মুসলমানদের ধ্বংসের পরিকল্পনাকারী হল আমেরিকা ও বাস্তবায়ন সহযোগী হল সৌদি রাজতন্ত্র, ৫ম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ০২ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৪৭:০৫ রাত
উপসাগরীয় যুদ্ধ
১৯৯০ সালের আগস্ট মাসে ইরাকের কুয়েত আগ্রাসন এবং কুয়েতি ভূ-খন্ড দখলের প্রেক্ষিতে ইরাকী বাহিনীর হাত থেকে কুয়েতকে মুক্ত করাই ছিল এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য। পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের সূচনা ২রা আগস্ট, ১৯৯০ সালে। ১৯৯১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম নামে সমধিক পরিচিত এই যুদ্ধের সংঘটিত হয় ইরাক এবং ৩৪টি দেশের জাতিসংঘ অনুমোদিত যৌথ বাহিনীর মধ্যে। সৌদি আরব ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় ইরাক যুদ্ধে তার ভূমি ব্যবহারের সুযোগ দেয়।
এ যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ২য় স্থানে ছিল সৌদী সেনা সংখ্যা ( এক লক্ষ) । প্রয়াত সৌদী যুবরাজ সুলতানের ছেলে খালেদ ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েতের পক্ষে আরব সেনাদের নেতৃত্ব দেন ।
ইরাক যুদ্ধ
২০০৩ সালের মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইরাকে ব্যাপক গণ বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার অভিযোগে ইরাকে সামরিক অভিযান চালায়। ৯ এপ্রিল মার্কিন বাহিনী বাগদাদ দখল করে, সাদ্দাম ক্ষমতাচ্যুত হন। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে তাঁর জন্ম স্থান তিকরিত থেকে মার্কিন বাহিনী আটক করেছে। ২০০৪ সালের ৩০ জুন মার্কিন বাহিনী সাদ্দামের ক্ষমতা ইরাকের অস্থায়ী সরকারের কাছে হস্তান্তর করে। ১ জুলাই ইরাকের বিশেষ আদালত সাদ্দামের বিচার শুরু করে ২০০৬ সালে ৫ নভেম্বর ইরাকের উচ্চ আদালত চল্লিশ বারের বিচার নিয়ে মানবতা বিরোধী তত্পরতা চালানোর অভিযোগে সাদ্দামকে ফাঁসির আদেশ দেয়। ৩০ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়
১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে সৌদিআরব , ইরাক সরকার তথা সাদ্দাম হোসেন কে অস্র ছাড়াও ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করে । কিন্তু যখন ১৯৯০ সালে সাদ্দাম হোসেন কুয়েত আক্রমন করে তখন সৌদিআরব কুয়েতের পক্ষ নেয় এবং মার্কিন সেনাবাহিনী কে নিজ দেশে ঘাটি করার জন্য অনুমতি দেয়
চলবে......।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১০৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন