প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে

লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ১৬ মে, ২০১৩, ০৫:১২:৩৬ সকাল

আওয়ামী লীগ হচ্ছে, একটা ‘ইনটলারেন্ট’ দল। ভিন্ন মতের প্রতি, সমালোচনাকারীদের প্রতি তাদের বিতৃষ্ণা-রাগের কোনো সীমা-পরিসীমা থাকে না। আসলে আওয়ামী লীগ মনে করে যে, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, দেশটা আমা্‌ সাজেদা চৌধুরীর কথাই প্রমানিত, এবং আমাদের কোনো ভুল নেই।

আসলে আওয়ামীলীগের জন্য গনতন্ত্রে ও নির্বাচন হল বিষ এবং মূলতই তাই ।আর শকুন যদি গোস কিনে খেত তাহলে এত গোস খেতে পারতোনা ,তাই তো আওয়ামীলীগ ২৬২টি আসন লাভ করলো।অথচ এই আওয়ামীলীগই বলে কোনো অনির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্ত করব না। কিন্তু সদ্য যিনি স্পিকার হলেন তিনি এবং বর্তমান আইনমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী এবং উপদেষ্টাগণ কি নির্বাচিত না অনির্বাচিত ? বাংলাদেশের না, উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে স্পিকার বানানো হয়েছে। স্পিকার সরাসরি নির্বাচিত না। তিনি মাত্র ৩০জন সাংসদের ভোটে নির্বাচিত। উনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন না। উনি সংসদের একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ইচ্ছায় প্রতিনিধিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী শুধু তাই নয়; এই সরকারের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী, প্রধানমন্ত্রীর পরে যারা সবচেয়ে ক্ষমতাশালী, যারা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। এমনকি তাদেরকে গোপনীয়তার শপথও নিতে হয় না। তারপর তারা মন্ত্রী পরিষদের মিটিংএ বসেন। এটা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। তারাও সবাই অনির্বাচিত। মোট কথা এ সরকারের ক্ষমতা যারা প্রয়োগ করছেন, ভোগ করছেন তাদের বিরাট একটি অংশ অনির্বাচিত। এই সরকারের অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অনির্বাচিত ব্যক্তিদেরকে ক্ষমতায়িত করতে, ক্ষমতায় রাখতে, দেশ চালানোর ব্যাপারে কোনো আনাগ্রহ নেই; শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে যখন এই অজুহাতটা তুলেন তখন এটিকে নিয়ে সরকার চালাকি করতেছে ।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে ?যেখানে জাতির বিবেক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের জারুদার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী সহ মিথ্যা কথা বলছে।


আলজাজিরা জানিয়েছে, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকার। চ্যানেলটির কাছে যে নতুন ভিডিও ফুটেজ এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শেষ রাতে গাড়িতে লাশ তোলা হচ্ছে। জুরাইন কবরস্থানের কবর খননকারী আবদুল জলিল জানান, সেই রাতে তিনি ১৪ জন দাড়িওয়ালা লোককে কবর দিয়েছেন। তাদের গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তবে আবদুল জলিল বাকপ্রতিবন্ধী; তাই তিনি ইশারায় পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। নিহতের সংখ্যা হাতের আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি। তাদের কোথায় দাফন করা হয়, তা-ও দেখিয়ে দেন আবদুল জলিল।

গত মঙ্গলবার রাতে এ খবর প্রচার করে আলজাজিরা। চ্যানেলটির ওয়েবসাইটে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এখনও দেখানো হচ্ছে এ ভিডিও।

জুরাইনে অনেক হেফাজতকর্মীকে দাফন করা হয়েছে বলে এর আগেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এর সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল না। আলজাজিরার প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ার এসব দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এছাড়া ঢাকার একটি বিশেষ সংরক্ষিত স্থানে হেফাজতের আরও অনেক নেতাকর্মীর লাশ দাফন করা হয়েছে বলে এখনও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বলছে, ৬ মে ভোরে অপারেশন ফ্লাশ-আউটে কোনো মুসল্লি মারা যায়নি।


বিষয়: বিবিধ

১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File