মিথ্যাবাদীরা কুৎসা রটনা করে থাকলে, তারা ধ্বংস হোক।
লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:৫৩:২৬ সন্ধ্যা
গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার সৌন্দর্য হলো, সব দলমতের মানুষ এখানে শান্তিপূর্ণভাবে তার প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ করতে পারে। তাই দেখা যায়, সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরের প্রতিবাদে লন্ডনের রাস্তায় কালো পতাকা প্রদর্শন করলে পুলিশ তাদের ঘিরে রেখে নিরাপত্তা দেয়। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা যেন প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালাতে না পারে কিংবা প্রতিবাদীদের কেউ যেন আবেগের বশে জানমালের ক্ষতি করে না বসে। এমন ঘটনা শুধু লন্ডন নয়, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, প্যারিস, পিন্ডি, করাচি, দিল্লি, কলকাতা সর্বত্রই দেখা যায়। এর ব্যতিক্রমও আছে, যেমন মিয়ানমারের সামরিক সরকার প্রতিদিন প্রতিবাদী জনতার মিছিলে গুলি করছে। নির্বিচারে মানুষ মারছে। গত ২৯ মার্চ মিয়ানমারের বিমানবাহিনী নিজ দেশের জনগণের ওপর আকাশ থেকে বোমা ফেলার নিকৃষ্ট নজির বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করেছে। এর প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। আসলে স্বৈরশাসকরা রক্তের শক্তি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয় বলেই রক্ত ঝরাতে দ্বিধা করে না। তারা জানে না, লক্ষ-কোটি রক্তের ফোঁটার মধ্য থেকে কারো কারো কয়েক ফোঁটা রক্তপাতেই মসনদ উঠে যায়। যেমন- সাধারণ এক কৃষক কন্যা জোয়ান অব আর্কের আত্মদান মুক্তি দিয়েছে ফ্রান্সবাসীকে।
শহীদ ডা. মিলনের রক্ত ঝরার সাথে সাথে পতনঘণ্টা বেজেছিল স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। রক্তফোঁটা বারুদের মতো বিস্ফোরিত হওয়ার ঘটনার কারণেই সতর্ক স্বৈরশাসকরা সহজে ঐ পথে পা বাড়াতে চায় না। কিন্তু তাদের অতি উৎসাহী সমর্থকরা তিলকে তাল বানিয়ে বড় বিপদ ডেকে আনে।
বাংলাদেশে চলছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মহোৎসব। প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, ও ভারতের সরকারপ্র ধানরা আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন এই উৎসব আয়োজনে। একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া সবাইকে এদেশের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু নেতিবাচক ব্যক্তি ইমেজ ও ভারতের বাংলাদেশবিরোধী আগ্রাসী নীতির কারণে নরেন্দ্র মোদির আগমনকে এদেশের আলেম-সমাজ ও বামধারার একটি অংশ ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি। তারা তাদের এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সরকার সমর্থকদের উসকানিতে তা আর শান্তিপূর্ণ থাকেনি। স্বাধীনতা দিবসে নিরীহ মাদরাসাছাত্রদের রক্তে লাল হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি। হেফাজতে ইসলামের দাবি, তাদের ১৭ ছাত্রকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন। আমরা এই অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ঘটনার নিন্দা জানাই। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা মনে করি, সরকারের অগণতান্ত্রিক মানসিকতার কারণেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের রক্ত ঝরছে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে হত্যা, সন্ত্রাস, খুন-গুমের মতো অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটা বন্ধ করবে।
দালাল মিডিয়া কিংবা সোস্যাল মিডিয়া সকলে পড়ে আছে হেফাজতে ইসলাম আর আল্লামা মামুনুল হককে নিয়া! এই দিকে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছাত্র-যুব অধিকার পরিষদকে হামলা হামলা দিয়ে শেষ করে দিচ্ছে ভোটারবিহীন এই অবৈধ সরকার।
ভিপি নুরকে গুম করার মতো অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটা, ভিপি নুরকে বাদ দিয়ে তার আশেপাশের সকলের নামে কমপক্ষে ৩ টি করে মামলা দিয়েছে।অবৈধ সরকার কৌশল পরিবর্তন করে ভিপি নুরকে বাদ দিয়ে এবার তার আশেপাশের সকলের নামে মামলা দিয়েছে, কিন্তু ভিপি নুরের নামে মামলা দেয়নি! যাতে করে মিডিয়াতেও হইচই না হয়, আর সাধারণত মানুষও কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখায়।
যাকেই পুলিশ কিংবা ডিবি ধরছে সাধারণ কর্মী থেকে শীর্ষ নেতা সকলকে ঠুনকো কারণে কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই এক একজন ছাত্রনেতাকে ২ দিন ৪ দিন রিমান্ডে নিয়ে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে।জনগণের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে। কারণ এমন আচরণ কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না, বরং পরিস্থিতিকে আরো জটিল করবে।
সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হক সাহেবের দাড়িতে হাত দিয়ে টানা হেঁচড়াকারি যুবলীগ নেতাকে ধরেছে ছাত্রজনতা। অপকর্ম করে কেউ কখনো পার পায়না উটা প্রমাণ।
এদিকে আল্লামা মামুনুল হক প্রধানমন্ত্রীসহ যারা মিথ্যাচার করছেন তাদের প্রতি ( মুবাহালা ) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন :
তিনি দীপ্ত কন্ঠে বলেছেন, আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমার কথা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে আল্লাহপাক যেন আমার উপরে গজব নাজিল করেন।
আর আমার কথা সত্য হয়ে থাকলে এবং মিথ্যাবাদীরা কুৎসা রটনা করে থাকলে, তারা ধ্বংস হোক।
এবার যারা আল্লামা মামুনুল হককে অভিযুক্ত করছেন, বুকে সাহস থাকলে তারাও এভাবে বলুন।
মুবাহালা ইসলামিক শরীয়তে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বীকৃত বিষয়। এটা ফেলনা বিষয় নয়।
১. রটনাকারীরা মিথ্যাচারের পথ পরিহার করুন।
২. নতুবা সাহস থাকলে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।
৩. নতুবা ধ্বংসের জন্য অপেক্ষা করুন।
???? জেনে নিন, মুবাহালা কী?
মুবাহালা মানে দলীল দ্বারা অমিমাংসিত বিষয়ে উভয় পক্ষ মিথ্যাবাদীর উপর অভিসম্পাত করবে। মিথ্যাবাদীর উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব নাজিল হবে। (সাধারণত চল্লিশ দিনের মধ্যেই হয়ে থাকে)
যারা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পিছু হটবে তারা মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হবে।
প্রসিদ্ধ আছে একবার আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী রহি. গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মিথ্যাবাদী হওয়ায় পরবর্তীতে সে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
আল্লামা মামুনুল হক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেনঃ
আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমার কথা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে আল্লাহপাক যেন আমার উপরে গজব নাজিল করেন।
আর আমার কথা সত্য হয়ে থাকলে এবং মিথ্যাবাদীরা কুৎসা রটনা করে থাকলে, তারা ধ্বংস হোক।
এবার যারা আল্লামা মামুনুল হককে অভিযুক্ত করছেন, বুকে সাহস থাকলে তারাও এভাবে বলুন।
মুবাহালা করেছেন ইবনু আব্বাস, আউযায়ি ও অন্য আলেমরা। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে বাতিল হয়েও মুবাহালা করে, মুবাহালার দিন থেকে এক বছরের বেশি সে বাঁচে না। আমার সাথে এক ব্যক্তির মুবাহালা হয়েছিল। সে ছিল কট্টর মুলহিদ। মুবাহালার পর সে মাত্র দু মাস বেঁচেছিল।
-ইবনু হাজার আসকালানি
(ফাতহুল বারী, ৮/৯৫)
বিষয়: বিবিধ
৭৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন