আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন

লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ০৯:৫৩:২২ রাত



আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ভয়ে কান্নার ফজিলত সম্পর্কে বহু আলোচনা করেছেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ফরমান, এমন কোন ঈমানদার বান্দা নেই যার চক্ষু হতে সামান্য অশ্রুও বের হয়ে চেহারায় গড়িয়ে পড়রে, আর আল্লাহ পাক তার উপর দোজখের আগুন হারাম করে দিবেন না।

অন্য হাদিসে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লার ভয়ে যখন কোন ঈমানদার ব্যক্তির অন্তর কেপে উঠে, বৃক্ষের পাতার মত তার গোনাহ সমুহ ঝড়ে পড়ে।

একদা হযরত ওকবা বিন আমের রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করলেন ইয়া রসুলুল্লাহ নাজাত পাওয়ার উপায় কি ? জবাবে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ফরমালেন, নিজের জবানকে সংযত রাখ, ঘর হতে বের হয়ো না,এবং নিজের গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।

একদা হযরত আয়েশা রাঃ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে আরজ করলেন ইয়া রসুলুল্লাহ আপনার উম্মতের মধ্যে কেহ বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে কি ? জবাবে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ফরমালেন, যে ব্যক্তি নিজের গুনাহের কথা স্বরন করে ক্রন্দন করবে সে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।

অন্য হাদিসে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ফরমান,আল্লাহ পাকের নিকট দুটি ফোটার চেয়ে উত্তম অন্য কোন ফোটা নেই।একটি হচ্ছে অশ্রুফোটা যা আল্লাহর ভয়ে নির্গত হয় এবং অপরটি রক্তফোটা যা আল্লাহর পথে জিহাদ করার সময় দেহ থেকে বের হয়।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহপাক সাত ব্যক্তিকে তার ছায়া দান করবেন, তাদের মধ্যে একজন হবে সেই ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্বরন করে কাঁদে।

হযরত আবুবকর রাঃ বলেন, যে ব্যক্তি কাঁদতে পারে সে যেন কাঁদে।আর যে ব্যক্তি কাদতে পারে না সে যেন কাদার ভান করে।হযরত মোহাম্মদ বিন মুনকাদির যখন ক্রন্দন করতেন, তখন চোখের পানি চেহারা ও দাড়িতে মুছতেন। তিনি বলতেন, আমি জানতে পেরেছি যে, যে জায়গায় চোখের পানি লাগবে সেখানে দোজখের আগুন স্পর্শ করবে না।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ বলেন, তোমরা ক্রন্দন কর,যদি ক্রন্দন না আসে তবে অন্তত উহার ভান কর। তোমরা যদি এর হাকিকত অবগত হতে, তবে এমনভাবে চিৎকার করতে যে,তোমাদের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতো।

বিষয়: বিবিধ

১৪৯০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380092
২৫ নভেম্বর ২০১৬ রাত ০২:২৮
স্বপন২ লিখেছেন : ভালো লাগলো / অনেক ধন্যবাদ /
২৫ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৩৭
314618
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
380100
২৫ নভেম্বর ২০১৬ রাত ০৩:২২
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
380102
২৫ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৩৭
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
380146
২৬ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:২৭
হতভাগা লিখেছেন : সুব'হান আল্লাহ , আল'হামদুলিল্লাহ।
380204
২৭ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:৪৯
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! এতগুলো হাদীস পোস্ট করলেন কিন্তু রেফারেন্স দিলেন না কেন? হাদীস পোস্ট করার সময় রেফারেন্স দিলে আরো ভালো মাণের লেখা হতো আপনার লেখাটা। জাযাকুমুল্লাহ্
২৮ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৫:৪৩
314707
ব১কলম লিখেছেন : ধন্যবাদ, মূল লেখায় হাদিসের রেফারেন্স ও আরবী টেক্সট আছে । ব্লগ দীর্ঘ হবে মনে করে আরবী টেক্সট মুছে দেয়া হয়েছে যার সাথে রেফারেন্স ও মুছে গেছে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File