হাসিনার পতন অনিবায
লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৩৯:২৪ রাত
২টি ঘটনা ও শেখ হাসিনার তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক কূটকৌশল
১: সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত যখন বস্তাভরতি টাকা নিয়ে মিডিয়ার চোখে ধরা পড়ল তখন সরকার বড় ধরনের একটা ইমেজ সংকটে পড়ল। সেখান থেকে মিডিয়া & জনসাধারণ এর দৃষ্টি ফেরানোর জন্য ইলিয়াস আলীকে গুম করে সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে গেল এবং সরকারের ইমেজ সংকট কেটে গেল।২: এইচ টি ইমাম কতৃক যখন নির্বাচন কালীন দৈন্যতা ফাস ও ছাত্রলীগকে বিসিএস পরীক্ষায় সুবিধা দানের কথা প্রকাশের মাধ্যমে সরকার মারাত্নক ইমেজ সংকটে পড়লেন ঠিক তখনই লতিফ সিদ্দিকীকে। দেশে এনে লতিফ ইস্যুটি দ্বারা মূলত
এইচ টি ইমাম ইস্যুটি ধামাচাপা দেয়া হল।
বিষয়টি এমন যে, বেগম খালেদা জিয়া ৩ বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছে তাই শেখ হাসিনাকে ও ৩ বার হতে হবে এই ধুয়া তুলে যে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচনের মাধ্যমে ।আসলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পেক্ষাপটে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা শাসক গোষ্ঠীর পতন ঘটেছে ।ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। আবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৮০ সালে। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত। তিনিই ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরুর একমাত্র সন্তান। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি তার বাবার অতিমাত্রিক কেন্দ্রীভূত প্রশাসনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে। তখন তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে সরকারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব খাটাতেন। ১৯৫৯ সালে নির্বাচিত হন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট। তাকে তার বাবার উত্তরাধিকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেয়া হয়। ইন্দিরা গান্ধী তা গ্রহণে অস্বীকার করে বরং ক্যাবিনেট মিনিস্টার হওয়াটাকে বেছে নেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর উত্তরাধিকারী হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধী পরিচিত হয়ে ওঠেন তার অভাবনীয়ভাবে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করায় কঠোর মনোভাবের জন্য। ব্রিটিশ অভিনেতা পিটার উস্তিনভকে সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য যাওয়ার পথে সকাল ৯টা ২০ মিনিটের সময় তিনি খুন হন। এই ব্রিটিশ অভিনেতা আইরিশ টেলিভিশনের জন্য একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করছিলেন। ১ নম্বর আকবর রোডের অফিসের কাছের ১ নম্বর সফদর জং রোডের বাসভবনের বাগানের একটি পথ দিয়ে তখন হাঁটছিলেন। তিনি যখন সতওয়ান্ত সিং ও বেয়ান্ত সিংহের প্রহরাধীনে উইকেট গেট (বিশেষ কোনো বড় দরজার পাশে বা ভেতরে থাকা ছোট দরজা) দিয়ে বের হচ্ছিলেন, তখন এরা তার ওপর গুলি ছোড়ে। সাব-ইনস্পেক্টর বেয়ান্ত সিং তার সাইড আর্ম থেকে তিনটি গুলি ছোড়েন তার তলপেটে। এরপর তিনি মাটিতে পড়ে গেলে সতওয়ান্ত সিং তার স্টেনগান থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। গুলি করার পর উভয়ই তাদের অস্ত্র হাত থেকে ছুড়ে ফেলেন। তখন বেয়ন্ত সিং বলেন, ‘যা করার ছিল, আমি তা করে ফেলেছি, তুমি যা করতে চাও করো’।
কিন্ত বাংলাদেশ ! শাহজালাল,শাহপরানের বাংলাদেশ, মুসলমানের দেশ। আল্লাহ সব জানেন দেখেন ।তাই এখানেও ব্যাতিক্রম ঘটবে না ,হাসিনার পতন ঘটবেই ।কারন এখানে চলছে দুর্বলের উপর হাসিনার নির্যাতন ,খুন ,গুম,হত্যা ,ধর্ষণ ,সর্বোপরি মুশরিক মুনাফিক ও নাস্তিকদের দাপট ।তাই স্রষ্টা এদের পতন ঘটিয়ে তদিস্থলে এমন জনগোষ্ঠীকে বসাবেন যাদের শুধু শান্তিই আসবেনা আল্লাহর আইন বাস্তবায়িত ও প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহ বলেনঃ- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। (সুরা মায়েদা ৫৪) অতএব হাসিনার পতন হবেই ইনশা আল্লাহ ।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন