মুসলমানদের ধ্বংসের পরিকল্পনাকারী হল আমেরিকা ও বাস্তবায়ন সহযোগী হল সৌদি রাজতন্ত্র- ৩য় পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ০১ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৪০:৪৯ দুপুর

আফগানিস্তানঃ

১৯৭৯ সালে সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তানে প্রবেশ করে নেতা বাবরাক কারমালের নেতৃত্বে একটি পুতুল সরকার গঠন করে। সোভিয়েত আগ্রাসন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ বাহিনীকে আনুমানিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেয়- অস্ত্র-শস্ত্র সহ বিভিন্ন উপায়ে। এই প্রতিরোধ বাহিনীকে সাহায্য করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, সৌদি আরব, চীন, ইরান, ইসরায়েল (বিশেষতঃ মোসাদ) এবং আরও কিছু দেশ। সৌদি আরব এ ক্ষেত্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ।

১৩,০০০ সৈন্য হারানোর পর মিখাইল গর্বাচেভ ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের করেন । সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলে ১৯৯২ সালে দুর্বল নজিবুল্লাহ সরকারের পতন ঘটে, তবে এরপরেই আফগানিস্তানজুড়ে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা আর নৈরাজ্য। আফগান মুজাহিদিন বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়। ওই সঙ্কট মুহূর্তে মোল্লা ওমর সিঙ্গেসরে ফিরে আসেন। প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাছাত্র নিয়ে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। এ দলটিই তালেবান (ছাত্র) নামে পরিচিত। সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করা হতো আফগানিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং শরণার্থী শিবির থেকে। গৃহযুদ্ধের সময় ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলায় খুব শিগগির দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তালেবান। ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে কান্দাহার প্রদেশ এবং পরের বছর সেপ্টেম্বরে হেরাত দখল করে নেয় তালেবান। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের কার্যত প্রধান ছিলেন তিনি। তাকে বলা হতো সরকারের সর্বোচ্চ পরিষদের প্রধান। তালেবান শাসিত ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানে আমির উল মুমেনিন (বিশ্বাসীদের নেতা) বলে মানা হতো তাকে। পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও তাকে ও তার সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

মোল্লা ওমর আফগানিস্তানকে ইসলামী রাষ্ট্র ও নিজেকে আমির-উল-মুমেনিন (أمير المؤمنين, "বিশ্বাসীদের নেতা") ঘোষনা দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রমাদ গুণতে শুরু করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে সে পরবর্তী বিশ্বশক্তি হিসাবে ইসলামকে দেখতে পায় যার শুরু হয়েছিল আফগান বিপ্লবের মাধ্যমে । শুরু হয় ষড়যন্ত্র । সৌদী আরবেও ইসলামী বিপ্লব রপ্তানী হতে পারে এবং সৌদী রাজতন্ত্রের পতন হতে পারে এ আশঙ্কায় তারাও যোগ দেয় ষড়যন্ত্রে । সৌদী অর্থে গড়া সোদী নাগরিক লাদেনকে তারাই উদ্বুদ্ধ করেছিল তালেবানের নেতৃত্বে, শেষ পর্যন্ত তারা লাদেন ও তালেবানকে সন্ত্রাসী হিসাবে ঘোষণা করে । ২০০১ সালে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এবং ন্যাটো দেশগুলো কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সেদেশে তালিবান শাসনের অবসান ঘটানো হয় ।

চলবে.......

বিষয়: বিবিধ

১১৩৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

249902
০১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো লিখাটি
249903
০১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
ব১কলম লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
249913
০১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
সজল আহমেদ লিখেছেন : বর্তমান সৌদী শাসকদের মুসলমানদের নেতা না বলে মুসলমানদের মল বল্লেও চলে।


এর পরও সৌদী রাজপূত্র বলে যুদ্ধের জন্য হামাসই দায়ী !
249924
০১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
ব১কলম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
253257
১১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সত্য কথাই লিখেছেন, ধন্যবাদ!
253730
১২ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৩
ব১কলম লিখেছেন : সকলকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File