপি প্রকাশ্যে নানান সন্ত্রাসী উক্তি করে।

১০ / মহিবুর রহমান বোমা মানিক : সিলেটের সুনামগঞ্জের এই এমপির বাড়িতে বোমা তৈরির সময় তা বিস্ফোরিত হলে তার নাম হয় বোমা মানিক। সিলেটের সন্ত্রাসী এমপি হিসেবে তার পরিচয় ঘটে সর্বত্র।

শীর্ষ দশ দুর্নীতি:-১ / শেয়ারবাজার : আওয়ামী ব্যর্থ অর্থনীতির কারণে ১৯৯৬ সালে হাজার হাজার মানুষ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়। পাচার হয়ে যায় দেশের এক কোটি ডলার।

২/ পাঠ্যবই : আওয়ামী এমপি প্রার্থী সালমান রহমানের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর দুর্নীতিতে দেশজুড়ে স্কুলের ছেলেমেয়েরা তাদের পাঠ্যবই থেকে বঞ্চিত হয়।

৩/ বিদ্যুত্ : বিদ্যুত্ সেক্টরে ব্যাপক আওয়ামী দুর্নীতির প্রমাণস্বরূপ ঘন ঘন লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপন্ন হয়।

৪/ রাজউক প্লট : শেখ পরিবারের ৩৮ জন সদস্যসহ আওয়ামী অনুগতদের গুলশান, বনানী, উত্তরা মডেল শহরে রাজউকের মোট ৩০১টি প্লট বরাদ্দসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় প্লটের ক্ষেত্রে আওয়ামীকরণ হয়।

৫/ ন্যাম ফ্ল্যাট : অনুষ্ঠিতব্য ন্যাম সম্মেলনের জন্য তৈরি করা ফ্ল্যাট আওয়ামী সমর্থকদের গোপনে ভাগ-ভাটোয়ারা করে দেয়া হয়।

৬/ ইটিভিকে অনুমোদন : সম্পূর্ণ অযোগ্য ও লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান হয়েও শুধু শেখ হাসিনার আনুকূল্যে ইটিভি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ব্যবহারের অনুমোদন পায়।

৭/ ফ্রিগেট : দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে নৌবাহিনীর জন্য সোয়া কোটি ডলারের ফ্রিগেট কেনা হয়।

৮/ মিগ-২৯ : সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা আত্মসাত্ করে আওয়ামী লীগ সরকার মিগ-২৯ বিমান কেনে, যা দেশে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।

৯/ টেলিকম : টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের কিস্তিতে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার কেনাকাটা হয়।

১০/ গ্যাস ফিল্ড : গ্যাস উত্তোলনে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে বিদেশি কোম্পানিকে অন্যায্য ও বেশি শেয়ার দেয়া হয়।

শীর্ষ দশ নারী নির্যাতন:-১/ তানিয়া : আওয়ামী ছোবল থেকে চার বছরের তানিয়া রক্ষা পায়নি। তাকে ধর্ষণ করা হয়।

২/ মনি বেগম : ঢাকার রাজপথে আন্দোলনরত অবস্থায় বিএনপি কর্মী মনি বেগমের কাপড় খুলে নেয় আওয়ামী পুলিশ।

৩/ সীমা : নিরাপদ হেফাজতে আওয়ামী সরকারের পুলিশি নির্যাতনে নিহত হয় সীমা।

৪/ সেঞ্চুরি মানিক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মানিক ও তার সঙ্গীরা ব্যাপকভাবে ধর্ষণ চালায় সাধারণ ছাত্রীদের ওপর। ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

৫/ এসিড : সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অসংখ্য মেয়ের ওপর এসিড নিক্ষেপ করে।

৬/ বাঁধন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্মীরা কাপড় খুলে নিয়ে লাঞ্ছিত করে বাঁধনকে। আওয়ামী সন্ত্রাসী এমপি জয়নাল হাজারী আন্দোলন করেন বাঁধনের বিরুদ্ধে ও বই লেখেন বাঁধনের বিচার চাই।

৭/ সাদেকের টার্গেট : আওয়ামী চিফ হুইপ হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে সাদেক আবদুল্লাহ পথে ধাওয়া এবং গুলি করে অপহরণ করতে চায় এক ইঞ্জিনিয়ারের দুই মেয়েকে।

৮/ ব্রিটিশ নারী : গুলশান পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইতে গিয়ে ধর্ষিত হয় এক ব্রিটিশ নারী।

৯/ আলো : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির লংমার্চে বাধা দিয়ে শামীম ওসমান বাহিনী বাস থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করে তরুণী আলো এবং আরও কয়েকজন নারীকে।

১০/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা এক ছাত্রীর লাঞ্ছনার পাশাপাশি শিক্ষকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়।

শীর্ষ দশ সোনার ছেলে:-১/হাসানাত আবদুল্লাহর তিন পুত্র : আওয়ামী চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর তিন ছেলে সাদেক, মইন ও আশেকের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ঢাকাবাসী ছিল তটস্থ।২ / মায়া পুত্র : আওয়ামী প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল মায়ার ছেলে দিপু চৌধুরী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বাবাকেও ছাড়িয়ে যায়। উত্তরায় জমি, মার্কেট ইত্যাদি দখল ছিল উল্লেখযোগ্য।

৩ / এসএ মালেক পুত্র : শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এসএ মালেকের ছেলে ডা. মামুন বিএমএ-তে দলীয়করণ এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত হন।৪ / কামাল পুত্র : তরুণ ব্যবসায়ী শিপুকে গুলি করে হত্যা করে আওয়ামী এমপি কামাল মজুমদারের ছেলে জুয়েল।৫/ মকবুল পুত্র : আওয়ামী এমপি মকবুলের ছেলে মাসুদ এবং পান্না বহু চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী আছে।৬/ হানিফ পুত্র : মেয়র হানিফের ছেলে এবং আওয়ামী এমপি প্রার্থী সাঈদ খোকন গুলশান লেক দখল করে বাড়ি তৈরি ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে কুখ্যাত হয়। ৭/ হাসিনা বান্ধবী পুত্র : সূত্রাপুরে রাইফেলস ক্লাবে জোড়া খুন ঘটিয়ে লাশগুলোকে টুকরো করেছে হাসিনার বান্ধবীর ছেলে সুমন।৮/ আখতারুজ্জামান বাবু পুত্র : আওয়ামী এমপি আখতারুজ্জামান বাবুর পুত্র জাভেদ বাবার ব্যাংক দখলের মতোই চট্টগ্রাম চেম্বার দখল করে নেয়।

৯/তাহের পুত্র : আওয়ামী নেতা লক্ষ্মীপুরের কসাই আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লব ধর্ষণ, হত্যাসহ বহু অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

১০/মোশাররফ পুত্র : আওয়ামী মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের পুত্র সুমু বহু অবৈধ অস্ত্রসহ ধরা পড়ে।

শীর্ষ দশ নামকরণ:-১/ যমুনা সেতু : যমুনা সেতুর ৮০ ভাগ কাজ বিএনপি করলেও সেতুর নাম শেখ মুজিবের নামে রাখে আওয়ামী লীগ।২/ পিজি হসপিটাল : সবার কাছে পরিচিত পিজি হসপিটালের নাম বদলে শেখ মুজিবের নামে রাখে আওয়ামী সরকার।৩/ স্টেডিয়াম : ঢাকা স্টেডিয়ামের নাম বদলে শেখ মুজিবের নামে রাখে আওয়ামী লীগ সরকার।৪/ ফ্রিগেট : নৌবাহিনীর জন্য কেনা যুদ্ধ জাহাজ ফ্রিগেটের নাম শেখ মুজিবের নামে রাখা হয়।৫/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শেখ মুজিব, তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনের নামে গণহারে রাখা হয়।৬/ রাজধানীর পথ : রাজধানীর পথঘাটের নাম শেখ মুজিবের আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের নামে রাখা হয়।৭/ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স : মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নাম শেখ মুজিবের ছেলের বৌ-এর নামে রাখা হয়। ৮/ নভোথিয়েটার ও ন্যাম সম্মেলন কেন্দ্র : নির্মাণ করার আগেই নভোথিয়েটার ও ন্যাম সম্মেলন কেন্দ্রের নামকরণ শেখ মুজিবের নামে হয়।

৯/ চলচ্চিত্র পল্লী : চলচ্চিত্র পল্লী তৈরি কবে হবে তা ঠিক না করেই পল্লীর নাম করা হয় শেখ মুজিবের নামে।১০/ ব্যাংক নোট : ব্যাংক নোটে ব্যাপকভাবে শেখ মুজিবের ছবি ব্যবহার হয়।

