আইসিসিতে নতুন নীতিমালা নিয়ে মতৈক্য, ভোট হয়নি
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:২৬:৪৮ দুপুর
ক্রিকেটের সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার বৈঠকের প্রথম দিন শেষে এক বিবৃতিতে আইসিসি বলছে, ক্রিকেটের ভবিষ্যত কাঠামো, প্রশাসন এবং আর্থিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একগুচ্ছ নীতিমালার ব্যাপারে সর্বসম্মত মতৈক্য হয়েছে, এবং এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আগামি মাসে আরো একটি বৈঠক হবে।
এর আগে আইসিসির একটি কমিটির তৈরি করা সংস্কার প্রস্তাব- যা ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা এবং বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল- তা নিয়ে এই বৈঠকে ভোটাভুটি হবে বলে মনে করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয় নি। আইসিসির অন্তত চারটি পূর্ণ সদস্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাবে বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা বৈঠকের আগেই জানিয়েছিলেন।
নতুন যে নীতিমালার ব্যাপারে সর্বসম্মত মতৈক্য হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তাতে আগেকার প্রস্তাবটির তুলনায় কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হচ্ছে।
এতে বলা হচ্ছে, সব সদস্য দেশের সব ধরণের ক্রিকেট খেলার জন্য সমান সুযোগ থাকবে, এবং এতে অংশ নেবার সুযোগ তৈরি হবে ‘মেরিট’ বা যোগ্যতার ভিত্তিতে, কোন দেশকে সুরক্ষা দেয়া হবে না, এবং সদস্য মর্যাদাও অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এই ‘যোগ্যতা’ কিভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা স্পষ্ট নয়।
তবে আগে যেটা বলা হচ্ছিল যে টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবে প্রথমত আটটি পূর্ণ সদস্য দেশ, এবং বাকি দুটি দেশ- বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে- সহযোগী সদস্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করে সেই সুযোগ পাবে- এই নতুন প্রস্তাবে তাতে একটা পরিবর্তন এসেছে বলেই মনে হচ্ছে।
এ ছাড়া আগের প্রস্তাবে ছিল যে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া কখনোই টেস্ট খেলার সুযোগ হারাবে না- এটাও পরিবর্তিত হচ্ছে। কারণ এখানে বলা হচ্ছে যেকোনো দেশকে টেস্ট মর্যাদার ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয়া হবে না।
এছাড়া নতুন নীতিমালায় আইসিসির নতুন নির্বাহী কমিটি- যাকে বলা হচ্ছে এক্সকো- তিনজনের পরিবর্তে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডসহ মোট পাঁচটি সদস্য নিয়ে গঠিত হবে।
ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সময়সূচি যাকে বলা হয় এফটিপি- তা বাতিল করার কথা ছিল আগের প্রস্তাবে। নতুন প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, এফটিপির মধ্যে যেগুলো আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক এবং আর্থিকভাবে নির্ভরযোগ্য সেগুলো- দ্বিপাক্ষিক সম্মতির ভিত্তিতে- ২০১৪-২৩ সময়কাল পর্যন্ত চলবে।
আইসিসির প্রেসিডেন্ট এ্যালান আইজ্যাক বলেছেন, আগামি বৈঠকের আগে এই সব নীতিমালার প্রতিটি দিক নিয়েই আরো আলোচনা করতে হবে।
দুবাই থেকে ক্রীড়া সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আইসিসির বৈঠকে ওই প্রস্তাব নিয়ে প্রায় ৬ ঘন্টা উত্তপ্ত বিতর্ক হয়।
সভায় বসার আগেই পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান জাকা আশরাফ বলেন পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ এই চারটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা এ প্রস্তাব স্থগিত করা এবং আরো আলোচনা করার কথা বলেছিলেন।
বলাবাহুল্য প্রস্তাব পাস করাতে হলে অন্তত সাতটি দেশের সমর্থন দরকার ছিল, কিন্তু ১০টি পূর্ণ সদস্যের মধ্যে চারটিই বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার পর তা ভোটে দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ক্রিকিনফো ওয়েরসাইট জানায়, আইসিসির কাছে বাংলাদেশ একটা আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়েছে- যা আর কোনো দেশই করেনি।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি বাংলা
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
বিস্তারিত পড়ুন
Click this link
০ তার মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ , নিউজিল্যান্ড , জিম্বাবুয়ে Sold !
টাকা ফেললে যে আরও কাক আসবে না তার গ্যারান্টি কি ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন