ইসলামী ব্যাংককে আওয়ামীকরনের পথে আরও একধাপ এগুলো সরকার
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ০৮ জুন, ২০১৬, ০১:২৯:৪৪ দুপুর
ইসলামী ব্যাংককে আওয়ামীকরনের পথে আরও একধাপ এগুলো সরকার। সম্প্রতি ব্যাংকটিতে নতুন আরও ৯ জন পরিচালক নিয়োগ পেয়েছেন। যারা সবাই জামায়াতি আদর্শের বাইরের লোক। তাদের মধ্যে ৩ জন সরকার সমর্থিত একাধিক ব্যবসায়ী গ্রুপের প্রতিনিধি। এর আগে গত ৫ মে যে ৪ জন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তারাও জামায়াত ঘরানার বাইরের লোক।
নিয়োগ পাওয়া নতুন পরিচালকরা হলেন, মো. আবদুল মাবুদ (পিপিএম), মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর (এফসিএ), বোরহান উদ্দিন আহমেদ, ড. মো. জিল্লুর রহমান, প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, মো. সাইফুল ইসলাম (এফসিএ, এফসিএমএ), আইডিবির প্রতিনিধি ড. আরেফ সুলেমান এবং এএনএম সাঈদুল হক খান।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. আবদুল মাবুদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বতন্ত্র পরিচালক। আর প্রফেসর শহীদুল আলম, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মতিন ও সাইফুল ইসলাম শেয়ারহোল্ডার ডিরেক্টর। ড. আরেফ সুলেমান ডিরেক্টর হিসেবে পুনর্নির্বাচিত এবং এএনএম সাঈদুল হক খান ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসলামী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, গত ২ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আইবিবিএলের ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উল্লিখিত ১৩ জনের নিয়োগ অনুমোদিত হয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদে নতুন যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ব্যাংকিং খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। এ কারণে ওই ব্যাংকের জন্য এ নিয়োগ ভালোই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে শরিয়া ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সবচেয়ে বড়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটির পর্ষদে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই ছিলেন। তাদের মধ্য থেকেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নীতি নির্ধারক পদে নিয়োগ দেওয়া হতো। নির্বাহী ও নিচের পর্যায়েও ওই ঘরানার লোকবল বেশি ছিল। ফলে ব্যাংকটি পরিচালিত হতো জামায়াতের আদর্শ নিয়ে।
ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে এই ব্যাংকটির শরিয়াহ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। যাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৭ সালে জামায়াতের শীর্ষ নেতা ড. শফিকুর রহমান, মমিনুল হক পাটোয়ারীসহ জামায়াতে ইসলামীর ছয়জন নেতা ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে।
গেল কয়েক বছর ধরে জঙ্গি অর্থায়ন ছাড়াও রাজনৈতিক সহিংসতায় অর্থায়নের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে। জামায়াতমুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে ব্যাংকটিকে জাতীয়করণের প্রস্তাব ছিল বিভিন্ন মহলের। গণজাগরণমঞ্চসহ নানা প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন, তরিকতপন্থী রাজনৈতিক দলেরও দাবি ছিল-ব্যাংকটিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার। সেই সময় বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আওতাধীন প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই এই ব্যাংকের পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনয়ন, বিশেষ রাজনৈতিক দলের হীনস্বার্থ বাস্তবায়নে ব্যাংকটির ব্যবহার বন্ধ করাসহ শত ভাগ পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের শেষের দিকে ভেতরে ভেতরে জামায়াতপন্থীদের ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রদবদল করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ছাড়াও বিভিন্ন শীর্ষপদে। শুধু তাই নয়, ব্যাংক থেকে জামায়াতে ইসলামীর আর্দশের লোকদের সরিয়ে বসানো হয় সরকারের পছন্দের লোকদের। এরই অংশ হিসাবে গত ৫ মে ব্যাংকের পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ৪ জনকে। যাদের সবাই জামায়াতবিরোধী। তারা হলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা-পরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী ও এম আজিযুল হক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জনগণের আমানত সুরক্ষায় ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ অভিজ্ঞদের সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটি আরও গতিশীল হবে। আশা করা যায়, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকরা সাধারণ জনগণের আমানত রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
অবশ্য গেল কয়েক বছর আগে থেকেই সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের শীর্ষ পর্যায়ে পরিবর্তনের পক্ষে একটি বার্তা দেওয়া হয়। যার প্রভাব দেখা যায়, বেশ কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে। পরিবর্তন আনা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবু নাসের মুহাম্মদ আবদুস জাহেরের স্থানে বসানো হয় মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোস্তফা আনোয়ারকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া এই ব্যাংকটিতে বর্তমানে ১৭ জন পরিচালক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের নিয়োগ হয়েছে গেল এক মাসেরও কম সময়ে।
সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে ইসলামী ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন ৫ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে বিদায় নিতে হয়েছে গেল কয়েক মাসের মধ্যে। তারা হলেন, অধ্যাপক এন আর এম বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এ কে এম সদরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মো. আবদুস সালাম। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই ৪ জনের মেয়াদ বাড়ানো থেকে বিরত থাকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। সরকারের পছন্দের নতুন পরিচালককে বসানোর জন্য তাদের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি বলে ব্যাংক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
একইভাবে গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে জনস্বার্থ, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধে এই ব্যাংকটির ওপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নিয়ন্ত্রণের কারণে ব্যাংকের দ্বিতীয় পর্যায়ের শীর্ষ নির্বাহী উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে। এমনকি বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ডিএমডি নুরুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ওই সময়ে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও ছিল প্রথম ইসলামী ব্যাংকজামায়াতমুক্ত হওয়ার পথে আরও একধাপ এগুলো ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সম্প্রতি ব্যাংকটিতে নতুন আরও ৯ জন পরিচালক নিয়োগ পেয়েছেন। যারা সবাই জামায়াতি আদর্শের বাইরের লোক। তাদের মধ্যে ৩ জন সরকার সমর্থিত একাধিক ব্যবসায়ী গ্রুপের প্রতিনিধি। এর আগে গত ৫ মে যে ৪ জন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তারাও জামায়াত ঘরানার বাইরের লোক।
নিয়োগ পাওয়া নতুন পরিচালকরা হলেন, মো. আবদুল মাবুদ (পিপিএম), মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর (এফসিএ), বোরহান উদ্দিন আহমেদ, ড. মো. জিল্লুর রহমান, প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, মো. সাইফুল ইসলাম (এফসিএ, এফসিএমএ), আইডিবির প্রতিনিধি ড. আরেফ সুলেমান এবং এএনএম সাঈদুল হক খান।
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. আবদুল মাবুদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও ড. মো. জিল্লুর রহমান স্বতন্ত্র পরিচালক। আর প্রফেসর শহীদুল আলম, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মতিন ও সাইফুল ইসলাম শেয়ারহোল্ডার ডিরেক্টর। ড. আরেফ সুলেমান ডিরেক্টর হিসেবে পুনর্নির্বাচিত এবং এএনএম সাঈদুল হক খান ডিরেক্টর নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসলামী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, গত ২ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আইবিবিএলের ৩৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় উল্লিখিত ১৩ জনের নিয়োগ অনুমোদিত হয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদে নতুন যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ব্যাংকিং খাতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। এ কারণে ওই ব্যাংকের জন্য এ নিয়োগ ভালোই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে শরিয়া ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সবচেয়ে বড়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটির পর্ষদে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই ছিলেন। তাদের মধ্য থেকেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নীতি নির্ধারক পদে নিয়োগ দেওয়া হতো। নির্বাহী ও নিচের পর্যায়েও ওই ঘরানার লোকবল বেশি ছিল। ফলে ব্যাংকটি পরিচালিত হতো জামায়াতের আদর্শ নিয়ে।
ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে এই ব্যাংকটির শরিয়াহ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। যাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৭ সালে জামায়াতের শীর্ষ নেতা ড. শফিকুর রহমান, মমিনুল হক পাটোয়ারীসহ জামায়াতে ইসলামীর ছয়জন নেতা ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে।
গেল কয়েক বছর ধরে জঙ্গি অর্থায়ন ছাড়াও রাজনৈতিক সহিংসতায় অর্থায়নের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে। জামায়াতমুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে ব্যাংকটিকে জাতীয়করণের প্রস্তাব ছিল বিভিন্ন মহলের। গণজাগরণমঞ্চসহ নানা প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন, তরিকতপন্থী রাজনৈতিক দলেরও দাবি ছিল-ব্যাংকটিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার। সেই সময় বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আওতাধীন প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই এই ব্যাংকের পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনয়ন, বিশেষ রাজনৈতিক দলের হীনস্বার্থ বাস্তবায়নে ব্যাংকটির ব্যবহার বন্ধ করাসহ শত ভাগ পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের শেষের দিকে ভেতরে ভেতরে জামায়াতপন্থীদের ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রদবদল করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ছাড়াও বিভিন্ন শীর্ষপদে। শুধু তাই নয়, ব্যাংক থেকে জামায়াতে ইসলামীর আর্দশের লোকদের সরিয়ে বসানো হয় সরকারের পছন্দের লোকদের। এরই অংশ হিসাবে গত ৫ মে ব্যাংকের পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ৪ জনকে। যাদের সবাই জামায়াতবিরোধী। তারা হলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহা-পরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী ও এম আজিযুল হক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জনগণের আমানত সুরক্ষায় ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ অভিজ্ঞদের সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকটি আরও গতিশীল হবে। আশা করা যায়, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকরা সাধারণ জনগণের আমানত রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।
অবশ্য গেল কয়েক বছর আগে থেকেই সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের শীর্ষ পর্যায়ে পরিবর্তনের পক্ষে একটি বার্তা দেওয়া হয়। যার প্রভাব দেখা যায়, বেশ কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে। পরিবর্তন আনা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদেও। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবু নাসের মুহাম্মদ আবদুস জাহেরের স্থানে বসানো হয় মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোস্তফা আনোয়ারকে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া এই ব্যাংকটিতে বর্তমানে ১৭ জন পরিচালক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের নিয়োগ হয়েছে গেল এক মাসেরও কম সময়ে।
সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে ইসলামী ব্যাংকে স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন ৫ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে বিদায় নিতে হয়েছে গেল কয়েক মাসের মধ্যে। তারা হলেন, অধ্যাপক এন আর এম বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. এ কে এম সদরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মো. আবদুস সালাম। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই ৪ জনের মেয়াদ বাড়ানো থেকে বিরত থাকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। সরকারের পছন্দের নতুন পরিচালককে বসানোর জন্য তাদের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি বলে ব্যাংক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
একইভাবে গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে জনস্বার্থ, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধে এই ব্যাংকটির ওপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নিয়ন্ত্রণের কারণে ব্যাংকের দ্বিতীয় পর্যায়ের শীর্ষ নির্বাহী উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করে। এমনকি বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ডিএমডি নুরুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ওই সময়ে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও ছিল প্রথম ইসলামী ব্যাংক
বিষয়: বিবিধ
৯৮৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন