হামাসের এক নারী যোদ্ধা যেভাবে হত্যা করলো ইসরাইলী কর্ণেলকে

লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৬:৪৯:৪৪ সকাল



হামাসের এক নারী মুজাহিদার অসাধারণ হামলায় নিহত হলো ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার সহ চার ড্রাকুলার সেনা সদস্য!

হামাসের এক নারী যোদ্ধার সুকৌশলী আক্রমনে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার নিহত হয়েছে। বুধবারের এই হামলায় এই কমান্ডারের সাথে আরো তিন সেনা নিহত হয়েছে। কমান্ডারের এই হত্যার পর সারা ইসরাইলে ব্যাপক শোক নেমে এসেছে এবং ইসরাইলী সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ভীতি বেড়েছে। তবে এই নারী যোদ্ধাও শহীদ হয়েছেন।

কৌশলের বর্ণনা:

ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের অংশ হচ্ছে কিছু গোপন সিগন্যাল ও কোড নাম্বার। হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে ইসরাইলী নারী যোদ্ধা। হামাস চাপ প্রয়োগ করে এবং এই ইসরাইলী নারী যোদ্ধাকে বাধ্য করে সেই গোপন সংকেত ব্যবহার করে তার কমান্ডারকে বলে যে সে অনেক গোপনে অনেক কষ্ট করে হামাসের হাত থেকে পালিয়ে অমুক জায়গায় অপেক্ষা করছে, তাকে হেলিকপ্টারে করে যেন উদ্ধার করা হয়। তখন ওই স্থানে ইসরাইলী ওই নারী যোদ্ধার বদলে বরং হামাসের আল-কাসেম ব্রিগেডের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক নারী মুজাহিদিনকে ইসরাইলী ওই নারীযোদ্ধার পোশাক, ব্যাচ পরিয়ে রাখা হয়। ইসরাইলী ওই নারী যোদ্ধার গোপন সিগন্যাল সংকেত এবং সামরিক কোড নাম্বার সবকিছু জেনে নেন ওই ফিলিস্থিনি মুজাহিদিন বোন।

উল্লেখ্য এই বোন ইসরাইলী হিব্রু ভাষায় খুবই পারদর্শী। ইসরাইলী হেলিকপ্টার বাহিনী তাঁকে উদ্ধার করতে আসে এবং তখন এই মুজাহিদিন বোন নিজের ব্যাচ, সিক্রেট সিগন্যাল এবং কোড নাম্বার বলতে পারেন, তাতে হেলিকপ্টার বাহিনী এটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সেই নারী যোদ্ধা ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনা ক্যাম্পে।

উল্লেখ্য, হামাস আবিষ্কার করেছে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর এক ইউনিটের মানুষ অন্য ইউনিটকে চিনে শুধুমাত্র ওই কোড নাম্বার আর ব্যাচ দিয়ে। এই মুজাহিদিন বোন কৌশলের অংশ হিসেবে লোক দেখানোর জন্য ইহুদি স্টাইলে প্রার্থনাও করে সেনা ক্যাম্পে। ইসরাইলী বাহিনী বুঝতেও পারেনি যে এটা আসলে হামাসের মুজাহিদিন। ইসরাইলী বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং সম্মান ব্যাচ পরানোর জন্য তার কাছে নিয়ে আসতে বলে। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এই মুজাহিদিন বোন। যখনই তিনি কনফার্ম হন যে এইটা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার, তখনই তাঁর কাছে যে ইসরাইলী আধুনিক অস্ত্র ছিলো সেটা দিয়ে হামলা চালান, আর সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কমান্ডার। তাঁর দেহরক্ষী ৯ সৈন্য তখন গুলি চালায়, কিন্তু তাদের গুলি চালানোর পূর্বেই আরও তিন সৈন্যকে ঘায়েল করে এই ফিলিস্থিনি মুজাহিদিন বোন। আর এর পরপরই সকল ইসরাইলী সেনা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাঁকে এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

উল্লেখ্য, এই নারী মুজাহিদিন বোন আগে থেকেই জানতেন যে তিনি ওখান থেকে জীবিত ফিরে আসতে পারবেন না। যখন তিনি শেষ বিদায় দেন তাঁর স্বামীকে, যিনি হামাসের আরেকজন যোদ্ধা, তখন তিনি বলেন, "দেখা হবে জান্নাতে। আমি একটু আগে গেলাম, তুমি এসো, তোমার অপেক্ষায় তোমার এই প্রিয় স্ত্রী ওখানে অপেক্ষা করবে।" স্বামী তাঁর কপালে শেষ চুম্বন করেন আর বলেন "আল্লাহ তোমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন আর যখন আল্লাহ তোমার সাথে সাক্ষাত করে তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি আর কি চাও, তখন আল্লাহর কাছে বলো, ও আল্লাহ আমার স্বামীকে তুমি শহীদ হিসেবে কবুল কর !

হামাসের এক নারী মুজাহিদার অসাধারণ হামলায় নিহত হলো ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার সহ চার ড্রাকুলার সেনা সদস্য!

হামাসের এক নারী যোদ্ধার সুকৌশলী আক্রমনে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার নিহত হয়েছে। বুধবারের এই হামলায় এই কমান্ডারের সাথে আরো তিন সেনা নিহত হয়েছে। কমান্ডারের এই হত্যার পর সারা ইসরাইলে ব্যাপক শোক নেমে এসেছে এবং ইসরাইলী সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ভীতি বেড়েছে। তবে এই নারী যোদ্ধাও শহীদ হয়েছেন।

কৌশলের বর্ণনা:

ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণের অংশ হচ্ছে কিছু গোপন সিগন্যাল ও কোড নাম্বার। হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে ইসরাইলী নারী যোদ্ধা। হামাস চাপ প্রয়োগ করে এবং এই ইসরাইলী নারী যোদ্ধাকে বাধ্য করে সেই গোপন সংকেত ব্যবহার করে তার কমান্ডারকে বলে যে সে অনেক গোপনে অনেক কষ্ট করে হামাসের হাত থেকে পালিয়ে অমুক জায়গায় অপেক্ষা করছে, তাকে হেলিকপ্টারে করে যেন উদ্ধার করা হয়। তখন ওই স্থানে ইসরাইলী ওই নারী যোদ্ধার বদলে বরং হামাসের আল-কাসেম ব্রিগেডের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক নারী মুজাহিদিনকে ইসরাইলী ওই নারীযোদ্ধার পোশাক, ব্যাচ পরিয়ে রাখা হয়। ইসরাইলী ওই নারী যোদ্ধার গোপন সিগন্যাল সংকেত এবং সামরিক কোড নাম্বার সবকিছু জেনে নেন ওই ফিলিস্থিনি মুজাহিদিন বোন।

উল্লেখ্য এই বোন ইসরাইলী হিব্রু ভাষায় খুবই পারদর্শী। ইসরাইলী হেলিকপ্টার বাহিনী তাঁকে উদ্ধার করতে আসে এবং তখন এই মুজাহিদিন বোন নিজের ব্যাচ, সিক্রেট সিগন্যাল এবং কোড নাম্বার বলতে পারেন, তাতে হেলিকপ্টার বাহিনী এটি তাদের হারিয়ে যাওয়া সেই নারী যোদ্ধা ভেবে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনা ক্যাম্পে।

উল্লেখ্য, হামাস আবিষ্কার করেছে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর এক ইউনিটের মানুষ অন্য ইউনিটকে চিনে শুধুমাত্র ওই কোড নাম্বার আর ব্যাচ দিয়ে। এই মুজাহিদিন বোন কৌশলের অংশ হিসেবে লোক দেখানোর জন্য ইহুদি স্টাইলে প্রার্থনাও করে সেনা ক্যাম্পে। ইসরাইলী বাহিনী বুঝতেও পারেনি যে এটা আসলে হামাসের মুজাহিদিন। ইসরাইলী বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং সম্মান ব্যাচ পরানোর জন্য তার কাছে নিয়ে আসতে বলে। আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এই মুজাহিদিন বোন। যখনই তিনি কনফার্ম হন যে এইটা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দোলেভ কেদার, তখনই তাঁর কাছে যে ইসরাইলী আধুনিক অস্ত্র ছিলো সেটা দিয়ে হামলা চালান, আর সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই কমান্ডার। তাঁর দেহরক্ষী ৯ সৈন্য তখন গুলি চালায়, কিন্তু তাদের গুলি চালানোর পূর্বেই আরও তিন সৈন্যকে ঘায়েল করে এই ফিলিস্থিনি মুজাহিদিন বোন। আর এর পরপরই সকল ইসরাইলী সেনা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাঁকে এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

উল্লেখ্য, এই নারী মুজাহিদিন বোন আগে থেকেই জানতেন যে তিনি ওখান থেকে জীবিত ফিরে আসতে পারবেন না। যখন তিনি শেষ বিদায় দেন তাঁর স্বামীকে, যিনি হামাসের আরেকজন যোদ্ধা, তখন তিনি বলেন, "দেখা হবে জান্নাতে। আমি একটু আগে গেলাম, তুমি এসো, তোমার অপেক্ষায় তোমার এই প্রিয় স্ত্রী ওখানে অপেক্ষা করবে।" স্বামী তাঁর কপালে শেষ চুম্বন করেন আর বলেন "আল্লাহ তোমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন আর যখন আল্লাহ তোমার সাথে সাক্ষাত করে তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি আর কি চাও, তখন আল্লাহর কাছে বলো, ও আল্লাহ আমার স্বামীকে তুমি শহীদ হিসেবে কবুল কর !

বিষয়: বিবিধ

১১৯০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

259066
২৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৩১
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ভাল লাগলো। লেখাটা দুইবার এসেছে।
259067
২৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
মির্জা লিখেছেন : এই কাহিনী সম্ভবত বানোয়াট। এই কাহিনীর তথ্যসূত্র সম্ভবত ফেইসবুক। হামাসের বীরত্বের প্রশংসা করার জন্য মনে হয় না কাহিনী বানানোর প্রয়োজন রয়েছে। কর্ণেল দোলেভ কেদার মারা যান হামাসের যোদ্ধাদের সাথে গোলাগুলিতে, কোন কমান্ডো একশনে নয়।

https://www.middleeastmonitor.com/news/middle-east/12995-israeli-media-describes-killing-of-officer-as-a-decisive-blow
259137
২৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫৮
মামুন লিখেছেন : কাহিনী যা-ই হোক, একজন মুজাহিদিন বোনের আত্মত্যাগ মর্মকে স্পর্শ করে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো। Rose Rose
259146
২৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
হতভাগা লিখেছেন : খুব ভাল খবর । এতে আমাদের ছাত্রী সংঘের আপুরা আনুপ্রানিত হবে নিশ্চিত ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File