বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীর নিমাইকাশারী মাদানীনগর মাদরাসায় অভিযান, অতপর গনধোলাই, অবশেষে পলায়ণ !!!
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ০৭ মে, ২০১৩, ০৮:৪৩:২৫ সকাল
সকাল ৬টায় বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ হেফাজতে ইসলামের ঘাঁটি নিমাইকাশারী মাদানীনগর মাদরাসায় অভিযান চালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। মাদরাসার গেট খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মাদরাসার ভেতর। এক পর্যায়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় মাদানী নগর মসজিদে হামলা করা হচ্ছে। মাইকে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে করার ঘোষণা দেয় হেফাজত কর্মীরা। তখন মাদানীনগর এলাকারসহ আশপাশ থেকে শ’ শ’ মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধাওয়া দিলে শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও সংঘর্ষ বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতে। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মাদানীনগর এলাকা। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বৃষ্টির মতো টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিয়ার শেল ও গুলি কমে এলে তারা পিছু হটে। তখন হেফাজতের কর্মীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর। সকাল সাড়ে ৮টায় সিদ্ধিরগঞ্জে ইব্রাহিম খলিল শপিং কমপ্লেক্স-এর সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করলে তাদের উপর তেড়ে আসে হেফাজতকর্মী ও এলাকাবাসী। পরে ওই স্থানে পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হটার সময়ে তাদের ৩ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়। তখন অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন বিজিবি সদস্য শাহ আলম (৪০), পুলিশের নায়েক ফিরোজ (৩৫), পুলিশ কনস্টেবল জাকারিয়া (২৮)। গফুর (৩৫) পেশায় রাজমিস্ত্রি, রিকশাচালক হাবিবুল্লাহ (২৮) পিতা আবু মুন্সি সাং দারছোয়া থানা কচুয়া জেলা চাঁদপুর। ফলের ব্যবসায়ী রুবেল (২৬) পিতা বাচ্চু মিয়া। তিনি পূর্ব বক্সনগর সারুলিয়া ডেমরা ঢাকার বাসিন্দা। পানি ব্যবসায়ী সাদেক মিয়া (৩০) পিতা মো: রহিছ মিয়া সাং বড়াইল থানা নবীনগর জেলা বি বাড়িয়া। দনিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বাধন (১৮) পিতা হাজী কায়কোবাদ। ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ (৩৩) পিতা শহিদউল্লাহ সাং মিঠুরকান্দি থানা মতলব উত্তর জেলা চাঁদপুর। গ্রীল ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশ (২৫) পিতা মৃত আনোয়ার হোসেন। প্রতিবন্ধী জসিম উদ্দিন (২৫) পিতা মৃত আলী আহম্মদ। বিক্রয়কর্মী সাইফুল (২৫) পিতা হাসেম। সৌরভ (১৬) পিতা এনামুল। গামেন্টসকর্মী হান্নান (৩২) পিতা ইদ্রিস আলী। মুসলিম (৩০), এইচএসসি পরীক্ষার্থী খালেদ (১৬)। বাবু গাজী (৩৬) পিতা আলী হোসেন। সাইদুল (২৬), পিতা মোকাররম।
গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা, হাইওয়ে থানায় হামলা
সংঘর্ষ চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় ডিপিডিসির বাণিজ্যিক কেন্দ্রে (বিদ্যুৎ অফিস) হামলা চালানো হয়। পরে অফিসের সামনে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এর আগে সকাল সোয়া ৬টায় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এছাড়া কাঁচপুর হতে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কে বিজিবি ও পুলিশের দু’টি ভ্যান, দু’টি তেলবাহী ট্যাঙ্কার, কার্গো, ট্র্রাকসহ ৩০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও শতাধিক যানবাহন।
এর আগে ফটিক ছড়িতেও একই ঘটেছিল। তাই আইনশৃঙ্খলা রখ্খাকারী বাহিনী ও কুত্তালিগকে একটা কথাই বলব,"Stay away from Madrasha, peoples love them".
বিষয়: বিবিধ
১৮০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন