নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়ার পরও জামায়াতে ইসলামী খালেদা জিয়ার সাথে জোট বাধলো কেন? এর ব্যাখা
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ তরফদার ০৯ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:০০:১১ রাত
নারী নেতৃত্ব হারাম হওয়ার পরও জামায়াতে ইসলামী খালেদা জিয়ার সাথে জোট বাধলো কেন? এ ব্যপারে ব্যাখা দেওয়া হলোঃ
১. জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সাথে জোট বেধেছে কিন্তু বিএনপিতে যোগ দেয়নি। এখান থেকেই বুঝা যাচ্ছে জামায়াত আর বিএনপি দুটি ভিন্ন দল। খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর নেত্রী নন। জামায়াতে ইসলামীর আলাদা আদর্শ এবং দলীয় কমান্ড আছে। জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ রাসূল (সাঃ) এর জীবনী।
২. জামায়াতে ইসলামী নারীকে দেশের প্রধান করেনি। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক নারীকে নেত্রী নির্বাচিত করলে এ দায় জামায়াতের নেওয়ার কথা নয়। জনগণ জামায়াতকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে রায় দেওয়ার পরও যদি জামায়াত কোন মহিলাকে রাষ্ট্রপ্রধান বা আমীর বানাতো কেবল তখনই বলা যেত যে-জামায়াত নারী নেতৃত্বের পক্ষে।
৩. সবাই হয়তো রাসূল (সাঃ) এর ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধির কথা জানেন। রাসূল (সাঃ) এর মাদানী জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় যখন মুসলমানদের শক্তিমত্তা কম ছিল তখন তিনি বিরোধী মত আদর্শ থাকা সত্বেও ইহুদীদের সাথে চুক্তি করেছিলেন মক্কার কাফেরদের মোকাবেলা করার জন্য। যেহেতু রাসূল (সাঃ) শান্তি প্রতিষ্ঠার তাগিদে ইসলামের তীব্র শত্রু হওয়া সত্বেও ইহুদীদের সাথে জোট বেঁধে ছিলেন সেহেতু বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা জামায়াতে ইসলামীর বিএনপির সাথে জোট বাধাটা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত।
৪. বাংলাদেশের বর্তমান শক্তিশালী দুটিই দল। একটা বিএনপি আর একটা আওয়ামিলীগ। ইচ্ছে করলেই আপনি একেবারে শুন্য থেকে দল বানিয়ে ইসলাম কায়েম করতে পারবেন না। শক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশীয় সিস্টেমের বাইরে চলা কঠিন, কখনও কখনও অসম্ভবও বটে। সুতরাং অপেক্ষাকৃত যার ইসলামের প্রতি টান বেশী সে হিসেবে বিএনপির সাথে জোট বাধাটা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত।
যারা এতদিন এটা নিয়ে দ্বীধায় ছিলেন আশা করি তারা আজ থেকে এ বিষয়ে শত্রুদের সদুত্তর দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন