আমি এখনও বেঁচে আছি - রেশমা, সাভারের ধসে পড়া ‘রানা প্লাজা’র ধ্বংস্তূপের মধ্যে ১৭ দিন আটকে থাকা নারী শ্রমিক রেশমাকে জীবিত উদ্ধার
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ১০ মে, ২০১৩, ০৫:৫০:১১ বিকাল
আর কোন জীবিত মানুষ নেই ভেবে রানা প্লাজায় উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাকর্মীরা। এমন ভাবনা অস্বাভাবিক নয় কারণ দীর্ঘ সতের দিন পর রাণা প্লাজার ধ্বংসস্তুপে কেউ জীবিত থাকতে পারে এমন কল্পনা কেউ করেনি।
উদ্ধার কাজের শেষ পর্যায়ে সাভারের ধ্বংসস্তুপ থেকে হঠাৎ আওয়াজ এল‘আমি এখনও বেঁচে আছি, আমার নাম রেশমা’।
উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির একটি বেজমেন্ট ভাঙার আগে ঘোষণা দিলেন, ‘হ্যালো বেজমেন্টটি এখন ভাঙা হবে এখানে কি কেউ জীবিত আছেন’। প্রথমে আস্তে আস্তে কাউকে কিছু বলতে শোনা গেল তারপর স্পষ্টভাবে শোনা গেল রেশমার কথা। হঠাৎ নিস্তব্ধ হয়ে থমকে দাঁড়ালেন উদ্ধারকর্মীরা। তৎক্ষণাত স্তম্ভিত হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস, আশে-পাশের পরিবেশ এবং সেই সাথে হাজারও জনতা।
সাভারের ভবন ধসের দীর্ঘ সতেরদিন(৪০৮ঘণ্টা)পর সাভারের ধ্বসংস্তুপ থেকে লাখ লাখ মানুষের সকল কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাবইকে অবাক করে রেশমি অলৌকিকভাবে জানান দিল ‘এখনও বেঁচে আছি’ আমার নাম রেশমা। রেশমার বেঁচে থাকার খবরে আনন্দে কেঁদে ফেললেন উদ্ধারকর্মীরা। শুধু উদ্ধারকর্মী নয় আনন্দ অশ্রু ঝরালেন রেশমাকে দেখতে আসা হাজার হাজার মানুষ।
আলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া এই শ্রমিক দুর্ঘটনার সময় ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে পড়ে থাকা অন্য শ্রমিকদের খাবার খেয়ে প্রথম কয়েকদিন বেঁচে ছিলেন। একপর্যায়ে সেই খাবারও ফুরিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল সাভারে নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ ভবনটি ধসে পড়ে। ওই সময় সেখানে পাঁচটি পোশাক কারখানায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন