আপনি কি সৌন্দর্য চর্চায় ভ্রু উপড়ে ফেলেন?

লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ১৫ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৫৯:২৬ সকাল

ভ্রু উপড়ে ফেলা শরীয়ত কি বলে?।

জেনে রাখবেন, রুপ সৌন্দর্য দুই প্রকার ১. অভ্যন্তরীণ /চারিত্রিক ২. বাহ্যিক/দৈহিক। নারীর লজ্জাশীলতা তার রূপ সৌন্দর্যের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়।

রসুল (সা) বলেন, তুমি সন্দর চরিত্র ও দীর্ঘ নিরবতা অবলম্বন করো। সেই সত্তার কসম যার হতে আমার প্রাণ, সারা সৃষ্টি উক্ত দুই (অলংকারের) মত অন্য কিছু দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারে না। (সহীহুল জামে ৪০৪৮)

কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,

”আমিতো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে” (সুরা ত্বিন ৯৫/৪)

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা জানেন কিভাবে মানুষকে বানাতে হবে আর তিনি কসম করে বলেছেন যে তিনি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে বানিয়েছেন। তাই তার সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন করা উচিৎ নয়।

মানষকে উক্ত সকল জিনিসের ব্যাবস্থা করাটাই ”আহসানি তাক্বইম” বলাহয়েছে যা মানুষের জন্য দরকার।যা মহান আল্লাহ তিনটি জিনিসের কসম করার পর বলেছেন ১.ত্বীন ২.জাইতুন ৩.সিনাই পর্বত (ফাতহুল কাদির)

আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের অধীবাসী করে দেন যারা আল্লাহ ও রসুল (সা) এর আনুগত্য না করে। (তাফসির ইবনে কাসির, সুরা ত্বীন)

হাদিসে রসুল (সা) থেকে রূপ পরিবর্তন কারীর উপর লানত রয়েছে।

আলক্বামাহ (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে যে সব নারী অঙ্গ প্রত্যঙ্গে উল্‌কি আকে, যে সব নারী ভ্রু উপড়ে ফেলে এবং যেসব নারী দাত সরু করে, দাতের মাঝে ফাক করে- যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আবদুল্লাহ (রা) (ইবনু মাসউদ) লানত করেছন। উম্মু ইয়াকুব বলল: এ কেমন কথা? আবদুল্লাহ বললেন : আমি কেন তাকে লনত করব না, যাকে আল্লাহর রসুল (সা) লানত করেছেন এবং আল্লাহর কিতাবও। উম্মু ইয়াকুব বলল : আল্লাহর কসম! আমি পূর্ণ কুরআন পাঠ করেছি, কিন’ এ কথা তো কোথাও পাইনি। তিনি বললেন : আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে তবে অবশ্যই পেতে , ”ওয়ামা আতাকুমুর রসুলু ফাখুজুহু ওয়ামা নাহাকুম আনহু ফানতাহু” অর্থ: রসুল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যাথেকে নিষেধ করেন তাথেকে বিরত থাক। (সুরা হাশর ৫৯/৭)

(সহিহ আল বুখারী)

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সৌন্দর্যের জন্য উলকি আঙ্কনকারী ও উলকি গ্রহণকারী, ভ্রু উত্তলনকারী নারী এবং দাত সরু করে মাঝে ফাক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। (রাবী বলেন) আমি কেন তাকে অভিশাপ করব না, যাকে আল্লাহর রসুল (সা) অভিশাপ করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।

(সহিহ আল বুখারী)

বিষয়: বিবিধ

১২৪৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254507
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
ইমরান ভাই লিখেছেন : এ সমন্ধ্যে এখানে একটা সুন্দর লেখা আছে...Click this link
জাজাকাল্লহু খায়রান।
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৫
198389
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
254512
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : অশেষ ধন্যবাদ।ভালো লাগল।
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৫
198390
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
254513
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
কাহাফ লিখেছেন : এ বিষয়ে খেয়াল দেয়া দরকার সবার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই.....
254528
১৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : কাহাফ লিখেছেন : এ বিষয়ে খেয়াল দেয়া দরকার সবার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই.....
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৬
198391
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
254606
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
254610
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
পবিত্র লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো! জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৬
198392
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
254621
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : অন্নেক ভালো লাগলো Good Luck Good Luck যাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Good Luck Good Luck Rose Rose
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৬
198393
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
255820
১৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০৭
নাবিলা লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো।
256068
১৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০১
ব১কলম লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File