আর একটি পলাশী কি অত্যাসন্ন!

লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ২৩ জুন, ২০১৬, ০৪:২৬:৪২ রাত





আজ ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস। ২৫৬ বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ঘষেটি জগৎশেঠ মীরজাফর চক্রের ষড়যন্ত্রে পলাশীর প্রান্তরে ক্লাইবের সেনাবাহিনীর কাছে বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদদৌলার চরম ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। আর পলাশীর এই বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে প্রায় ২০০ বছরের জন্য আমাদের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়ে যায়। পরাধীনতার শিকল পরিয়ে দখলদার ইংরেজরা চালাতে থাকে মুসলিম সালতানাতের কোষাগার লুণ্ঠন, একই সাথে চালানো হয়েছে উপমহাদেশের মুসলিম শাসনের সোনালি দিনগুলোর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অপপ্রচার। ২৩ জুন এটি কোনো যুদ্ধের দিন নয়, এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দিন। কারণ যুদ্ধে পরাজিত হওয়া এক কথা আর যুদ্ধ না করেই যে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে তা ষড়যন্ত্র ও গাদ্দারীর পঙ্কিলে আটকে লাঞ্ছনার ক্রন্দন ছাড়া আর কিছু নয়। তাই পলাশী ট্রাজেডির দিনটি একাধারে শোকের আত্মোপলব্ধির ও আজাদীর শত্রুদের শনাক্ত করার দিন।

ঐতিহাসিক মেলেসন পলাশীর প্রান্তরে সংঘর্ষকে যুদ্ধ বলতে না রাজ। তার মতে, “নবাবের পক্ষে ছিল ৫০ হাজার সৈন্য আর ইংজেরদের পক্ষে মাত্র ৩ হাজার সৈন্য। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মীর জাফর, রায় দুর্লভ ও খাদেম হোসেনের অধীনে নবাব বাহিনীর একটি বিরাট অংশ পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত কোনো অংশগ্রহণই করেনি। এই কুচক্রিদের চক্রান্তে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিল।” ঐতিহাসিক ড. রমেশ চন্দ্র বলেন, “নবাব ষড়যন্ত্রকারীদের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর যদি মীর জাফরকে বন্দী করতেন, তবে অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারী ভয় পেয়ে যেতো এবং ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে পলরাশীর যুদ্ধ হতো না।

ইতিহাসবিদ মোবাশ্বের আলী তার ‘বাংলাদেশের সানে' গ্রন্থে লিখেছেন, “নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রায় লক্ষ সেনা নিয়ে ক্লাইভের স্বল্পসংখ্যক সেনার কাছে পরাজিত হয় মীর জাফরের মুনাফেকীতে। অতি ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠ রোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু বাংলার ট্রাজেডী এই যে, মীর জাফরেরা বার বার গোর থেকে উঠে আসে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচণ্ড ক্ষমতালোভী ও জাতীয়তা বিরোধী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এদেশকে কলোনী' বানাবার স্বপ্নে বিভোর। আজকেও এদের প্রেতাত্নারা বাংলাদেশকে কলোনী বানাতে চায়। কিন্তু আমরা আর কোন পলাশী দেখতে চাইনা।

কিন্তু দেখতে চাইনা বললেই কি দেখতে পাবনা? আজ বাংলার আকাশে পলাশীর দুর্যোগের ঘনঘটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । মীর জাফর, রায় দুর্লভ, জগৎ শেঠগংদের মহড়া চলছে । ১/১১ এর ঘটনা, অসাংবিধানিক 'চেয়ার টেকার' সরকারের 'বাবরাক কারমালের' ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য পছন্দের দলেক ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে 'অর্ন্তবর্তী কালীন' সরকার গঠনের পিছনে জনৈক ব্যক্তির ভূমিকাকে মীর জাফরের ভূমিকার সাথে তুলনা করা যায় । ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারীর সেনা হত্যাকাণ্ড সে মহাপরিকল্পনারই একটা অধ্যায় মাত্র । এরি ধারাবাহিকতায় তাদের 'পথের কাঁটা' দুর করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে 'যুদ্ধাপরাধী' ইসু ।

এখনও যদি দেশপ্রেমিক জনতার নিদ্রা ভঙ্গ না হয় তবে এমন সময় বেশী দুরে নয় যে, নিদ্রাবসানে আমরা দেখতে পাব' সব শেষ' । বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করছে নব্য 'মীর জাফরেরা' হয় 'কারজাইয়ের' সুরতে না হয় 'মালিকির' সুরতে অথবা 'শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র সুরতে ।২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডি দিবস। ২৫৬ বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ঘষেটি জগৎশেঠ মীরজাফর চক্রের ষড়যন্ত্রে পলাশীর প্রান্তরে ক্লাইবের সেনাবাহিনীর কাছে বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদদৌলার চরম ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। আর পলাশীর এই বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে প্রায় ২০০ বছরের জন্য আমাদের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়ে যায়। পরাধীনতার শিকল পরিয়ে দখলদার ইংরেজরা চালাতে থাকে মুসলিম সালতানাতের কোষাগার লুণ্ঠন, একই সাথে চালানো হয়েছে উপমহাদেশের মুসলিম শাসনের সোনালি দিনগুলোর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অপপ্রচার। ২৩ জুন এটি কোনো যুদ্ধের দিন নয়, এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দিন। কারণ যুদ্ধে পরাজিত হওয়া এক কথা আর যুদ্ধ না করেই যে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে তা ষড়যন্ত্র ও গাদ্দারীর পঙ্কিলে আটকে লাঞ্ছনার ক্রন্দন ছাড়া আর কিছু নয়। তাই পলাশী ট্রাজেডির দিনটি একাধারে শোকের আত্মোপলব্ধির ও আজাদীর শত্রুদের শনাক্ত করার দিন।

ঐতিহাসিক মেলেসন পলাশীর প্রান্তরে সংঘর্ষকে যুদ্ধ বলতে না রাজ। তার মতে, “নবাবের পক্ষে ছিল ৫০ হাজার সৈন্য আর ইংজেরদের পক্ষে মাত্র ৩ হাজার সৈন্য। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মীর জাফর, রায় দুর্লভ ও খাদেম হোসেনের অধীনে নবাব বাহিনীর একটি বিরাট অংশ পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত কোনো অংশগ্রহণই করেনি। এই কুচক্রিদের চক্রান্তে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিল।” ঐতিহাসিক ড. রমেশ চন্দ্র বলেন, “নবাব ষড়যন্ত্রকারীদের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর যদি মীর জাফরকে বন্দী করতেন, তবে অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারী ভয় পেয়ে যেতো এবং ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে পলরাশীর যুদ্ধ হতো না।

ইতিহাসবিদ মোবাশ্বের আলী তার ‘বাংলাদেশের সানে' গ্রন্থে লিখেছেন, “নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রায় লক্ষ সেনা নিয়ে ক্লাইভের স্বল্পসংখ্যক সেনার কাছে পরাজিত হয় মীর জাফরের মুনাফেকীতে। অতি ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠ রোগে মৃত্যু হয়। কিন্তু বাংলার ট্রাজেডী এই যে, মীর জাফরেরা বার বার গোর থেকে উঠে আসে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মীর জাফর ও ঘষেটি বেগম প্রচণ্ড ক্ষমতালোভী ও জাতীয়তা বিরোধী ছিলেন। ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের উত্তরসূরীরাও একই আচরণ অব্যাহত রেখেছে। তারা এদেশকে কলোনী' বানাবার স্বপ্নে বিভোর। আজকেও এদের প্রেতাত্নারা বাংলাদেশকে কলোনী বানাতে চায়। কিন্তু আমরা আর কোন পলাশী দেখতে চাইনা।

কিন্তু দেখতে চাইনা বললেই কি দেখতে পাবনা? আজ বাংলার আকাশে পলাশীর দুর্যোগের ঘনঘটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । মীর জাফর, রায় দুর্লভ, জগৎ শেঠগংদের মহড়া চলছে । ১/১১ এর ঘটনা, অসাংবিধানিক 'চেয়ার টেকার'সরকারের 'বাবরাক কারমালের' ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য পছন্দের দলেক ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে 'অর্ন্তবর্তী কালীন' সরকার গঠনের পিছনে জনৈক ব্যক্তির ভূমিকাকে মীর জাফরের ভূমিকার সাথে তুলনা করা যায় । ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারীর সেনা হত্যাকাণ্ড সে মহাপরিকল্পনারই একটা অধ্যায় মাত্র । এরি ধারাবাহিকতায় তাদের 'পথের কাঁটা' দুর করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে 'যুদ্ধাপরাধী' ইসু ।

এখনও যদি দেশপ্রেমিক জনতার নিদ্রা ভঙ্গ না হয় তবে এমন সময় বেশী দুরে নয় যে, নিদ্রাবসানে আমরা দেখতে পাব' সব শেষ' । বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করছে নব্য 'মীর জাফরেরা' হয় 'কারজাইয়ের' সুরতে না হয় 'মালিকির' সুরতে অথবা 'শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র সুরতে । (পূণ: প্রকাশ)

বিষয়: বিবিধ

১১৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File