সমুদ্র বিজয়ের গোমর ফাঁস হল যেভাবে

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ৩০ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:০৫:৪৩ রাত



বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত ইটলসের রায় ঘোষণার পর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল বলেই ৩৮ বছরের অমীমাংসিত একটি জটিল সমস্যার সমাধান হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের মহিসোপান এলাকায় বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম অধিকার অর্জন করেছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মতো দেশবাসীকে আরেক বিজয় উপহার এনে দিতে পারবে। সে সময় ভারতের সাথে আমাদের সমুদ্রসীমার রায় হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ কতটা সত্য হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের আটটি সম্ভাবনাময় গ্যাস ব্লক মিয়ানমারের হাতে তুলে দিয়ে সমুদ্রসীমা বিজয়ের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় মেতেছে সরকার। ওই আটটি ব্লকে অন্তত ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা বাদ দিয়ে নতুন করে ব্লক চিত্র তৈরি করেছে পেট্রোবাংলা। আর এই বাদ দেয়া ব্লকেই তেল-গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নতুন চিত্র অনুযায়ী তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।

গ্যাস ব্লক সংক্রান্ত নতুন ম্যাপে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্যাস ব্লক থেকে ১৮, ২২, ২৩, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নম্বর ব্লক পুরোপুরি মিয়ানমারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১২, ১৩, ১৭ ও ২১ নম্বর ব্লক থেকে আংশিক মিয়ানমারের দখলে চলে গেছে। গত ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত বা ইটলসের রায়ে বিশাল সমুদ্রজয়ের কাহিনী সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল। তার গোমর ফাঁস হয়ে গেছে সমুদ্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের নতুন ম্যাপ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। পুরনো ও নতুন ম্যাপ বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ কথিত বিশাল অর্জনের পরিবর্তে অবিশ্বাস্য বিসর্জন দিয়ে চলছে। এর আগে দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা গভীর সমুদ্রের যেসব ব্লককে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন, তার বেশির ভাগই চলে গেছে মিয়ানমারের হাতে। মূলত এসব ব্লকেই মিয়ানমার তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান চালিয়ে আসছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১২টি ব্লকে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে পেট্রোবাংলা। এই দরপত্রকে সামনে রেখে বিশেষ তোড়জোড় শুরু করেছে এই সরকারি সংস্থাটি। জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচিত কোম্পানির সাথে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) সই করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। কিন্তু ইতোমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা এবং জাতীয় তেল-গ্যাস ও সমুদ্রবন্দর রক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠন এই চুক্তির অস্বচ্ছতার কথা জাতির কাছে তুলে ধরেছেন সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, প্রতিবাদ সভাসহ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের ৬১ হাজার ৬৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪৯ বর্গকিলোমিটার পড়েছে গভীর সমুদ্রে। অগভীর সমুদ্রের ৯ আর গভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে। সাগর ও স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ পাঁচ দফা দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এবারই একসাথে বেশিসংখ্যক ব্লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলো।

এ দিকে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় অগভীর সাগরের ১ ও ৫ এবং গভীর সমুদ্রের ৯, ১৪, ১৫, ১৯, ২০, ২৪ ও ২৫ নম্বর ব্লকের জন্য এবার দরপত্র আহ্বান করা যায়নি। এর মধ্যে ৫ নম্বর ব্লকের জন্য বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দরপত্র আহ্বান করেও শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সাথে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি করা যায়নি। ব্লকটির বড় অংশজুড়ে ভারতের দাবি থাকায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চুক্তি করা থেকে বিরত রয়েছে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত ভারত কোনো চুক্তিতে সম্মত হবে কি না, বলা যাচ্ছে না। আর যদি চুক্তি হয়ও তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা করা যাবে, তা অনিশ্চিত। শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি যতই আশাবাদ ব্যক্ত করুন না কেন, ভারত বিন্দুমাত্র দাবিও ছেড়ে দেয়ার দেশ নয়। তারা আমাদের তালপট্টি দ্বীপ ৩০ বছর ধরে গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। আমাদের কাছ থেকে ৩৮ বছর আগে বেরুবাড়ী বুঝে নিলেও আঙ্গরপোতা ও দহগ্রামের সংযোগকারী, মাত্র তিন বিঘা করিডোর চার দশকেও বুঝিয়ে দিচ্ছে না।

