আল্লাহ মাফ করবেন ?
লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:১৪:৩০ রাত
বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় পথ হারিয়েছে,ঢাকায় পৌঁছলে পর বুঝতে খুব বেশি সময় লাগবে না, যে এখানে একটি দেশ তার নীতি নৈতিকতা হারিয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের অদৃশ্য ও শোষকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যে বিপ্লবিক চেতনা নিয়ে লড়াই করেছিল তাও আর নেই। আরো শোচনীয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতটা কর্তৃত্ববাদী হয়ে পড়েছেন তা অকল্পনীয় ।প্রথমত, জনগণের মতে, খালেদা জিয়ার অবনমন আর দ্বিতীয়ত, সামরিক বাহিনীর সাথে হাসিনার শান্তিচুক্তি। এক সময় এই বাহিনী তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান সরকারকে উৎখাত করেছিল।হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর বেতন বাড়িয়েছেন। অধিকন্তু তিনি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে পেশাদারি বজায় রেখে রাজনীতি থেকে দূরে থাকলে তারা সম্মান ও কর্তৃত্ব পান। বস্তুত সেনাবাহিনী এখন পেশাদার এবংএকটি স্বীকৃত বাহিনী হিসেবে বিবেচিত ।হাসিনার প্রকৃত বিরোধিতা আসছে জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে। জামায়াত কোনো অগ্রগতি করতে পারছে না। কারণ ।বি এন পির (সাথে জোট থাকলেও )বড় বড় নেতারা বিক্রি হয়ে গিয়েছে আওয়ামীলীগের ঘরে, ইমনকি তাডের ভাই-ছেলে পেলেরাও মিশে গিয়েছে আওয়ামীলীগে ।এক সময় বামদের শক্তি থাকলেও এখন আর দৃশ্যপটে নেই। তরুণদের আকৃষ্ট করছে ক্যারিয়ার আর ব্যবসায়ীরা রাজনীতিকে প্রভাবিত করছে। কারণ তারা সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে ঘুষ দেয়। এই অবস্থা পুরো বাংলাদেশেই বিরাজমান।আর বাংলাদেশের আলেমদের দুটি শ্রেণীর মধ্যে নগণ্য একটি শ্রেণী ওলামায়ে ছু( পথভ্রষ্ট /সঠিক পথহারা আলেম) আওয়ামী ওলামালিগ যারা শুধু আওয়ামীলীগের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের কোন ধরনের বাঁধা আসলে তার মোকাবেলায় দাঁড়াবে । এবং তাদের কাজও ছাত্রলীগ, যুবলীগদের মত আপত্তিকর। একটাই উদাহরণঃ-ছাত্রীকে ধর্ষণকালে ওলামা লীগ সভাপতি গ্রেফতার হয়েছে। বগুড়ার সোনাতলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি। তার নাম মাওলানা ফজলুল করিম। গত ১০/০২/২০১৬ই বুধবার দুপুর ১টার দিকে মাদ্রাসার ছাত্রীদের নামাজ ঘর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোত্তালেব ওলামা লীগসভাপতিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। অন্য দিকে
এই আওয়ামী আমলেই বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দি নারীদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।তিনি নির্দিষ্ট করে বলেছেন, ঢাকা, সিলেট কারাগার এবং গাজীপুর নারী ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে সম্প্রতি গাজীপুরে নারী ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা জানান প্রধান বিচারপতি।তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে অনেক যুবতী মেয়েকে ৫৪ ধারায় আটক রাখা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করা হয় না। জেলা জজ জানিয়েছেন, মেয়েদের আদালতে উপস্থাপন করা হয় না। কারণ তাদের যৌন কাজে ব্যবহার করা হয়।আজ বাংলার আকাশ বাতাস অন্যায়, জোড়-জুলুম, নির্যাতন-নজ্জাতন,অবিচার-বেবিচার ও পাপাচারে ভারী হয়েগিয়েছে, যে সমস্ত নেতা-কর্মীগনের ভূমিকায় আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত, দাঁড়ি রাখলে, টুপি মাথায় দিলে,মাঝে মাঝে নামাজ পড়লে আল্লাহ জান্নাত দিয়ে দিবেন? অথচ আওয়ামীলীগ অসম্প্রদাইক বা ধর্মনিরপেক্ষ দল,তাই তারা অসম্প্রদাইক বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতেছে এবং সেই দিকেই তারা মানুষকে ডাকছে ।কিন্ত আল্লাহ বলেনঃ-আল্লাহ বলেনঃ-
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ [٣:٨٥]
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। (সুরা আল ইমরান-৮৫)
মুন্সীগঞ্জ জেলা সিরাজদিখান থানা ইছাপুরা উনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হাবিবুল্লা বাহার ৬/২/১৬ তারিখ শনিবার সকাল ১১ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্নাইলল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।আল্লাহ জান্নাত বাসি করুক।
একটা সুত্র সবারই জানা থাকার দরকার তা হল, সব ভাল কাজ ন্যায় কাজ বটে কিন্ত সব ন্যায় কাজ নেক কাজ নয়। আর ন্যায় কাজ সম্পাদনকারি ইমানদার হওয়াই নেক কাজের পূর্ব শর্ত ।যেমন অরুন বাবু যদি পথ ঘাট , কালপার্ট,মসজিদ মাদ্রাসা করেন এটা ভাল ও ন্যায় কাজ তো অবশ্যই, কিন্ত নেক কাজ হতে পারে না ।কারন সে এক আল্লাহ ও নবী মুহাম্মদের (স) আদর্শের অনুসারী নয়। তাকে যদি প্রশ্ন করা হয় সকল ক্ষমতার মালিক কে?সে বলবে জনগন ।এবং এই মৃতু্্য ব্যাক্তিসহ তার দলের নেতাকর্মীগণও একই কথা বলবে যে ,সকল ক্ষমতার মালিক জনগন। আবার যদি প্রশ্ন করা হয় কার আদর্শ ভাল ? তখন বলবে যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শই । আর তা না হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্যে কেনইবা আধাজল খেয়ে লাগবে ।মুলত এখানে অরুন বাবু ও আমাদের এই মুসলমানের মধ্যে কোন পাথক্য আছে কি?অথচ কুরান বলে إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِۖ (সব কিছুর ) চূড়ান্ত ক্ষমতার মালিক তো কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালার(সুরা আনাম-৫৭)।
এবং অনুসরন,অনুকরন ও বাস্তবায়ন করা উচিত যার আদর্শ , আল্লাহ বলেনঃ- لَّقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسۡوَةٌ حَسَنَةٌ۬ (হে মুসলমানরা) তোমাদের জন্যে অবশ্যই আল্লাহর রসুলের মাঝে (অনুসরণযোগ্য)উত্তম আদর্শ রয়েছে, এমন প্রতিটি ব্যাক্তির জন্যে ,যে আল্লাহর সাক্ষাত পেতে চায় এবং পরকালের (মুক্তির)আশা করে(সুরা আহজাব-২১)।সুতরাং বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর ও জিয়াউর রাহমানের আদর্শ মেনে নেয়া আল্লাহর এই আয়াতকে অস্বীকার করার শামিল।আল্লাহ বলেন-وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَـٰتِنَآ أُوْلَـٰٓٮِٕكَ أَصۡحَـٰبُ ٱلۡجَحِيمِ যারা কুফরি করেছে এবং আমার আয়াতসমুহ অস্বীকার করেছে,তারা সবাই হচ্ছে জাহান্নামের অধিবাসী (সুরা মায়েদা-১০)। অতএব এমন সব মৃতু ব্যক্তির জন্যে দোয়া করলেও যা না করলেও তা ,দুনিয়ার সম্মান গার্ড অফ অনার এবং আজ চতুর পাশে RAB ও পুলিশি নিরাপত্তা,মামা,খালু্ ,চাচা,ভাই বন্ধু কাল তা আর কোন কাজেই আসবেনা । আমি কারো শত্রু না এবং কেউ আমার শত্রু না , তাহলে কেন আমি এই কথা গুলো লিখলাম ? আল্লাহ বলেন-يَـٰٓأَيُّہَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارً۬ا হে ইমানদারগণ তোমরা নিজেদের ও নিজেদের পরিবার পরিজনদের (জাহান্নামের)আগুন থেকে বাঁচাও(সুরা আত তাহরিম- ৬)।একথা গুলো অন্যের কাছে পৌছান আপনিও দায়িত্ব পালন করুন ,আল্লাহ কোন কাজ দ্বারা কাকে কখন মাফ করবেন তা কেউ জানেনা ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন