কিয়ামতের ছোট বড় নিদর্শন-সম্বলিত গ্রন্থ "মহা প্রলয়" পর্ব-০৩ মূল: ড. মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আরীফী

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৩৪:০৭ রাত

আগের সংখ্যার পর

ক্ষুদ্রতম নিদর্শন-সমূহ:

প্রথম ভাগঃ যে গুলো ঘটে অতিবাহিত হয়ে গেছে-

(১) শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব

(২) নবী মুহাম্মদ সা.এর ইন্তেকাল

(৩) চন্দ্র বিদারণ ঘটনা

(৪) সাহাবা যুগের অবসান

(৫) বাইতুল মাকদিস (জেরুজালেম) বিজয়

(৬) ব্যাপক প্রাণহানি (ছাগ-ব্যাধি সদৃশ এক মহামারীতে)

(৭) একের পর এক ফেতনার আবির্ভাব

(৮) স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আবিস্কার

(৯) মুসলমানদের আভ্যন্তরীণ “সিফফীন” যুদ্ধের বাস্তব প্রতিফলন

(১০) ভ্রষ্ট খারেজী সম্প্রদায়ের আত্মপ্রকাশ

(১১) মিথ্যা নবুওয়াত দাবীদারদের আত্মপ্রকাশ

(১২) শান্তি, নিরাপত্তা এবং সচ্ছলতার জয়-জয়কার

(১৩) হেজায ভূমিতে বিশাল অগ্নি প্রকাশ

(১৪) তুর্কীদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ

(১৫) চাবুকে আঘাতকারী অত্যাচারী ব্যক্তিবর্গের আবির্ভাব

(১৬) হানাহানি, সংঘাত এবং ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ

(১৭) মানুষের হৃদয় থেকে -আমানতদারী তথা বিশ্বস্ততার বিদায়

(১৮) পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির পদাংক অনুসরণ

(১৯) দাসীর গর্ভ থেকে মনিবের জন্ম গ্রহণ

(২০) স্বল্প কাপড় পরিহিত নগ্ন মহিলাদের আত্মপ্রকাশ

(২১) সুউচ্চ বাড়ীঘর নির্মাণে -নগ্নপদ আরব্য রাখালদের প্রতিযোগিতা

(২২) ব্যক্তি-বিশেষে সালাম প্রদান

(২৩) বাণিজ্য (বিজনেস) ব্যাপক আকার ধারণ

(২৪) স্বামীর সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায় স্ত্রীর অংশগ্রহণ

(২৫) সারা বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর প্রভাব

(২৬) ব্যাপকহারে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান

(২৭) ব্যাপকহারে সত্য সাক্ষ্য গোপন

(২৮) (দ্বীন সম্পর্কে) মূর্খতা -ব্যাপক আকার ধারণ

(২৯) ব্যয়কুণ্ঠতা ও কার্পণ্যতা ব্যাপক আকার ধারণ

(৩০) ব্যাপকহারে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করণ

(৩১) প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার

(৩২) অশ্লীলতা ব্যাপক আকার ধারণ

(৩৩) বিশ্বস্তকে বিশ্বাসঘাতক এবং ঘাতককে বিশ্বস্ত জ্ঞান

(৩৪) মর্যাদাবান ব্যক্তিদের বিলুপ্তি এবং অধীনস্থতা প্রকাশ

(৩৫) সম্পদ-অর্জনে হালাল হারাম বিবেচনার বিলুপ্তি

(৩৬) যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্ঞান

(৩৭) আমানতের বস্তুকে খরচের বস্তু জ্ঞান

(৩৮) যাকাত আদায়কে জরিমানা জ্ঞান

(৩৯) আল্লাহর জ্ঞান ছেড়ে পার্থিব জ্ঞান অর্জনে মনোনিবেশ

(৪০) মায়ের অবাধ্য হয়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্টকরণ

(৪১) জন্মদাতা পিতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে বন্ধু-বান্ধবকে কাছে আনয়ন

(৪২) আল্লাহর ঘর মসজিদে উচ্চ-স্বরে হৈ হুল্লোড়

(৪৩) গোত্রীয় সম্প্রদায়ে পাপিষ্ঠদের নেতৃত্ব দান

(৪৪) জাতির নেতৃত্বে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিদের আগমন

(৪৫) আক্রমণের ভয়ে মানুষকে সম্মান দেখানো

(৪৬) মেয়েদের সাথে অবাধ মেলামেশা বৈধ জ্ঞান

(৪৭) রেশমী কাপড়ের ব্যাপক ব্যবহার

(৪৮) মদ্যপান হালাল জ্ঞান

(৪৯) গান-বাদ্য ও নর্তকীর নৃত্য বৈধ জ্ঞান

(৫০) ফেতনার আধিক্যে মানুষের মৃত্যু কামনা

(৫১) সকালে মুমিন থাকবে বিকালে কাফের হয়ে যাবে -এমন কালের আগমন

(৫২) মসজিদগুলোকে অধিক সুসজ্জিত করার প্রতিযোগিতা

(৫৩) ঘরবাড়ী -ডিজাইন এবং রকমারি কারুকার্য করণ

(৫৪) অধিক হারে আকাশ থেকে বজ্র বর্ষণ

(৫৫) ব্যাপকহারে লেখালেখি এবং পুস্তক প্রকাশ

(৫৬) বাক-জাদুতে সম্পদ উপার্জন এবং চাঁপাবাজি প্রতিযোগিতা

(৫৭) কুরআন ছেড়ে অন্যান্য গ্রন্থাদীর প্রচার প্রসার

(৫৮) জ্ঞানী এবং দ্বীনের বাহকদের অভাব এবং কুরআন পাঠকের প্রভাব

(৫৯) ছোট ও স্বল্পজ্ঞানীদের কাছে এলেম অন্বেষণ

(৬০) আকস্মিক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি

(৬১) নির্বোধ লোকদের নেতৃত্ব

(৬২) দ্রুত গতিতে সময় পার

(৬৩) বড় বিষয়ে নিচু লোকদের বাক-যুদ্ধ

(৬৪) দুনিয়ার সবচে সৌভাগ্যশীল ব্যক্তি- লুকা’ বিন লুকা’

(৬৫) মসজিদকে -যাতায়াত ও পারাপারের পথ হিসেবে ব্যবহার

(৬৬) মহরের মূল্য-বৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস

(৬৭) অশ্বের মূল্য-বৃদ্ধি অতঃপর হ্রাস

(৬৮) বাজার ও দোকানপাট নিকটবর্তী হয়ে যাওয়া

(৬৯) মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল বিধর্মী রাষ্ট্রের একক অবস্থান

(৭০) নামাযের ইমামতিতে মুসল্লীদের ধাক্কাধাক্কি।

(৭১) মুমিনের সত্য স্বপ্ন

(৭২) মিথ্যা ব্যাপক আকার ধারণ

(৭৩) পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ প্রকাশ

(৭৪) ব্যাপকহারে ভূ-কম্পন সৃষ্টি

(৭৫) নারী জাতির আধিক্য

(৭৬) পুরুষ হ্রাস

(৭৭) অশ্লীলতা ও নোংরামি ব্যাপক ও খোলাখোলি

(৭৮) কোরআন পড়ে বিনিময় গ্রহণ

(৭৯) ব্যাপকহারে মানুষের দেহে মাংসলতা ও স্থূলতা বৃদ্ধি

(৮০) কামনা ছাড়াই সাক্ষ্য দিতে রাজী -লোকদের আত্মপ্রকাশ

(৮১) মানত করে পূর্ণ করে না -ব্যক্তিদের আত্মপ্রকাশ

(৮২) সমাজের উচ্চপদস্থ লোক কর্তৃক গরিবদের মালসম্পদ কৌশলে লুট

(৮৩) আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানের বাস্তবায়ন পরিত্যাগ

(৮৪) রোমান (খৃষ্টান) আধিক্য এবং আরব (মুসলিম) হ্রাস।

দ্বিতীয় ভাগঃ যে সকল নিদর্শন এখন পর্যন্ত ঘটেনি-

(৮৫) মানুষের হাতে হাতে প্রচুর ধন-সম্পদ

(৮৬) ভূমির আভ্যন্তরীণ খনিজ সম্পদ প্রকাশ

(৮৭) রূপ-বিকৃতির ঘটনা বৃদ্ধি

(৮৮) ভূমিধ্বস

(৮৯) অপবাদ প্রবণতা বৃদ্ধি

(৯০) এমন বৃষ্টি, যা সকল জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে

(৯১) ফসলহীন বৃষ্টি (বৃষ্টি হলেও ফসলে বরকত হবে না)

(৯২) সকল আরব দেশে ছড়িয়ে যাবে -এমন ফেতনা

(৯৩) মুসলমানদের সাহায্যে বৃক্ষকুলের কথন

(৯৪) মুসলমানদের সাহায্যে পাথরের কথন

(৯৫) ইহুদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধ

(৯৬) (ইরাকের) ফুরাত নদীতে স্বর্ণের খনি উন্মোচন

(৯৭) হারামে লিপ্ত হও, নয় বিদায় হও!’

(৯৮) আরব উপদ্বীপ সবুজ শ্যামল পরিবেশ এবং নদীনালায় পূর্ণ

(৯৯) “আহলাছ”-” এর ফেতনা প্রকাশ

(১০০) “সচ্ছলতা”-র” ফেতনা প্রকাশ

(১০১) “অন্ধকার-” ফেতনার আবির্ভাব

(১০২) একটি মাত্র সেজদা সারা দুনিয়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ’তা লাভ

(১০৩) চন্দ্র-স্ফীতি

(১০৪) সকল মুসলমান শামে হিজরত করবে’ -এমন কালের আগমন

(১০৫) মুসলমান এবং রোমান (খৃষ্টান)দের মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধ

(১০৬) মুসলমানদের কনষ্ট্যান্টিনোপল (বর্তমান তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল) বিজয়। (সেনাপতি মুহাম্মদ ফাতেহ’-র নেতৃত্বে ইসলামের প্রথামিক যুগে একবার বিজয় হয়েছিল। তবে শেষ জমানায় ইমাম মাহদীর বাহিনী পূণরায় তা বিজয় করবে)

(১০৭) মীরাছ (ত্যাজ্য সম্পদ) বন্টনের সুযোগ থাকবে না

(১০৮) গণিমত (যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদ) নিয়ে আনন্দ উল্লাসের সুযোগ থাকবে না

(১০৯) তীর-তলোয়ার এবং অশ্বের যুগ পুনঃ প্রত্যাবর্তন

(১১০) বাইতুল মাকদিসের আশপাশে (জেরুজালেমে) জনবসতি বৃদ্ধি

(১১১) বিনাশের সম্মুখীন হয়ে মদীনা -বসতি ও আগন্তুক শূন্য

(১১২) মদীনা থেকে সকল কাফের-মুনাফিকের নির্বাসন

(১১৩) পর্বতমালা-র স্থানচ্যুতি

(১১৪) ‘কাহতান-’ গোত্র থেকে এক মহান মাণ্যবর ব্যক্তির আবির্ভাব

(১১৫) ‘জাহজাহ-’ নামক ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ

(১১৬) চতুষ্পদ জন্তু এবং জড়বস্তুর সাথে মানুষের বাক্যালাপ

(১১৭) লাঠির অগ্রভাগের সাথে মানুষের বাক্যালাপ

(১১৮) জুতার ফিতার সাথে মানুষের বাক্যালাপ

(১১৯) ঘরে কি হচ্ছে.. ঊরুর পেশি মানুষকে এর সংবাদ প্রদান

(১২০) কেয়ামতের পূর্বমুহূর্তে সকল মুমিনের মৃত্যু

(১২১) কাগজের পাতা এবং মানুষের অন্তর থেকে কুরআন উত্তোলন

(১২২) কাবা ঘরের দিকে (ইমাম মাহদীর বিরুদ্ধে) যুদ্ধ করতে আসা বিশাল নামধারী মুসলিম বাহিনী-র মাটির নিচে ধ্বস।

(১২৩) আল্লাহর ঘরের দিকে মানুষের হজ্ব ত্যাগ

(১২৪) কতিপয় আরব গোত্র মূর্তি পূজায় পুনঃ প্রত্যাবর্তন

(১২৫) কুরায়েশ বংশের বিলুপ্তি

(১২৬) একজন কালো হাবশী (বর্তমান ইথিউপিয়া) লোকের হাতে কাবা ঘর ধ্বংস

(১২৭) মুমিনদের রূহ ছাড়িয়ে নিতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুবাতাস প্রেরণ

(১২৮) মক্কা নগরীর ভবনগুলো আকাশ-সম উঁচু করে নির্মাণ

(১২৯) পরবর্তী মুসলমান কর্তৃক পূর্ববর্তী মুসলমানদের গালমন্দ-করণ

(১৩০) নিত্যনতুন অত্যাধুনিক যান বাহন (গাড়ী, বাস, ট্রেন, প্লেন ইত্যাদি) আবিস্কার

(১৩১) ইমাম মাহদীর আবির্ভাব।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৬৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File