শেখ হাসিনার সরকার মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র চুক্তির যে ঢাকঢোল পেটাচ্ছে তাতে আমাদের অর্জন তেমন নেই। যেনতেন একটা চুক্তি করলেই হয় না। তাতে দেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা করা হয়েছে সেটাই জাতি বিবেচনা করবে।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ পাস হয়েছিল। তখন ভারত ও মিয়ানমার এর প্রতিবাদ করে। তারা আমাদের ঘোষিত উপকূলরেখা বা বেইজ লাইন মানতে রাজি হয়নি। তাদের দাবি, বাংলাদেশের বেইজ লাইন তাদের ২০ নটিক্যাল মাইল ভেতরে ঢুকে গেছে। তখন থেকেই তারা ইকুইডিসট্যান্স বা সমদূরত্ব পদ্ধতিতে লাইন টেনে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ১৯৭৪ সালে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের অর্জন ছিল ১২ নটিক্যাল মাইলের প্রতি মিয়ানমারের স্বীকৃতি। ১৯৭৪ সাল থেকে সার্বভৌম অর্থনৈতিক তৎপরতার জন্য প্রতিবেশী দুই দেশের দাবির কারণে আমরা সাগর থেকে পেয়েছি মাত্র ১৩০ নটিক্যাল মাইল অংশ। বাংলাদেশের দাবি, বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা হিসাবে ২০০ নটিক্যাল মাইল এবং মহিসোপান হিসাবে ৪৬০ নটিক্যাল মাইল। আমাদের দাবির পেছনে যুক্তি হলোÑ বাংলাদেশে প্রবাহিত বৃহৎ তিনটি নদী গঙ্গা, মেঘনা ও যমুনা এবং হিমালয় থেকে আগত প্রচুর পলিমাটি সাগরের যে অঞ্চল পর্যন্ত জমা হয়েছে তা বাংলাদেশের নিজস্ব এলাকা। ‘বেঙ্গল সি ফ্যান’ তথা এ দেশের বর্ধিষ্ণু মহিসোপান সমুদ্রের তলদেশে শ্রীলঙ্কার প্রায় কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন আদালতে বাংলাদেশের ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে ২০০ নটিক্যাল মাইল সম্প্রসারিত বা বহির্দেশীয় মহিসোপানের দাবি বাংলাদেশ উত্থাপন করে এবং প্রসঙ্গক্রমে ভারত ও মিয়ানমারের টেকটোনিক প্লেটের আপেক্ষিক অবস্থান, বদ্বীপ গঠন বা জিওমরফোলজি সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে। অবশ্য বাংলাদেশের প্রাপ্যতা এবং মিয়ানমারের সম-দূরত্বের দাবির সমন্বয়েই দুই দেশের সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। এই রায়ের ফলে ভারতের সমুদ্রসীমার দাবি আপনা-আপনি দুর্বল হয়ে যাবে, এমন ভাবা ঠিক হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চানক্যের উত্তরসূরি এবং কৌটিল্য শাস্ত্রপটু ভারত ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ণয়ের জন্য যৌথ সমীক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করা এবং সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা না করার কথাও বলেছে ভারত। কিন্তু কোনোটিই ভারত বাস্তবায়ন করেনি। তেমনিভাবে সমুদ্রসীমানার সমীক্ষাও ভারত আজ পর্যন্ত করেনি। এখন সালিস আদালতে ভারত কী কৌশল আঁটে তা দেখার বিষয়।

ইটলসের রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ যা চেয়েছিল তার চেয়ে বেশি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রায়টি বাংলাদেশের পক্ষে হয়েছে ঠিকই কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন, সেটা বাস্তবের চেয়ে অনেকটা ফাঁপিয়ে-ফুলিয়ে বলা। ইটলসের রায়ে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাংলাদেশের মহিসোপানের সমুদ্র বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এ অধিকার মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও সমান। জাতিসঙ্ঘের সমুদ্র আইন (আনকস) অনুযায়ী একটি দেশ ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সম্প্রসারিত মহিসোপানের অধিকার পেতে পারে। এ জন্য দেখাতে হয়, সংশ্লিষ্ট দেশের মহিসোপান প্রাকৃতিকভাবেই ৩৫০ নটিক্যাল মাইল বা তারও বেশি প্রলম্বিত।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব উপাত্ত বিবেচনায় নিয়ে আদালত বলেছেন, ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বহির্দেশীয় মহিসোপানের ওপর অধিকার সম-দূরত্ব ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, উভয় বিবেচনা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে। ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহিসোপানে অবশ্য ১৯৭৪ সালের জাতিসঙ্ঘের আইন অনুযায়ী বিশেষায়িত অর্থনৈতিক এলাকার ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার আদালত মেনে নিয়েছেন। এ নির্দেশনার আলোকে পেট্রোবাংলা ২০০৮ সালে তেল-গ্যাস ব্লকের যে মানচিত্র করেছে তার সাথে ইটলসের রায় মিলিয়ে দেখা গেছে, গভীর সমুদ্রের কয়েকটি ব্লক মিয়ানমার পেয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ সম্প্রসারিত মহিসোপানের সম-অধিকার পেয়েছে। ফলে এই অংশে বাংলাদেশ অনেক নতুন তেল-গ্যাস ব্লক নির্ধারণ করতে পারবে।

ভূতাত্ত্বিকদের মতে, তেল-গ্যাসে বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী, ভারতের কৃষ্ণা ও গোদাবরী নদীর বর্ধিত বেসিন গভীর সমুদ্রের ‘ধীরুভাই’ নামের ব্লকে ভারত ২৫ টিসিএফ গ্যাস পেয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ২১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস তুলছে। এ ছাড়া ভারত বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রসংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি কূপ খনন করে ছয় টিসিএফ গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। মিয়ানমার ভারতের তেল কোম্পানি দ্বারা বাংলাদেশসংলগ্ন সমুদ্রে অনুসন্ধান চালিয়ে ১০ টিসিএফ-এর মতো গ্যাস পেয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ১৯৭৪-৭৬ সালে ছয়টি বিদেশী কোম্পানি সাতটি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছিল। তখন ইউনিয়ন অয়েল নামের কোম্পানিটি কুতুবদিয়ার কাছে গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু তখনকার বিবেচনায় তা বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে না বলে তা পরিত্যাগ করে। এরপর ১৬ নম্বর ব্লকে সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে ব্রিটিশ কোম্পানি কেয়ার্ন এনার্জি। সে ক্ষেত্রটি এখন মৃতপ্রায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার সান্টোস এবং আমেরিকান কোম্পানি জেলিবাটা সেখানে নতুন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। একটি কূপে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস পেয়েছে।

তেল-গ্যাস ও অন্যান্য সমুদ্র সম্পদ (মাছ, খনিজদ্রব্য) আহরণের জন্য ইটলসের যে রায় হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে যদি আমরা তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি। ভূ-রাজনৈতিক দিক দিয়ে বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সাগরে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বার্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু কোনো শক্তির প্রতি আমাদের অনুরক্ত হওয়া উচিত নয়। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ দেখব সর্বাগ্রে। বঙ্গোপসাগর থেকে জমি উদ্ধারের অপার সম্ভাবনা আছে। গঙ্গা-যমুনা-মেঘনা নদীর হিমালয় থেকে বিধৌত পলিমাটি, বালু ও পাথর মিলে প্রতি বছর ৩.৬ বিলিয়ন টন বঙ্গোপসাগরে পড়ছে এবং নতুন ভূমির সৃষ্টি করছে। আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সমপরিমাণ জমি আমরা বঙ্গোপসাগর থেকে পেতে পারি যা আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য স্বস্তির বিষয়। একটি দেশের জাতীয় স্বার্থের সাথে অন্য দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বিনিময় করা চলে না। শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে ভারতের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে চলছে, এটাকে অভিজ্ঞ মহল মোটেই ভালো চোখে দেখছে না। সরকার ইতোমধ্যেই ভারতের সাথে বেশ কয়টি চুক্তি করেছে যা দেশের স্বার্থপরিপন্থী। ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যে মামলা হয়েছে, তা কিভাবে এই সরকার মোকাবিলা করে তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছে জনগণ।

লেখক : প্রকৌশলী এস এম ফজলে আলী , কলামিস্ট, পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ

বিষয়: বিবিধ

২৪৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File