হেফাজতের অবরোধের পর অবস্থান : ঢাকা রণক্ষেত্র, আগুন, হতাহত অসংখ্য | আরও ছবি ভেতরের অংশে - দাবী না আদায় পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন আল্লামা শাহ আহমেদ শফি হেফাজতের অবরোধের পাশে এসে দাড়ানেরা আহবান করেছেন বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ০৫ মে, ২০১৩, ০৯:১৭:০৮ রাত



রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে নিন্মম ভাবে জবাই করে হত্যা করা হচ্ছে ইসলাম প্রিয় হেফাততে ইসলামের নিরাপরাধ কর্মীদের।





হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো মতিঝিল ও গুলিস্তান এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখন সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন হেফাজতের নেতারা।

তারা ১৩ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাপলা চত্ত্বরে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে রাত আটটা পর্যন্ত সমাবেশস্থলে এসে পৌছাননি হেফাজতে ইসলামির আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী আশরাফুল ইসলাম হেফাজতে ইসলামকে সন্ধ্যার মধ্যে সমাবেশ শেষ করে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তাতে কর্ণপাত করেননি হেফাজত নেতারা। বরং তারা বলেছেন, আগামীকালের মধ্যে আওয়ামী নেতাদের দেশ ছাড়তে হবে।

হেফাজত কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে বায়তুল মোকারমের আশেপাশের এলাকা, কাকরাইল, বিজয়নগর, গুলিস্তান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন মারা গেছে বলে হেফাজত নেতারা জানিয়েছেন। এছাড়া পুলিশি হামলায় শত শত হেফাজতকর্মী আহত হয়েছেন।

হেফাজত কর্মীদের ওপর পুলিশ হাজার হাজার রাউন্ড গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে। অসংখ্য আহতকে ঢাকা মেডিকেল সহ বিভন্ন স্থানে ভর্তি করা হয়েছে |

গুলিস্তান ও এর আশেপাশের এলাকায় গাড়ি ও দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের পরিবহন পুলে অগ্নিসংযোগ করেছে হেফাজতকর্মীরা। সন্ধ্যার পর গুলিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ঢাকার অন্যান্য স্থানেও অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক বিজিবি।

উল্লেখ্য রাজধানীর মতিঝিলের চলা সমাবেশে যোগ দিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী আজ সন্ধ্যায় লালবাগ থেকে রওনা হন। কিন্তু শহীদ মিনার এলাকা থেকে তাঁকে লালবাগে ফেরত পাঠায় সরকারী বাহিনী।

বাইতুল মোকারম পশ্চিম গেইটে পুলিশের গুলিতে মারাত্নকভাবে আহত। তার চেহারাসহ সমস্ত শরীর গুলি বিদ্ধ।



উল্লেখ্য এদিকে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া সকল নেতা-কর্মীকে রাস্তায় নেমে আসার আহবান জানিয়েছেন

হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে আগত নেতা-কর্মীদের উপর নির্বিচারে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জনাব শামসুজ্জামান দুদু।

আজ এক বিবৃতিতে জনাব শামসুজ্জামান দুদু পুলিশ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন হেফাজত-এ ইসলাম এবং সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও আক্রমণ বন্ধ করার। তিনি এ ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

জনাব দুদু বলেন, “প্রথমে কেয়ার টেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন।” পরে বাকী বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান। তিনি গণতান্ত্রিক দেশে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ বন্ধ করার আহবান জানিয়ে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইতিহাসের রায় এবং জুলুম নির্যাতন করে কোন এক-নায়ক ক্ষমতায় থাকতে যেমন অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে আপনারাও ব্যর্থ হবেন।

জনাব শামসুজ্জামান দুদু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদেরকে মুসাফির হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের জন্য খাদ্য ও পানীয় সরবরাহের জন্য ঢাকাবাসীদের প্রতি আহবান জানান। জনাব দুদু বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরকে রাজপথে থাকারও আহবান জানান।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File