মাসুদ রানা, কাজী আনোয়ার হোসেন (ওরফে কাজীদা) এর এক অনবদ্য সৃষ্টি যা বাংলা সাহিত্যের পাঠক তৈরীতে রেখেছে অসামান্য ভূমিকা

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ০১ মে, ২০১৩, ১০:০৭:২৮ রাত



মাসুদ রানা:

মাসুদ রানা বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট একটি কাহিনী-চরিত্র। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংস পাহাড় প্রচ্ছদনামের প্রথম গ্রন্থটি থেকে শুরু করে সেবা প্রকাশনী থেকে মাসুদ রানা সিরিজে এই চরিত্রকে নিয়ে চার শতাধিক গুপ্তচরবৃত্তীয় কাহিনীর বই প্রকাশিত হয়েছে। সিরিজের প্রথম দুইটি বই বাদে বাকিগুলো ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বইয়ের ভাবানুবাদ বা ছায়া অবলম্বনে রচিত। মাসুদ রানার চরিত্রটিকে মূলত ইয়ান ফ্লেমিংয়ের (Ian Fleming) সৃষ্ট জেমস বন্ড (James Bond) চরিত্রটির বাঙালি সংস্করণ হিসেবে গণ্য করা হয়।

মাসুদ রানা'র প্রথম বইটি কাজী আনোয়ার হোসেনের ১০মাসের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল। তিনি ঐ সময়ে মোটরসাইকেলে তাঁর রাঙ্গামাটি ভ্রমণের কথা স্মরণ করে লেখেন উপন্যাসটি। আর ঐ কাহিনীই বাংলা সাহিত্যের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কারণ মাসুদ রানাই বাংলা সাহিত্যের প্রথম চরিত্র যা বাংলাদেশের চরিত্র হলেও একটি বৈশ্বিক চরিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

সূচিপত্র:

১ চরিত্র পরিচয়

১.১ সহায়ক চরিত্রসমূহ

২ কাহিনী সংগ্রহ

৩ ইতিহাস

৩.১ নামকরণ

৩.২ ক্রান্তিকাল

৩.৩ ভ্রান্তি

৪ বিভিন্ন মাধ্যমে মাসুদ রানা

৫ সমালোচনা

৬ বইয়ের তালিকা

৭ তথ্যসূত্র

(১)চরিত্র পরিচয়:

মাসুদ রানা সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর, এবং কাল্পনিক সংস্থা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য, এবং তাঁর সাংকেতিক নাম MR-9। এছাড়া রানা এজেন্সি নামক একটি গোয়েন্দা সংস্থাও রানা পরিচালনা করে থাকে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে তথা ১৯৭১-এর আগের বইগুলোতে সংস্থাটির উল্লেখ থাকতো পি.সি.আই বা "পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স" হিসেবে।

(১.১)সহায়ক চরিত্রসমূহ:

মাসুদ রানার সহায়ক চরিত্রে প্রথমেই মেজর জেনারেল রাহাত খানের নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান। তাঁরই তত্বাবধানে রানা নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া তার কাজে সহায়তা করে থাকে সোহেল, সলিল, সোহানা, রূপা, গিলটি মিয়া প্রমুখ চরিত্রও। সাগর-সঙ্গম বইটি লিখতে গিয়ে কোনো এক বই থেকে কাছাকাছি একটা চরিত্র পেয়ে সেটাকেই কাহিনীর উপযোগী করে বসাতে গিয়ে লেখক নিজের অজান্তেই তৈরি করে ফেলেছেন গিলটি মিয়া চরিত্রটিকে। চরিত্রটির বাচনভঙ্গি তিনি তাঁর মায়ের থেকে পেয়েছেন, যিনি হুগলির মানুষ হলেও কলকাতা শহরে বড় হয়েছিলেন। তাঁরই মুখের ভাষা একটু অদলবদল করে নিয়ে বসিয়ে দিয়েছেন গিলটি মিয়ার মুখে। সিরিজের 'সোহেল' চরিত্রটি খানিকটা জেমস বন্ডের বন্ধু ফিলিক্স লেইটারের আদলে গড়া। 'সোহানা' হলো লেখকের কল্পনার বাঙালি মেয়ে।

এছাড়া মাসুদ রানার চিরশত্রুদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলো বিজ্ঞানী কবীর চৌধুরী, উ সেন প্রমুখ। 'কবীর চৌধুরী' এসেছে সেবা প্রকাশনীর কুয়াশা সিরিজের চরিত্র থেকে।

(২)কাহিনী সংগ্রহ:

মাসুদ রানার অধিকাংশ কাহিনীই বিভিন্ন বিদেশী লেখকের বই থেকে ধার করা। এলিস্ট্যার ম্যাকলীন (Alistair MacLean), রবার্ট লুডলাম (Robert Ludlum), জেমস হেডলী চেয (James Headley Chase), উইলবার স্মিথ (Wilber Smith), ক্লাইভ কাসলার(clive cussler), ফ্রেডরিক ফরসাইথ(frederick forsyth)-সহ বহু বিদেশী, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যিকের লেখা কাহিনী থেকে ধার করে মাসুদ রানার কাহিনী লেখা হয়।

কখনও কোনো বই বিদেশী কোনো একক বই থেকেই অনুবাদ করা হয়, আবার কখনও একাধিক বই মিলিয়ে লেখা হয়। যেমন: সিরিজের তৃতীয় বই স্বর্ণমৃগ লেখা হয়েছিলো ইয়ান ফ্লেমিঙের ৩টি কাহিনীর সহায়তা নিয়ে -লিভ অ্যান্ড লেট ডাই, গোল্ড ফিঙ্গার ও অন হার ম্যাজেস্টি'য সিক্রেট সার্ভিস। একাধিক বই থেকে লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে যেখানে যেমনটা দরকার একটা কাঠামো তৈরি করে নিয়ে মাসুদ রানার উপযোগী অংশটুকু বইগুলো থেকে নেয়া হয়। তবে একক বই থেকে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে এমন অনেক কাহিনীও পাওয়া যায় যেগুলো সাধারণত তেমন একটা পরিবর্তনের দরকার হয় না।

(৩)ইতিহাস:

১৯৬০-এর দশকে কাজী আনোয়ার হোসেনের কুয়াশা সিরিজ চলছিলো সেবা প্রকাশনী থেকে। তখন জনৈক মাহবুব আমিনের সমালোচনায় তিনি থ্রিলার সিরিজ সম্বন্ধে বৈশ্বিক একটা ধারণা লাভ করেন। মাহবুব আমিনই আনোয়ার হোসেনকে ডক্টর নো বইটি উপহার দিলে আনোয়ার হোসেন নতুন করে চিন্তা করার সুযোগ পান এবং মাহবুব আমিনের প্রেরণায় লিখতে শুরু করেন মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই ধ্বংস-পাহাড়। সেই বইটি লেখা হয়েছিলো লেখকের সেগুনবাগিচার বাসার দোতলায় বসে। বইটি লিখতে ৮-৯ মাসের মতো লেগেছিলো। লেখক, প্রথমে খসড়া একটা প্লট সাজিয়েছিলেন: 'কুয়াশা' সিরিজের আদলে, এক প্রতিভাবান বিজ্ঞানী কাপ্তাই শহরের কাছে একটা পাহাড়ের ভেতর অ্যান্টি-গ্র্যাভিটি নিয়ে গোপন গবেষণা করছিলো। কাপ্তাই বাঁধ তৈরির ফলে বিশাল লেকের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে পাহাড়টা। তাই সে সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তানের কোনো শত্রু দেশের সরবরাহ করা শক্তিশালী ডিনামাইট ফাটিয়ে উড়িয়ে দেবে বাঁধটা। আর সেটা ঠেকাবে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট মাসুদ রানা। এই প্লটকে বাস্তবসম্মত করতে লেখক স্বয়ং ঘুরে বেড়াতে শুরু করলেন চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কাপ্তাই, কক্সবাজার প্রভৃতি স্থানে। একাজেই ব্যয় দীর্ঘ একটা সময়। সমস্যা দেখা দিলো তৎকালীন বাংলাদেশে এরকম ঢঙে লেখার চল ছিল না বাংলা ভাষায়, থ্রিলার ধারণ করার উপযোগী ভাষাও শিখতে লাগলেন ঠেকে ঠেকে, প্রয়োজনেই তৈরি করে নিতে হয়েছিলো লেখকের নিজস্ব একটা ধরণ। আনোয়ার হোসেন তাই নিজের লেখায় ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না, বারবার কাটাকাটি করে পাণ্ডুলিপির চেহারাটাই বিগড়ে দিলেন। তৃতীয়বার পরিষ্কার করে আবার লিখলেন গোটা কাহিনীটাই। শেষ পর্যন্ত নিজের অসন্তুষ্টি নিয়েই ছাপার জন্য প্রেসে দিয়েছিলেন, এমনকি প্রুফ রিড করার সময়ও প্রচুর সম্পাদনা করেছিলেন লেখক। এমনকি প্রকাশিত অবস্থায় হাতে পাওয়া বইটিতেও লেখক নিজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। যদিও পাঠক ঠিকই সাদরে গ্রহণ করে নেয় মাসুদ রানাকে।

রানা'র চেহারার ক্ষেত্রে লেখক চেয়েছিলেন পাঠকই নিজেকে রানা'র জায়গায় বসিয়ে ভাবুক, তাই তিনি রানা'র চেহারার কোনো স্পষ্ট বর্ণনা দেননি। প্রথম দিককার বইগুলোতে ভারতীয় গোয়েন্দা কাহিনীর প্রভাব লেখক যে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পেরেছিলেন, তা নয়। তবে কয়েকটি বই লেখার পাশাপাশি অ্যালিস্টেয়ার ম্যাকলিন, জেমস হেডলি চেজ, ডেসমন্ড ব্যাগলি, হ্যামন্ড ইনস, ফ্রেডেরিক ফোরসাইথ, পিটার বেঞ্চলি, কেন ফোলেট, ক্লাইভ কাসলার, এডওয়ার্ড এস আরনস, কলিন ফর্বস, জেরার্ড ডি ভিলিয়ার্স, জ্যাক হিগিন্স, এ জে কুইনেল, জিওফ্রি জেনকিনস, উইলবার স্মিথ প্রমুখ বড় বড় থ্রিলার লেখকের বই পড়তে পড়তে রানার চরিত্র ক্রমেই আলাদা রূপ পেতে শুরু করে।

(৩.১)নামকরণ:

মাসুদ রানা'র নামকরণ করা হয় দুজন বাস্তব মানুষের নামের অংশ মিলিয়ে। কাজী আনোয়ার হোসেন তাঁর স্ত্রী, আধুনিক সংগীতশিল্পী ফরিদা ইয়াসমীনের সাথে পরামর্শ করে নামটি নির্বাচন করেন। এপ্রসঙ্গে স্বয়ং কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন:

“ আমাদের দুজনেরই বন্ধু স্বনামধন্য গীতিকার মাসুদ করিমের 'মাসুদ' আর আমার ছেলেবেলার হিরো (নায়ক) ইতিহাসে পড়া মেবারের রাজপুত রাজা রানা প্রতাপ সিংহ থেকে 'রানা' নিয়ে নাম হলো মাসুদ রানা। ”

(৩.২)ক্রান্তিকাল:

কখনও কখনও এমনও হয় যে, মাসুদ রানা সিরিজ বন্ধ হবার উপক্রম হয়। প্রথমবার এমনটা হয়েছিলো বাংলাদেশের স্বাধীন হবার আগে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার রানার স্বর্ণমৃগ বইটি নিষিদ্ধ (ban) করেছিলো, লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন এতে চ্যালেঞ্জ করায় গোটা সিরিজই বন্ধ করে দেওয়ার জোগাড় করেছিলেন ক্ষুব্ধ এক সরকারি কর্মকর্তা। দ্বিতীয়বার, মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন জন টেলিফোনে হুমকি দিতে শুরু করেছিলো, কেননা স্বাধীনতার আগে ভারত কেবল একটা দেশ থাকলেও যুদ্ধের সময়কার অন্যতম মিত্র দেশ ভারত, স্বাধীনতার পরে নিকটবর্তী বন্ধু দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। এতে সিরিজের প্রথম দিককার বইগুলোতে ভারতকে শত্রুপক্ষ করে সাজানো কাহিনীগুলো সাধারণ্যের রোষানলে পড়ে। তখন সেবা'র কর্ণধার বাধ্য হয়ে প্রথম দিককার কয়েকটি বই থেকে ভারতবিরোধী অংশগুলো বর্জন করে নেন, এমনকি ২টি বই পুণর্লিখনও করা হয়েছিলো। তৃতীয়বার, প্লট সংকটের কারণে আটকে গিয়েছিলো সিরিজটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর (১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে) কোনো দেশ আর বাংলাদেশের শত্রু রইল না, অথচ শত্রুদেশ ছাড়া গুপ্তচর-কাহিনী হয় না। সেটা সামাল দেয়ার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় শহরে রানা ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি খুলে গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি সিরিজটিতে গোয়েন্দা, অ্যাডভেঞ্চার, ট্রেজার-হান্ট, এমনকি বিজ্ঞানকল্প ও পিশাচ কাহিনী টেনে আনা হয়েছিলো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পশ্চিমা লেখকরা যখন শত্রু হারিয়ে দিশেহারা, উপায়ান্তর না দেখে রানা সিরিজও খাঁটি গুপ্তচরবৃত্তি থেকে সরে এসে হয়ে পড়ে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন নীতির আদলে চলতে শুরু করে।

(৩.৩)ভ্রান্তি:

মাসুদ রানা সিরিজের ক্রিমিনাল বইটি বের হওয়ার পর দেখা গেলো যে, ঐ একই কাহিনী নিয়ে আগেই বন্দী গগল নামে একটি বই বেরিয়েছিলো। এধরণের ভুল এই সিরিজে একবারই হয়েছিলো।

(৪)বিভিন্ন মাধ্যমে মাসুদ রানা:

মাসুদ রানা চরিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় মাসুদ রানা সিরিজের ‘বিস্মরণ’ অবলম্বনে, ১৯৭৩ সালে। আর ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। পরিচালনায় ছিলেন মাসুদ পারভেজ তথা পরবর্তীকালের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল রানা। তার পরিচালিত প্রথম ছবি এটি।[৭] বিশ বছরের বেশি সময় পর পরবর্তীতে লেজার ভিশনের ব্যানারে এই চলচ্চিত্রটি ডিভিডি আকারে বাজারে আসে।[৮] বাংলাদেশের টিভি নাটকের ইতিহাসে প্রথম প্যাকেজ নাটক প্রাচীর পেরিয়ে এর কাহিনী রচনা করা হয় কাজী আনোয়ার হোসেন রচিত মাসুদ রানা সিরিজের পিশাচ দ্বীপ নামক বই থেকে। কাহিনীর নাট্যরূপ প্রদান করেন আতিকুল হক চৌধুরী। ১৯৯৪ সালে প্রচারিত এই নাটকটিতে মাসুদ রানার ভূমিকায় অভিনয় করেন জনপ্রিয় মডেল তারকা নোবেল আর তার বিপরীতে সোহানার ভূমিকায় অভিনয় করেন বিপাশা হায়াত। খলনায়কের ভূমিকায় ছিলেন কে. এস. ফিরোজ।

(৫)সমালোচনা:

মাসুদ রানা সিরিজটি সাধারণ বাঙালি পাঠকের ঘরে যে একেবারে সাদরে গ্রহণ করা হয়েছে, তা কিন্তু নয়। ষাট দশকের শুরুতে মাসুদ রানা সিরিজের বইয়ে উল্লেখিত নর-নারীর বিবাহ-বহির্ভূত যৌনতাশ্রয়ী সম্পর্কের বিবরণ পাঠকসমাজকে কিছুটা হলেও থমকে দিয়েছিলো। প্রথম দিকে এমনটাই হয়েছিলো যে, 'প্রজাপতি' মার্কাওয়ালা বইগুলো পড়াই নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিলো বাঙালি সমাজে। যারা এসকল পেপারব্যাক বই পড়তো, তাদেরকেও খারাপ নজরে দেখা হতো।

মাসুদ রানা'র প্রতি নানাভাবে সমালোচনা শুরু হলে সেবা প্রকাশনী প্রথমবারের মতো বইয়ের শেষে "আলোচনা" বিভাগ চালু করে। যাতে লেখকের বক্তব্য থেকে সমালোচনাগুলোর জবাব দেয়া সম্ভব হয়। সমালোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে যেমন ছিলো কাহিনী ধার করে লেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনি ছিলো কোনো চরিত্রের মৃত্যুজনিত অতি ঠুনকো বিষয়, কেননা বইয়ের কোনো প্রিয় চরিত্রের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী করা হতো লেখককে। চরিত্রের মৃত্যুজনিত বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছিলো খোদ রানা'র মৃত্যুতে। অগ্নিপুরুষ বইটিতে মাসুদ রানা, নেপল্সের কারাদারেলি হাসপাতালে মারা যায় এবং তাকে কবর দিয়ে দেশে ফেরেন অন্য চরিত্র, মেজর জেনারেল রাহাত খান। অবশ্য পরে লেখক তা কাটিয়ে ওঠেন সামান্য একটি সুযোগ পেয়ে গিয়ে; কারণ ঐ কাহিনীর শেষাংশে রাতের আঁধারে রানার মতো দেখতে এক লোককে পুলিশের লঞ্চ থেকে গোজো দ্বীপে নামতে দেখে পাঠক হয়তো রানা মারা যায়নি মনে করে আশান্বিত হোন।

(৬)বইয়ের তালিকা

বইয়ের নাম

ধ্বংস-পাহাড় (মৌলিক রচনা)

ভরতনাট্যম (মৌলিক রচনা)

স্বর্ণমৃগ

দুঃসাহসিক (মূল: ডায়মন্ডস আর ফরএভার, ইয়ান ফ্লেমিং)

মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা

দুর্গম দুর্গ (মূল: দ্য গান্স অব নাভারন, অ্যালিস্টেয়ার ম্যাকলিন)

শত্রু ভয়ঙ্কর

সাগরসঙ্গম

রানা! সাবধান!!

বিস্মরণ (মূল: স্ট্রিক্টলি ফর ক্যাশ, জেমস হেডলি চেজ)

রত্নদ্বীপ

নীল আতঙ্ক

কায়রো

মৃত্যুপ্রহর

গুপ্তচক্র

মূল্য এক কোটি টাকা মাত্র

রাত্রি অন্ধকার

জাল

অটল সিংহাসন

মৃত্যুর ঠিকানা

ক্ষ্যাপা নর্তক

শয়তানের দূত

এখনও ষড়যন্ত্র

প্রমাণ কই?

