বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২০:২৩ রাত
বাগদাদ, খলীফা হারুনুর রশীদ বাগদাদের খলিফা ।
কাজীর দরবার । এক লক্ষ দিরহাম। দেনার দায়ে বিচার চলছে । বিচারের রায় মৃত্যুদন্ড ।
বাগদাদে বহুলুল পাগল নামে এক পাগল ছিলো। কেউ বলে পাগল কেউ বলে দরবেশ ।
খলীফা হারুনুর রশীদ সহ সভাসদদের নিয়ে রাজ সিংহাসনে আসীন । বহুলুল পাগল ছেড়া-ফাটা কাপড় পরিহিত অবস্থায় একটুকরা আঁকা ঝোকা কাগজ হাতে খলীফা হারুনুর রশীদের কাছে এসে চিৎকার করে বলছে- বেহেশত কিনবেন বেহেশত, দাম এক লক্ষ দিরহাম। । খলীফা বিরক্ত হয়ে বহুলুল পাগলকে সরিয়ে দিতে বললেন।
বহুলুল কাগজ হাতে রানী যোবায়দার কাছে একই কথা বলতে লাগল বেহেশত কিনবেন বেহেশত, দাম এক লক্ষ দিরহাম। রানী যোবায়দা গলা থেকে হীরার হার খুলে বহুলুলের হাতে দিয়ে বললেন এই নাও এক লক্ষ দিরহাম।
বহুলুল চলে গেল । এক লক্ষ দিরহামের দেনার দায় থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি খালাস পেল ।
কিছু দিন পড়ে রানী যোবায়দা ইন্তেকাল করলেন । রাতের বেলায় খলীফা হারুনুর রশীদ স্বপ্ন দেখলেন রাণী একটি সুন্দর,সুশোভিত জায়গায় বিশাল বড়ো আসনে বসে আছেন । খলীফা হারুনুর রশীদ তার কাছে যেতে চাইছেন । কিন্তু প্রহরীরা যেতে দিচ্ছনে না ।
বিছানায় এপাশ-ওপাস করতে করতে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
সকাল হতেই খলীফা হারুনুর রশীদ সভাসদদের বহুলুলকে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু বহুলুল পাগলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।অনেক খোজাঁখুজিঁর পর বহুলুল পাগলকে ধরে আনা হলো। খলীফা বহুলুল পাগল আরেকটা বেহেশত বিক্রি করতে বললেন। কিন্ত বহুলুল পাগল বললেন, "হুজুর আমায় মাফ করবেন আমার কাছে একটাই বেহেশত ছিলো যা বিক্রি হয়ে গিয়েছে । খলিফা বার বার বলার পরে বহুলুল বলল ‘হুজুর টাকায় বেহেশত পাওয়া যায়না, পাওয়া যায় সরল বিশ্বাসে । ’
বিষয়: বিবিধ
১২৮৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গল্প তো গল্পই। বাস্তবতা আল্লাহই ভালো জানেন।
এরকম মানসিকতা জামায়াতের নেতাদের মধ্যে দেখা যায় , বিশেষ করে নির্বাচনের সময় ।
আর আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন-"আমি তাদেরকে বৈরাগ্যের আদেশ করিনি"....ইসলামে বৈরাগ্যবাদ নিষেধ। ফলে এসব পাগল ,দরবেশের কোনো বেইল নেই ইসলামে। আর জান্নাতের নিশ্চয়তা যে দেয়, সে হয় বিরাট ভন্ড,নয়ত বদ্ধ উম্মাদ।
তবে এটা ঠিক যে সরল বিশ্বাসে জান্নাত পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটার ক্ষেত্র রয়েছে। বিখ্যাত সব মষিষীর নামে বহু বানোয়াট গল্প প্রচলিত রয়েছে।
তবে গল্পের মধ্যে খলিফা হারুনূর রশিদ না হয়ে অন্য কোনো অজ্ঞাত রাজা হলে এটা বেশ উপেভোগ্য গল্প হত, ধন্যবাদ
আর আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন-"আমি তাদেরকে বৈরাগ্যের আদেশ করিনি"....ইসলামে বৈরাগ্যবাদ নিষেধ। ফলে এসব পাগল ,দরবেশের কোনো বেইল নেই ইসলামে। আর জান্নাতের নিশ্চয়তা যে দেয়, সে হয় বিরাট ভন্ড,নয়ত বদ্ধ উম্মাদ।
তবে এটা ঠিক যে সরল বিশ্বাসে জান্নাত পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটার ক্ষেত্র রয়েছে। বিখ্যাত সব মষিষীর নামে বহু বানোয়াট গল্প প্রচলিত রয়েছে।
তবে গল্পের মধ্যে খলিফা হারুনূর রশিদ না হয়ে অন্য কোনো অজ্ঞাত রাজা হলে এটা বেশ উপেভোগ্য গল্প হত Happy ধন্যবাদ
আর আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন-"আমি তাদেরকে বৈরাগ্যের আদেশ করিনি"....ইসলামে বৈরাগ্যবাদ নিষেধ। ফলে এসব পাগল ,দরবেশের কোনো বেইল নেই ইসলামে। আর জান্নাতের নিশ্চয়তা যে দেয়, সে হয় বিরাট ভন্ড,নয়ত বদ্ধ উম্মাদ।
তবে এটা ঠিক যে সরল বিশ্বাসে জান্নাত পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটার ক্ষেত্র রয়েছে। বিখ্যাত সব মষিষীর নামে বহু বানোয়াট গল্প প্রচলিত রয়েছে।
তবে গল্পের মধ্যে খলিফা হারুনূর রশিদ না হয়ে অন্য কোনো অজ্ঞাত রাজা হলে এটা বেশ উপেভোগ্য গল্প হত ধন্যবাদ
কেমনে কি ?
হুম, ভালো লাগল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন