মুসলমানদের ধ্বংসের পরিকল্পনাকারী হল আমেরিকা ও বাস্তবায়ন সহযোগী হল সৌদি রাজতন্ত্র- ১ম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ৩১ জুলাই, ২০১৪, ০৯:১৩:২৩ রাত
ভূমিকাঃ সৌদী আরবের জন্ম
১ম বিশ্বযুদ্ধ কালীন উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরূদ্ধ ( অটোম্যান সাম্রাজ্য) আরবদের বিদ্রোহ কালীন সময়ে (মক্কার যুদ্ধ ১৯১৬) গোত্রীয় সংঘর্ষের পরে (মক্কার শরিফ ও বনু হাশিম গোত্র) ১৯১৯ সালে মক্কার শরিফ হুসাইন বিন আলীকে প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদিরা ক্ষমতাচ্যুত করে বৃটিশ সরকারের মদদে বাদশা আব্দুল আজিজ ইবনে সউদ সৌদী আরবের জন্ম দেন । যুদ্বে বিজয়ের পরপরই পূর্ণ সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে নুতন রাজার সাথে বৃটেন চুক্তি সম্পাদন করে। বিনিময়ে ইবনে সউদ আরবের সীমান্ত ঘেঁষে চর্তুদিকের উপকূলবর্তী বৃটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন আরব শেখতন্ত্রের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে সম্মত হন । উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে বের হয়ে সৌদী আরবের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মূলত আরব বিশ্বে ঔপনিবেশিক শক্তি পাকাপোক্তভাবে আসন গেড়ে বসে। অর্থাৎ সৌদী আরবের জন্মই যেমন উপনিবেশিক শক্তির সাথে আতাতের ফল, তেমনি আজ পর্যন্ত তাদের টিকে থাকাটাও মূলতঃ আমেরিকা-বৃটেনের স্বার্থ রক্ষার দাসখত দেওয়ারই পরিনতি ।
ভূমিকায় উক্ত কথাগুলি এ জন্য বলা হল যে, সৌদী আরবে মুসলমানদের প্রধান তীর্থ স্খন বায়তুল্লাহ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা, এর রওযা থাকায় এবং তারা নিজেদের একটা ইসলামী রাষ্ট্র দাবী করায় সউদী আরবের উপর সাধারণ মুসলমানদের একটা সহানুভূতি রয়েছে । এর পরিপ্রেক্ষিতেই দুনিয়ার কোথাও মুসলমানগণ নিগৃত হলে সেখানে সউদী আরবের একটা ভূমিকা থাকা কাংখিত বলে সাধারণ মুসলমানগণ মনে করেন কিন্তু যাদের জন্ম এবং অস্তিত্বের সাথে সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক শক্তি ওতোপ্রতভাবে জড়িত তাদের কাছ থেকে সাধারণ মুসলমানদের স্বার্থ কতটুকু আশা করা যায় তাই সহজেই অনুমেয় ।
পরবর্তীতে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘাত সৃষ্টি ও হানাহানিতে সৌদী রাজতন্ত্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব ।
চলবে..........
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুই ষড়যন্ত্রকারী। এরাই নিজ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নিরীহ নারী শিশু হত্যায় সহযোগী হয়েছে।
In addition to it, i read and listen many where aziz is sold in exchange of 5000 pound per month where his duty will be to fight aginist sharif hossain whenever british asks him to do so.
Feel free to listen this,
http://m.youtube.com/watch?v=qh9awD5KwNY
if you have doubt let me know, i could try to let you have some more reference
দেখুন ১ম বিশ্বযুদ্ধ হয় ১৯১৪-১৯১৮ সালে । আব্দ আল আজিজ ইবনে সাউদ সংক্ষেপে "ইবনে সাউদ ১৯০২ সালে তিনি কুয়েতে নির্বাসিত হন। সেখান থেকে তিনি বেদুইন বিদ্রোহ গঠন করে ও তার সফল নেতৃত্ব দিয়ে রিয়াদ পুনরায় দখল করেন। এরপর তিনি তুর্কী প্রদেশ আল হাসা বিজয় করেন ও ১৯১৫ সালে ব্রিটিশরা তাঁকে নাজদ ও হাসার আমীর হিসেবে মেনে নেয়। এরপর তিনি হুসেইন ইবনে আলির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং ১৯২৩ সালে তাঁকে পরাজিত করে আজির দখলে সফল হন। ১৯২৫ সালে তিনি মক্কা শহর জয় করেন। ১৯২৬ সালের ৮ই জানুয়ারিতে মক্কায় তিনি নিজেকে হেজাজ ও নাজদের রাজা হিসেবে প্রচার করেন। এই অঞ্চল দুটি আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল। ১৯৩২ সালে তিনি তার রাজ্যের নাম বদলে সৌদী আরব রাখেন।Click this link
মক্কার শাসক শরিফ হুসাইন যদিও বৃটিশ মদদপুষ্ট ছিলেন কিন্তু সৌদি আক্রমণ ঠেকানোর ব্যাপারে কোনো সাহায্য করেনি। বরং যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা সৌদীদের বরন করে ও তাদের সাথে চুক্তিতে হয়, এতেই বিটিশ -সৌদী ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে । Click this link
Any moment, these countries will ask soudi to leave - all of those absolute shaytan will board into a jumbo jet.
মন্তব্য করতে লগইন করুন