শীর্ষ দশ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড:-১/ মালিবাগ-ইকবাল মিছিল : আওয়ামী এমপি ইকবালের নেতৃত্বে মালিবাগে আওয়ামী মিছিল থেকে গুলি করে চারজনকে হত্যা করা হয়।২/ শামছুর রহমান : সাংবাদিক শামছুর রহমান কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হাতে মারা যান।৩/ আলফ্রেড সরেন : নওগাঁয় আদিবাসী নেতা আলফ্রেড সরেন নিহত হন আওয়ামী সমর্থিত জোতদারদের হাতে। ৪/ কালিদাস বড়াল : আওয়ামী ভিন্নমতাবলম্বী আইনজীবী কালিদাস বড়াল দলীয় সন্ত্রাসের শিকার হন।

৫/ হাবিবুর রহমান মণ্ডল : আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী কর্মীদের হাতে মারা যান বিএনপি নেতা ও আইনজীবী হাবিবুর রহমান মণ্ডল। ৬/ এইট মার্ডার : আওয়ামীপন্থী ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় ছাত্রলীগের আট সদস্য। এ ঘটনার পর এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনা তার কর্মীদের আরও খুন করতে উসকে দেন।

৭/ অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম : লক্ষ্মীপুরে অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম অপহৃত। তার লাশ পাওয়া যায়নি। এর পেছনে জেলা আওয়ামী সম্পাদক আবু তাহের, তার ছেলে ও তার ভায়রা জড়িত ছিলেন।

৮/ সূত্রাপুরের জোড়া খুন : শেখ হাসিনার বান্ধবী নগর আওয়ামী লীগ নেত্রী নসিবুন্নাহারের ছেলে সুমন অভিযুক্ত হয় সায়েম ও মহসিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বারো টুকরো করার দায়ে।৯/ সজল : আওয়ামী এমপি মকবুলের নেতৃত্বে বিএনপি মিছিলে গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী সজল।

১০/ মুকুল, মির্জা ইলিয়াস, নহর আলী : সাংবাদিক মুকুল, সাংবাদিক মির্জা ইলিয়াস এবং সাংবাদিক নহর আলী আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।

শীর্ষ দশ হত্যা:-১/ বুশরা : আওয়ামী নেতা কাদেরের হাতে নিষ্ঠুরভাবে খুন হয় রামপুরা হাজীপাড়ার তরুণী ছাত্রী বুশরা ফুল।

২/ শিপু : আওয়ামী এমপি কামাল মজুমদারের ছেলে জুয়েল খুন করে বনানীর তরুণ ব্যবসায়ী শিপুকে।৩/ শাজনীন : বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কিশোরী মেয়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয় জনৈক আওয়ামী মন্ত্রীর আত্মীয়।

৪/ তারাজউদ্দিন : উত্তরায় আওয়ামী এমপি মায়া পুত্র দিপু চৌধুরীর বাহিনীর হাতে খুন হন তারাজউদ্দিন।৫/ তুহিন : জেলখানায় আওয়ামী পুলিশি নির্যাতনে নিহত হন তুহিন।৬/ রুবেল : আওয়ামী নেত্রী মুকুলী বেগমের সহযোগিতায় সিদ্ধেশ্বরীতে তরুণ মেধাবী ছাত্র রুবেলকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে আওয়ামী পুলিশ।৭/ সীমা : নিরাপদ হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী নির্যাতনে নিহত হন সীমা।৮/ নুরুজ্জামান : আওয়ামী পুলিশের নির্যাতনে নিহত হন নূরুজ্জামান।৯/ সুরত আলি : ঢাকা এয়ারপোর্টে নিরাপত্তাকর্মীরা পিটিয়ে মেরে ফেলে লন্ডন প্রবাসী সুরত আলিকে।১০/ জালাল : ডিবি অফিসের পানির ট্যাঙ্কে খুঁজে পাওয়া যায় পুলিশের ইনফর্মার জালালের লাশ।

শীর্ষ দশ বোমাবাজি:-১/ রমনা : বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলের কাছে বোমা বিস্ফোরণে দশজন নিহত হয়।

২/ উদীচী : যশোরের টাউন হল মাঠে উদীচীর মঞ্চের কাছে বোমা বিস্ফোরণে দশজন নিহত হয়।৩/ সিপিবি : পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিবিপি) জনসভা চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়।৪/ নারায়ণগঞ্জ : দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণে ২২ জন নিহত।৫/ গির্জা : গোপালগঞ্জের বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জার ভেতরে বোমা বিস্ফোরণে দশজন নিহত হয়।৬/ আহমদিয়া মসজিদ : খুলনায় আহমদিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন মুসল্লি নিহত হয়।৭/ বাটা : ঢাকায় মিরপুরে বাটা দোকানে বোমা বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়।৮/ কোটালিপাড়া : গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনার সভাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা আবিষ্কৃত হয়।৯/ জনকণ্ঠ : জনকণ্ঠ অফিস থেকে ব্রিফকেসে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী বোমার সন্ধান পাওয়া যায়।১০/ রাপা প্লাজা : ধানমন্ডিতে অবস্থিত ওয়ান স্টপ শপিং সেন্টার রাপা প্লাজার দোতলা থেকে একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।

শীর্ষ দশ দখল:-১/ গণভবন ও রেহানার বাড়ি : শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাতে সরকারি বাড়ি দখল করেন।২/ নদী ও লেক : আওয়ামী এমপি হাজি সেলিম বুড়িগঙ্গা নদী দখল করেন। ধানমন্ডি লেকসহ আরও কিছু লেক তার দখলে যায়।৩/ পতিতা পল্লী : আওয়ামী এমপি শামীম ওসমান ও অন্যরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন পতিতালয়ে হামলা ও দখল করে।৪/ ভোট কেন্দ্র : হাসিনার আমলে বিভিন্ন উপনির্বাচনে আওয়ামী কর্মীরা বহু ভোট কেন্দ্র দখল করে নেয়।

৫/ জমি : আওয়ামী নেতাকর্মী এবং চিফ হুইপ, মন্ত্রী ও এমপি পুত্ররা সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় জমি দখল করে।

৬/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ছাত্রলীগের মাস্তানরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আওয়ামী শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের সমর্থনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের সশস্ত্র দখল বজায় রাখে।৭/ বাড়ি : হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে সাদেক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের বহু প্রভাবশালী নেতা, এমপি এবং নানা স্তরের কর্মীরা দেশজুড়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি দখল করে।৮/ রাজপথ : বিএনপি বিরোধী দলে থাকলেও হরতাল ও অন্যান্য অজুহাতে রাজপথ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দখলে রাখে।

৯/ ব্যাংক দখল : আওয়ামী নেতা যেমন ব্যাংকের বোর্ড দখল করেন, তেমনি ব্যাংকগুলোতে পরিচালক ও চেয়ারম্যান পদে নিজেদের লোক বসিয়ে হাসিনার সরকার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখে।১০/ স্কুল দখল : আওয়ামী এমপিরা বিভিন্ন স্কুল কমিটির সভাপতি হয়ে ঢাকার ভিকারুননেসা নূন স্কুলের তিন একর জমি দখল করে ব্যক্তি মালিকানায় বিশ্ববিদ্যালয় বানায়, তেজগাঁও কলেজ, কমার্স কলেজ, মিরপুর কলেজ, আইডিয়াল স্কুলসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে।

শীর্ষ দশ দলীয়করণ:-১/ প্রশাসন : প্রশাসনে সচিব থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত দলীয়করণ করে আওয়ামী লীগ।

২/ পুলিশ : পুলিশের শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে এসপিসহ নতুন ভর্তি নেয়া পুলিশের ক্ষেত্রে আওয়ামীকরণ করা হয়।৩/ টিভি রেডিও বাসস : বিটিভি, বেতার, বাসস—এসব রীতিনীতি ভেঙে আওয়ামীপন্থীদের চাকরি দেয়া হয়।৪/ বিচার বিভাগ : বিচার বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামীপন্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়।৫/ বিসিএস : মেধাবী ছাত্রদের বাদ দিয়ে আওয়ামী ছাত্রদের বিসিএসে চাকরি দিয়ে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়।৬/ ইউনিভার্সিটি : বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ পর্যন্ত আওয়ামী আনুগত্যকেই প্রাধান্য দেয়া হয়।৭/ ক্রীড়াঙ্গন ও সংস্কৃতি : ফুটবল, ক্রিকেটসহ ক্রীড়া সংস্কৃতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আওয়ামীপন্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়।৮/ ব্যবসায়ী সংগঠন : এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে আওয়ামীকরণ করা হয়।৯/ ব্যাংক : বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে আওয়ামী সরকার।

১০/ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ : মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট দেয়াসহ সংগঠনের ভেতর আওয়ামীকরণ ছিল অন্যতম লক্ষ্য।

শীর্ষ দশ ওয়াদা ভঙ্গ:-১/ সন্ত্রাস দমন : সন্ত্রাস দমনে চরমভাবে ব্যর্থ আওয়ামী লীগ তাদের এমপি ও নেতা, নেতা পুত্র-কর্মীদের সন্ত্রাসে নিজেদের সন্ত্রাসী দলে পরিণত করে।২/ দুর্নীতি দমন : দুর্নীতি দমনের কথা বলে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী সরকার দেশকে বিশ্বের এক নাম্বার দুর্নীতিপরায়ণ দেশে পরিণত করে।৩/ বিশেষ ক্ষমতা আইন : বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের কথা বলে ক্ষমতায় এসে উল্টো তিনটি নতুন কালো আইন জননিরাপত্তা আইন, কটূক্তি আইন এবং দুইবোন নিরাপত্তা আইন তৈরি করে।৪/ টিভিতে চেহারা : টিভিতে চেহারা দেখাবেন না বললেও শেখ হাসিনা বিটিভির অধিকাংশ সময় এবং ইটিভিতে নানানভাবে উপস্থিত হন। ৫/ পাটের দাম পাঁচশ’ টাকা : পাটের দাম পাঁচশ’ টাকা হবে বলে ঘোষণা দেয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনা কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেন শেষ দিন পর্যন্ত।

৬/ সম্পত্তির হিসাব : মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশের কথা থাকলেও তা হয়নি। বরং ক্ষমতার শেষে গণভবন দখল করে হাসিনা তার একটি সম্পত্তি বৃদ্ধি করেন।৭/ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা : বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বললেও বাস্তবে বিচার বিভাগকে লাঠি দেখায় আওয়ামী লীগ।৮/ প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা : প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হবে বললেও তা করেনি। বরং শিক্ষকরা ঘাস খেয়ে প্রতিবাদ করবেন বলে জানান।

৯/ রাস্তা বন্ধ : ক্ষমতায় গেলে তার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ হবে না বলা হলেও তিনি ক্ষমতা ছাড়ার পরও এসএসএফ, পুলিশ এখনও রাস্তা বন্ধ করে রাখে। ১০/ দ্রব্যমূল্য : দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতার কথা বলে এসে দ্রব্যমূল্যকে আকাশছোঁয়া করেন শেখ হাসিনা।

শীর্ষ দশ অপচয়:-১/ রেহানা-হাসিনা নিরাপত্তা ব্যয় : আইন পাস করে হাসিনা ও রেহানা তাদের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রের খরচে ১৯৭৫ জন কর্মী এবং ১০৫টি যানবাহনের সুযোগ নেন। ২/ বিদেশ যাত্রা : অপ্রয়োজনীয়ভাবে শেখ হাসিনা ২৪৮ দিন বিদেশে কাটিয়ে দেশের বিপুল পরিমাণ টাকা নষ্ট করেন।৩/ ডক্টরেট ডিগ্রি/ নোবেল : বিদেশ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি, পদবি, পদক কেনার পাশাপাশি অভিযোগ আছে নোবেলপ্রাপ্তির তদবিরে শেখ হাসিনার জন্য খরচ হয় তিন কোটি টাকা।৪/ ডগ স্কোয়াড : বিদেশ থেকে ট্রেনিং পাওয়া কুকুর আনা ও তাদের রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা খরচ হয়।৫/ ন্যাম প্রস্তুতি : ন্যাম সম্মেলন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সম্মেলন কেন্দ্র, ফ্ল্যাট প্রভৃতির পেছনে কয়েকশ’ কোটি টাকা অপচয় হয়।৬/ পোস্টার : শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে সরকারি খরচে চার রঙা পোস্টার লাখ লাখ কপি ছাপা হয়।৭/ সংবর্ধনা : ক্রিকেট দলের বিজয়, শেখ হাসিনার নানান পদক লাভ প্রভৃতির জন্য অসংখ্য অপ্রয়োজনীয় ও ব্যয়বহুল সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়।

৮/ রিকশা লেন : রিকশার আলাদা পথ করার নামে অর্ধসমাপ্ত অপ্রয়োজনীয় রিকশা লেন করে রাজধানীতে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়।

৯/ ৩২ নাম্বার রোড : ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার সড়কে দামি টাইলস, লেকের ওপর নানা স্থাপত্য নির্মাণে বিপুল ব্যয় করা হয়।

১০/ বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট : বিপুল ব্যয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের নামে তৃতীয় শ্রেণীর কিছু দল নিয়ে বর্ষাকালে স্টেডিয়ামের হাঁটু পানিতে আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট।

শীর্ষ দশ ব্যর্থতা:-১/ আইন-শৃঙ্খলা : আওয়ামী আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। দেশজুড়ে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে। শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী উক্তির পাশাপাশি আওয়ামী এমপি, নেতাকর্মী, নেতাপুত্ররা সরাসরি সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।২/ বিদ্যুত্ : ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুত্মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ হন শেখ হাসিনা।৩/ গ্যাস : গ্যাস সরবরাহের অনিশ্চয়তা নাগরিক জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। গ্যাসবিহীন রান্নার কাজে কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দেয় হাসিনা সরকার।৪/ পানি : পানির অভাবে মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। খাবার পানিতে ময়লাসহ পানি সরবরাহে বিপর্যয় ছিল হাসিনা সরকারের বড় ব্যর্থতা।৫/ পাঠ্যবই সরবরাহ : আওয়ামী এমপি প্রার্থী সালমান রহমানের দুর্নীতির কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় হাসিনা সরকার।৬/ যান দুর্ঘটনা ও যানজট : দেশজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলে। আওয়ামী সরকারের ব্যর্থতায় ঢাকাসহ সারা দেশের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট ছিল নিয়মিত ঘটনা। ৭/ কূটনৈতিক ব্যর্থতা : বাংলাদেশের বিডিআর বাহিনী বীরত্বপূর্ণ সীমান্ত সাফল্য পেলেও শেখ হাসিনা ভারতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এছাড়া কোটি কোটি টাকা খরচ করে দলীয় লোকজনকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে ব্যর্থ হয় আওয়ামী সরকার।৮/ অর্থনৈতিক ব্যর্থতা : আওয়ামী সরকার আমলে ১৮ বার টাকার মান কমানো হয়। ফলে টাকার দাম এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়। শেষ বছরে প্যারিস কনসোর্টিয়াম থেকে কোনো অর্থ সাহায্য বাংলাদেশ পায়নি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে হাজার হাজার ব্যক্তি নিঃস্ব হয়ে যায়।

৯/ পানি চুক্তি : ভারতের সঙ্গে বহু প্রচার চালিয়ে পানি চুক্তি করে হাসিনা সরকার। কিন্তু পানি চুক্তি শুধু নয়, চুক্তি মতো পানির কিছুই এ দেশে আসে না।

১০/ শান্তি চুক্তি : পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনীর সঙ্গে গোপন সমঝোতায় যে চুক্তি করা হয় তার কিছুই পালন করা হয়নি। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস, অপহরণের ঘটনা নিয়মিত ঘটে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী দুঃশাসন (১৯৯৬-২০০১) সম্পর্কে সে সময় ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘যাদের একটি দোকান চালানোর যোগ্যতা নেই, তারা আজ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে।’ সঙ্গত কারণে অযোগ্য, অদক্ষ, অপদার্থ, অর্বাচীন শাসকদের অনৈতিক, অরাজনৈতিক, অগণতান্ত্রিক জংলি শাসনে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল দেশ।

আমাদের সবার সম্মিলিত ভুলের কারণে সেই ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার ক্ষমতার সিংহাসনে বসে দেশকে পরিণত করেছে মৃত্যু উপত্যকায়।নৌকা চলছে রক্তের উপর দিয়ে এবং রক্তে ভাসছে বাংলাদেশ।তবে কোনো রক্তদানই কখনও বৃথা যায়নি, এবারের রক্তপাতও যেন বিফল না হয়—সেই প্রত্যাশা সবার।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File