বিপদজনক

রক্তের রঙ

অদৃশ্য শত্রু

পিশাচ দ্বীপ

বিদেশী গুপ্তচর

ব্ল্যাক স্পাইডার

গুপ্তহত্যা

তিনশত্রু

অকস্মাৎ সীমান্ত

সতর্ক শয়তান

নীলছবি

প্রবেশ নিষেধ

পাগল বৈজ্ঞানিক

এসপিওনাজ

লাল পাহাড় (মূল: ম্যাকানাস গোল্ড, উইল হেনরি)

হৃদকম্পন

প্রতিহিংসা

হংকং সম্রাট

কুউউ

বিদায় রানা

আক্রমণ

গ্রাস

স্বর্ণতরী

পপি

প্রতিদ্বন্দ্বী

জিপসী

আমিই রানা

সেই উ সেন (মূল: দ্য ডে অব দ্য জেকল, ফ্রেডেরিক ফরসাইথ)

হ্যালো, সোহানা (মূল: দ্য ডিপ, পিটার বেঞ্চলি)

আই লাভ ইউ, ম্যান (মূল: দ্য আই অব দ্য টাইগার, উইলবার স্মিথ)

সাগর কন্যা

পালাবে কোথায়

টার্গেট নাইন

বিষ নিঃশ্বাস

প্রেতাত্মা

বন্দী গগল

গুপ্তহত্যা

তিনশত্রু

জিম্মি

উদ্ধার

হামলা

প্রতিশোধ

মেজর রাহাত

লেলিনগ্রাদ

অ্যামবুশ

আরেক বরমুডা

বেনামী বন্দর

নকল রানা

রিপোর্টার

মরুযাত্রা

বন্ধু

সংকেত (মূল: দ্য কি টু রেবেকা, কেন ফলেট)

স্পর্ধা

চ্যালেঞ্জ

শত্রুপক্ষ

চারিদিকে শত্রু

অগ্নিপুরুষ (মূল: ম্যান অন ফায়ার, এ জে কুইনেল)

অন্ধকারে চিতা

মরণ কামড়

মরণ খেলা

অপহরণ

আবার সেই দুঃস্বপ্ন

বিপর্যয়

শান্তিদূত

শ্বেত সন্ত্রাস

ছদ্মবেশী

কালপ্রিট

মৃত্যু আলিঙ্গন

সময়সীমা মধ্যরাত

আবার উ সেন

বুমেরাং

কে কেন কিভাবে

মুক্ত বিহঙ্গ

কুচক্র

চাই সাম্রাজ্য

অনুপ্রবেশ

যাত্রা অশুভ

জুয়াড়ী

কালো টাকা

কোকেন সম্রাট

বিষকন্যা

সত্যবাবা

যাত্রীরা হুঁশিয়ার

অপারেশন চিতা

আক্রমণ '৮৯

অশান্ত সাগর

শ্বাপদ সংকুল

দংশন

প্রলয় সংকেত

ব্ল্যাক ম্যাজিক

তিক্ত অবকাশ

ডাবল এজেন্ট

আমি সোহানা

অগ্নিশপথ

জাপানী ফ্যানাটিক

সাক্ষাৎ শয়তান

গুপ্তঘাতক

নরপিশাচ

শত্রু বিভীষণ

অন্ধ শিকারী

দুই নম্বর

কৃষ্ণপক্ষ

কালো ছায়া

নকল বিজ্ঞানী

বড় ক্ষুধা

স্বর্ণদ্বীপ

রক্তপিপাসা

অপচ্ছায়া

ব্যর্থ মিশন

নীল দংশন

সাউদিয়া ১০৩

কালপুরুষ

নীল বজ্র

মৃত্যুর প্রতিনিধি

কালকূট

অমানিশা

সবাই চলে গেছে

অনন্ত যাত্রা

রক্তচোষা

কালো ফাইল

মাফিয়া

হীরকসম্রাট

সাত রাজার ধন

শেষ চাল

বিগব্যাঙ

অপারেশন বসনিয়া

টার্গেট বাংলাদেশ

মহাপ্রলয়

যুদ্ধবাজ

প্রিন্সেস হিয়া

মৃত্যুফাঁদ

শয়তানের ঘাঁটি

ধ্বংসের নকশা

মায়ান ট্রেজার

ঝড়ের পূর্বাভাস

আক্রান্ত দূতাবাস

জন্মভূমি

দুর্গম গিরি

মরণযাত্রা

মাদকচক্র

শকুনের ছায়া

তুরুপের তাস

কালসাপ

গুডবাই, রানা

সীমা লঙ্ঘন

রুদ্রঝড়

কান্তার মরু

কর্কটের বিষ

বোস্টন জ্বলছে

শয়তানের দোসর

নরকের ঠিকানা

অগ্নিবাণ

কুহেলি রাত

বিষাক্ত থাবা

জন্মশত্রু

মৃত্যুর হাতছানি

সেই পাগল বৈজ্ঞানিক

সার্বিয়া চক্রান্ত

দুরভিসন্ধি

কিলার কোবরা

মৃত্যুপথের যাত্রী

পালাও, রানা!

দেশপ্রেম

রক্তলালসা

বাঘের খাঁচা

সিক্রেট এজেন্ট

ভাইরাস X-99

মুক্তিপণ

চীনে সঙ্কট

গোপন শত্রু

মোসাদ চক্রান্ত

চরসদ্বীপ

বিপদসীমা

মৃত্যুবীজ

জাতগোক্ষুর

আবার ষড়যন্ত্র

অন্ধ আক্রোশ

অশুভ প্রহর

কনকতরী

স্বর্ণখনি

অপারেশন ইজরাইল

শয়তানের উপাসক

হারানো মিগ

ব্লাইন্ড মিশন

টপ সিক্রেট

মহাবিপদ সঙ্কেত

সবুজ সঙ্কেত

অপারেশন কাঞ্চনঞ্জঙ্ঘা

গহীন অরণ্য

প্রজেক্ট X-15

অন্ধকারের বন্ধু

আবার সোহানা

আরেক গডফাদার

অন্ধপ্রেম

মিশন তেল আবিব

ক্রাইম বস

সুমেরুর ডাক

ইশকাপনের টেক্কা

কালো চশমা

কালনাগিনী

বেঈমান

দুর্গে অন্তরীণ

মরুকন্যা

রেড ড্রাগন

বিষচক্র

শয়তানের দ্বীপ

মাফিয়া ডন

হারানো আটলান্টিস

মৃত্যুবাণ

কমান্ডো মিশন

শেষ হাসি

স্মাগলার

বন্দি রানা

নাটের গুরু

আসছে সাইক্লোন

সহযোদ্ধা

গুপ্ত সংকেত (মূল: দ্য দা ভিঞ্চি কোড, ড্যান ব্রাউন)

ক্রিমিনাল

বেদুঈন কন্যা

আক্রান্ত জলসীমা

দূরন্ত ঈগল

সর্পলতা

অমানুষ

অখন্ড অবসর

স্নাইপার

ক্যাসিনো আন্দামান

জলরাক্ষস

মৃত্যুশীতল স্পর্শ

স্বপ্নের ভালোবাসা

খুনের দায় (গল্প)

হ্যাকার

খুনে মাফিয়া

নিখোঁজ

বুশ পাইলট

অচেনা বন্দর

ব্ল্যাকমেইলার

অন্তর্ধান

ড্রাগলর্ড

দীপান্তর

গুপ্ত আততায়ী

বিপদে সোহানা(গল্প সংকলন)

বিপদে সোহানা

রানা সোহানা

খুনের দায়

খুনে পিশাচ

বিদেশী বৈজ্ঞানিক

চাই ঐশ্বর্য

স্বর্ণ বিপর্যয়

কিল মাস্টার

মৃত্যুর টিকেট

কুরুক্ষেত্র

ক্লাইম্বার

আগুন নিয়ে খেলা

মরুস্বর্গ

সেই কুয়াশা

টেরোরিস্ট

সর্বনাশের দূত

শুভ্র পিঞ্জর

সূর্য সৈনিক

ট্রেজার হান্টার

লাইমলাইট

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

বিষয়: বিবিধ

৩৬২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File