ভুয়া সনদে ৫০০০০ শিক্ষক (এই যদি হয় শিক্ষকদের অবস্থা তাহলে ছাত্রদের অবস্থা কি???)

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ২৯ মার্চ, ২০১৪, ১২:৪৫:৪৬ রাত



জাল ও ভুয়া সনদে শিক্ষকতা করছেন ৫০,০০০ শিক্ষক। এরই মধ্যে দেশের ৪৩টি জেলার শতাধিক কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা পরিদর্শন করে ১০৬ জন ভুয়া ও জাল সনদধারী শিক্ষক চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত করা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের অডিট ও আইন সেলে। একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে এ সেল এসব শিক্ষকের শাস্তির বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। এ সংক্রান্ত আগামী মিটিংয়ে মন্ত্রীর কাছে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ১০৬ শিক্ষক ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৯ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিয়েছেন। তাদের এসব টাকা ফেরত নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছে ৫ লাখ। মন্ত্রণালয় সূত্র মতে এর ১০ শতাংশ শিক্ষকই জাল কিংবা ভুয়া সনদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন। সে হিসাবে কমপক্ষে ৫০ হাজার শিক্ষক রয়েছে জাল কিংবা ভুয়া সনদধারী। ওই সব শিক্ষককে চিহ্নিত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে এ কমিটি তদন্ত চালাবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। এরই মধ্যে এ কমিটি নেত্রকোনায় ২টি, ফরিদপুরে ২টি, কিশোরগঞ্জে ৪টি, টাঙ্গাইলে ৩টি, গাজীপুরে ৪টি, রাজবাড়ীতে ২টি, পাবনায় ৫টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি, লালমনিরহাটে ৫টি, সিরাজগঞ্জে ৮টি, নওগাঁয় ৫টি, কুড়িগ্রামে ৩টি, জয়পুরহাটে ২টি, চাঁপাই নবাবগঞ্জে ৩টি, যশোরে ৫টি, বরিশালে ২টি, ঝিনাইদহে ২টি, পিরোজপুরে ২টি, ভোলায় ২টি, নড়াইলে ৩টি ও মেহেরপুরে ৩টি বিদ্যালয় চিহ্নিত করেছে। এছাড়া ময়মনসিংহ, নরসিংদী, শেরপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, মাগুরা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া জেলায় রয়েছে ১টি করে বিদ্যালয়। তদন্তকালে যেসব প্রতিষ্ঠানের সনদ জাল ও ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে সে সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও। এছাড়া, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) বগুড়া, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, লিমা কম্পিউটার সায়েন্স একাডেমি পাবনা, এনটিআরসি। এছাড়া এমন প্রতিষ্ঠানের সনদ রয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পায়নি তদন্ত কমিটি। এমন একটি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর সেন্টার ফর ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি বর্ণিত ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। এমন আরেকটি প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল কম্পিউটার সেন্টার। এর অবস্থান এ হামিদ রোড, পাবনা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি বর্ণিত ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। যেসব শিক্ষক এসব জাল ও ভুয়া সনদে শিক্ষকতা করছেন তারা হলেন- নেত্রকোনা জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মোহাম্মদ জাকারিয়া। ইনডেক্স নাম্বার ১০৬৬০১৯। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সনদ নিয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন। এ পর্যন্ত সরকার থেকে তিনি ৮৯,৩৩৮ টাকা ৬৪ পয়সা বেতন-ভাতা নিয়েছেন- যা তাকে ফেরত দিতে হবে। ময়মনসিংহের রায়ের গ্রাম শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) নিগার সুলতানাও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সনদ নিয়েছেন। তবে তিনি এমপিওভুক্ত হননি বলে সরকার থেকে কোন বেতন-ভাতা পাননি। ফরিদপুরের শিয়ালদী আদর্শ আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মো. হাসান মৃধাও নিবন্ধন সনদ নিয়েছেন। তার ইনডেক্স নাম্বার ২০৩০৭২২। তাকে ১,২৪,৩৫৯ টাকা ৬৬ পয়সা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়তপুরের সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সালাহউদ্দিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএন সনদ জাল চিহ্নিত হয়। তার ইনডেক্স নাম্বার ১৬৬২৮৬। তাকে ৯,৭৫,১২৩ টাকা ৫৭ পয়সা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। কিশোরগঞ্জের আলহাজ এমএ মান্নান মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (গণিত) জাহাঙ্গীর আলমও নিবন্ধন সনদ নিয়েছেন। যার ইনডেক্স নং ২০৯২৩৫২। তার কাছে সরকারের পাওনা ৭৫ হাজার ২৮৫ টাকা। যা তাকে ফেরত দিতে হবে। নেত্রকোনার গগড়া মোজাফফরপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মো. সাখাওয়াত হোসেনও শিক্ষক নিবন্ধনধারী। তার এমপিও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কিশোরগঞ্জের আহমাদু জুবাইদা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার মৌলভী শিক্ষক ফাতেমা আক্তারও নিবন্ধনধারী। টাঙ্গাইলের কালিহাতি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. ইদ্রিস আলীও রয়েছেন এ তালিকায়। তিনিও নিবন্ধনধারী। ইনডেক্স নাম্বার ১০৬৭১৩৯। তাকে সরকারি কোষাগার থেকে নেয়া ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৫ টাকা ফেরত দিতে হবে। গাজীপুর পাবুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) নাসরিন সুলতানাও রয়েছেন এ তালিকায়। তবে তিনি এমপিওভুক্ত নন বলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন নেননি। তাই তাকে কোন টাকা ফেরত দিতে হবে না। গাজীপুরের কির্তনীয়া ইছর আলী ভূঁইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোহাম্মদ আশরাফ হোসাইনও জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন। তবে তিনি এমপিওভুক্ত হননি বলে কোন টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে না। টাঙ্গাইলের ঘোনারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) মারুফা আক্তারও নিবন্ধনধারী। তার ইনডেক্স নাম্বার ১০৫৫৬৪২। তাকে সরকারি কোষাগার থেকে নেয়া ২ লাখ ৭৬০ টাকা ফেরত দিতে হবে। এ তালিকায় রয়েছেন ফরিদপুর সিটি কলেজের টাইপ ল্যাব. অ্যাসিস্ট্যান্ট শামীমা আক্তার রোজি। তার ইনডেক্স নাম্বার ৮৩২৫৬২। তিনি সনদ নিয়েছেন বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী থেকে। তিনি সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৬৮১ টাকা। তাকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। নরসিংদীর আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (কম্পিউটার) আবদুস সাত্তার বগুড়ার ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই সনদ নিয়ে চাকরি নিয়েছেন। যা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। তার ৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭৫ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এ তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইল লোকমান ফকির মহিলা কলেজের প্রভাষক (সাচিবিক বিদ্যা) খন্দকার মাসুদুর রহমান। তাকে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬ টাকা ফেরত দিতে হবে। রাজবাড়ী তেঁতুলিয়া দারুস সালাম ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমানও ভুয়া সনদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি নিবন্ধনধারী। তার ইনডেক্স নাম্বার ২০০৩৫৮৭। তাকে ৬ লাখ ১ হাজার ৯২১ টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। শেরপুরের ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মাহমুদা খাতুনের ইনডেক্স নাম্বার ১০৪১৮৩৯। তাকে ২,৮৫,৮৫৫ টাকা ফেরত দিতে হবে। এ তালিকায় আরও রয়েছেন- রাজবাড়ী শহীদ আবদুল হাকিম মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. দাউদ আলী, গাজীপুর সনমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. আশরাফুল আলম। তিনি মনোহরদীর জাতীয় উন্নয়ন ট্রেনিং সেন্টার থেকে সনদ নেন। সনদে প্রতিষ্ঠানটি নট্রামস কর্তৃক অনুমোদিত উল্লেখ থাকলেও নট্রামস জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি তাদের অনুমোদিত নয়। কিশোরগঞ্জের মুন্সি আবদুল হেকিম কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী (কম্পিউটার) ও প্রদর্শক (কম্পিউটার) মো. হারুন-অর রশিদও রয়েছেন এ তালিকায়। এছাড়া রয়েছেন গাজীপুর পাবুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক নাসরিন আক্তার। তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার সনদ নিয়েছেন। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী (নেকটার) বগুড়া থেকে সনদ নিয়ে আক্তার হোসেন শিক্ষকতা করছেন লক্ষ্মীপুর কমলনগরের হাজিরহাট উপকূল কলেজে। তিনি ওই কলেজের কম্পিউটার প্রভাষক। ফেনীর ফুলগাজী খাজুরিয়া মমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোহাম্মদ বদিউল আলমও তালিকায় রয়েছেন। আরও রয়েছেন, মুরাদনগর শ্রীকাইল কৃষ্ণকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) মোহাম্মদ রবিউল হাসান, টেকনাফ হৃীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, একই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা কুটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নাটোরের লালপুর মনিহারপুর রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সাইদুর রহমান, পলাশবাড়ী পাঁচপীরের দরগাহ দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (উদ্ভিদ) আবদুল কাইয়ুম, পাবনার সুধীর কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদর্শক (কম্পিউটার) নাছিমা খাতুন, পাবনা বি.পি. উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মোহাম্মদ শাহীন আক্তার। তদন্ত দল তার নিবন্ধন সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, তার নিবন্ধন সঠিক নয়। পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের সাচিবিক বিদ্যার প্রভাষক মাসুমা বেগমও রয়েছেন এ তালিকায়। তাকে ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪১১ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। একই কলেজের কম্পিউটারের প্রভাষক মো. সাইদুল ইসলাম সনদ নিয়েছেন রাজশাহীর সেন্টার ফর ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার্স থেকে। তদন্ত দল এর অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। একই অবস্থা এ কলেজের ল্যাব সহকারী আবদুল জলিলের। নাটোর চক নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মলিনা খাতুনও রয়েছে এ তালিকায়। এছাড়া আরও আছেন লালপুরের মাজার শরীফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক আবুল কালাম, সিংড়ার ভাগনাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সাবিনা ইয়াসমিন, সিংড়ার আলহাজ আবদুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (জীববিদ্যা) অনিতা প্রামাণিক, ঠাকুরগাঁও আসলে উদ্দিন প্রধান সিনিয়র আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) আলমাস আলী, বালিয়াডাঙ্গি লোলপুকুর ডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম) জসোদা বালা দেবী, হরিপুর তোরবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. জসিম উদ্দিন, লালমনিরহাটের আদিতমারী নামুড়ী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. রমজান আলী, হাতীবান্ধার দইখাওয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) রৌশনারা খাতুন, হাতীবান্ধা পূর্ব বেজগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) দিলীপ কুমার বর্মণ। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মোখলেছুর রহমান সনদ নিয়েছেন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ধানমন্ডি ক্যাম্পাস থেকে। তদন্তে তার সনদ সম্পূর্ণ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ সনদ কম্পিউটারে তৈরি করে তা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে অডিট ও আইন সেল এসব শিক্ষকের চাকরিচ্যুতিসহ কি শাস্তি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবে। একই সঙ্গে তারা নিজেরাও একটি প্রস্তাব বৈঠকে উত্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।

তথ্যসূত্র: মানবজমিন

বিষয়: বিবিধ

১৯৮৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

199461
২৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৫৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : খালি কপি পেষ্ট মারেন কেন?
নিজে লিখেন, না পারলে অন্যের গুলো পড়েন
199541
২৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৮
শেখের পোলা লিখেছেন : তারা নিশ্চয় যোগ্য, যদি তাই হয় তবে অসুবিধা কি? সনদই যদি মাফ কাঠি হয় তবে যারা আইন বানায় সংসদে বসে তাদের মধ্যে ১৫৪ জনের কোন সনদই নাই৷ তারা আইন বানায় কি ভাবে? তাদেরও বাদ দিতে হবে৷
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৫
150293
মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার লিখেছেন : তারা যে ঐ সংসদ সদস্যের মতই যোগ্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
199861
২৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
নীল জোছনা লিখেছেন : অবাক করা খবর দিলেন ভাই।
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৬
150294
মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার লিখেছেন : সব সম্ভববের এই দেশ, আমাদের সোনার বাংলাদেশ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File