হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি ও কিছু কথা ।
লিখেছেন লিখেছেন জিসান এন হক ১৩ মে, ২০১৩, ০৩:৩২:৫৫ রাত
হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি শেষে শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য মিছিল সহকারে যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় সরকারের ক্যাডার বাহিনী ও পুলিশ লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। শাপলা চত্বরে যেতে বাধা দিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল আমীরের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। আমীর শাপলা চত্বরে যাওয়ার জন্য বের হয়েও সরকারের ক্যাডার বাহিনীর কারণে সমাবেশে যেতে পারেননি। হেফাজতের আন্দোলনকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য ওইদিনই বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন জায়গায় যে সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে তা যে সরকারই ঘটিয়েছে তা প্রমানিত। হেফাজতের কোন কর্মী এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে না। ইতিপূর্বে সারা দেশে ১ মাস শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে ,কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যাবে না। সে দিন ভোররাতে আলেম-ওলামা ও ঈমানদার তৌহিদী জনতার ওপর যে নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। হামলার আগে শাপলা চত্বর থেকে মিডিয়াকর্মীদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে অন্ধকার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। এর পর রাতের আঁধারে নিরস্ত্র জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। সরকার যদি স্বচ্ছতার পরিচয় দিতো তাহলে মিডিয়াকর্মী প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং রাতের আঁধারে হামলা করতো না। দিনের আলোতে হামলা হলে সরকারের হিংস্রতা জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়ে যেতো সে ভয়েই রাতের বেলায় হামলা চালানো হয় ভিডিও টি দেখুন
কোরান শরীফ পোড়ানো ও দোকানপাটে আগুন দেয়ার ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর গুলি ছোড়েনি। এতে সরকারের লোকজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সরকারের এহেন গণহত্যা ও ঘৃণ্য কাজের বিরুদ্ধে এবং ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আবারও আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জনগণকে আপাতত ধৈর্য ধারণ করতে হবে। শিগগিরই আমীরের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচি আসবে।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন