জমজম পানির অজানা তথ্য, ৪র্থ পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ১৪ অক্টোবর, ২০১৬, ০৩:৫৮:৫২ দুপুর
জমজম কুপ পূণরূদ্ধারঃ
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পিতামহ আবদুল মুত্তালিব এক রাতে স্বপ্নে দেখেন যে, একজন লোক তাকে প্রথম রাতে ‘তাইবা’, দ্বিতীয় রাতে ‘বাররা’ এবং তৃতীয় রাতে ‘মজনুনা’ খনন করার নির্দেশ দিয়ে অন্তর্হিত হয়ে গেলেন। ওইগুলো কী জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর পেলেন না। এই তিনটিই জমজম কুপের নাম। ‘তাইবা’ অর্থাৎ পবিত্র, ‘বাররা’ অর্থাৎ নেক, আর ‘মজনুনা’ অর্থাৎ সংরক্ষিত। এরপর চতুর্থ রাতে পুনরায় ওই ব্যক্তি এসে তাকে কুপ খননের নির্দেশ দিলেন। আবদুল মুত্তালিব জিজ্ঞেস করলেন জমজম কী? উত্তর এলো-‘যার পানি কখনো নিঃশেষ হয় না, যার তলদেশ পাওয়া যায় না, যা হাজীদের পানি সরবরাহ করে, রক্ত ও গোময়ের মধ্যে, শুষ্ক বক্ষধারী কাকের ঠোকরের কাছে, নামল বস্তির পার্শ্বে।’ এ নির্দেশ পেয়ে তিনি ঘুম থেকে জেগে একমাত্র পুত্র হারেসকে সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নে নির্দেশিত স্হানে গেলেন। খননকার্য শুরু করলেন। প্রথমে কুপটির সামান্য চিহ্ন পরিলক্ষিত হলো। পর্যায়ক্রমে সে সব জিনিস আবিষ্কৃত হয়, বনু জোরহাম গোত্র মক্কা থেকে চলে যাওয়ার সময় যে গুলো যমযম কূপে ফেলে গিয়েছিলো। এগুলো হলো তলোয়ার, অলংকার এবং সোনার দুটি হরিণ।
আবদুল মোত্তালেব উদ্ধারকৃত তলোয়ার দিয়ে কাবার দরোজা ঢালাই করেন।
সোনার দুটি হরিণও কাবার দরোজায় স্থাপন করেন হাজীদের যমযম কূপের পানি পান করানোর ব্যবস্থা করেন। যমযম কূপ প্রকাশিত হওয়ার পর কোরায়শরা আবদুল মোত্তালেবের সাথে ঝগড়া শুষ্প করে। তাদের দাবী, আমাদেরও খনন কাজে শরীক করতে হবে আবদুল মোত্তালেব বললেন, আমি সেটা করতে পারি না। আমাকেই এ কাজের জন্যে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, কিন্তু কোরায়শরা মানতে চাইলো না।
অবশেষে ফয়সালার জন্যে সবাই বনু স্দা গোত্রের এক জ্যোতিষী মহিলার কাছ গমন করে, কিন্তু যাওয়ার পথে তাদের পানি নিঃশেষ হয়ে গেলে আল্লাহ তায়ালা আবদুল মোত্তালিবের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করে তাকে পানির ব্যবন্থা করেন । এ বিস্ময়কর নির্দশন দেখতে পেয়ে কুরাইশরা বুঝতে পারে যে কুদরতীভাবেই যমযম কূপ খননের দায়িত্ব আবদুল মোত্তালেবকে দেয়া হয়েছে। তাই বিবাদকারী কোরাশয়রা পথ থেকেই ফিরে আসে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন