বৈশাখী উৎসবে মঙ্গল শোভাযাত্রা, কুরআন কি বলে?
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:০৯:১০ রাত
অশুভ শক্তির প্রতীকী হিসেবে এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায়
বিশাল আকৃতির একটি সরীসৃপ ধরণের প্রাণী রাখা হবে। এই
অপশক্তির বিনাশ কামনায় বৈশাখী বরণ উৎসব উদযাপিত
হবে (খবর প্রথম আলো'র)। এ থেকে আমরা কি বুঝতে পারলাম?
অশুভ শক্তি থেকে রেহাই পেতেই এই মঙ্গল শোভাযাত্রার
আয়োজন। ঐ বিশেষ প্রাণীটি নিয়ে নারী পুরুষ
একত্রে নাচানাচি করে সেদিন সকালে কিছুদুর হাটলেই অশুভ
শক্তি এই দেশ থেকে বিনাশ হয়ে যাবে, এইতো?
হে মুসলিম, একটু চিন্তা করুন।যারা এক আল্লাহকে বিশ্বাস
করে, আল্লাহর কাছেই সব বিষয়ে সাহায্য চায়, এসব
কি তাদের আচার অনুষ্ঠান ? অবশ্যই না।
বৈশাখীর প্রথম দিনে আপনি নফল নামাজ পড়ুন, কুরআন তেলাওয়াত করুন, আল্লাহর নিকট দোয়া করুন দেশের অশুভ শক্তি দুর হওয়ার জন্য। আর এটাই মুসলমানদের অনুষ্ঠান।
শয়তান আপনাকে প্ররোচনা দিবে, বলবে এটা বাংগালীদের মিলন মেলা, আরও নানা প্রলোভন দিয়ে.......!!!!
হে মুসলমান, কুরআন ও হাদীস পড়ুন বাংলা় অনুবাদ পড়ুন,
শয়তানের সকল চক্রান্ত ফাস হয়ে গেছে ...
এগুলো শয়তানী আনন্দ এবং সে তাদের
অন্তর্ভুক্ত যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,
আমি তার জন্যে একটি শয়তান নিযুক্ত করে দেই, অতঃপর সেই
সর্বক্ষণ তার সাথী হয়ে থাকে। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।" [৪৩-৩৭]
আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন-
"যারা চায় মু’মিনদের সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক তারা দুনিয়ায় ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে৷ আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না ৷" ( সূরা আন-নূর ১৯)
আল্লাহ্ ইরশাদ করেন,
" যারা আমার আয়াত সমূহ অস্বীকার করেছে তাদের
আমি অচিরেই জাহান্নামের আগুনে পুড়িয়ে দেবো,
অতপর (পুড়ে যখন) তাদের দেহের চামড়া গলে যাবে তখন আমি তার বদলে নতুন চামড়া বানিয়ে দেবো, যাতে তারা আযাব ভোগ করতে পারে, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞ কুশলী" সূরা আন্ নেসা, আয়াত- ৫৬
তাই আসুন আমরা এসব অনুষ্ঠান বর্জন করি। আল্লাহ
আমাদেরকে ইসলামের পথে অটল থাকার তৌফিক দিন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১২০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন