তাহাজ্জুদের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলাত
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৬:০৯:০৫ সন্ধ্যা
তাহাজ্জুদের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলাত
১ম পর্ব
1. তাহাজ্জুদের- অর্থ
তাহাজ্জুদ- অর্থ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়া । শরীয়াতের পরিভাষায় কিছুক্ষন নিদ্রা গিয়ে জাগ্রত হয়ে যে নামাজ পড়া হয় তাকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলে ।
2. তাহাজ্জুদের সূচনা
সর্ব প্রথম সুরা আল মুজাম্মিলের প্রথম কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে তাহাজ্জুদের সূচনা হয় -
আল্লাহ বলেন-
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ - قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلاً- نِصْفَهُ أَوِ انقُصْ مِنْهُ قَلِيلاً- أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلاً- إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلاًثَقِيلاً - إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْءاً وَأَقْوَمُ قِيلاً
অর্থ - হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে । অর্ধরাত্রি অথবা তদাপেক্ষা কিছু কম । অথবা তদাপেক্ষা বেশি এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যাস্ত ভাবে ও স্পস্টভাবে ।আমি আপনার উপর অবতীর্ন করছি গুরুত্বপূর্ণ বানী । নিশ্চয়ই রাত্রিতে জাগরন প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক ও স্পস্ট উচ্চারনের আনুকুল । (সুরা আল মুজাম্মিল ১-৬)
অনেকে মনে করেন সুরা আল মুজাম্মিলের উক্ত আয়াতের মাধ্যমে তাহাজ্জুদের নামাজ সকল মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছিল । পরবর্তি কালে সবে মেরাজের সময় ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হলে তাহাজ্জুদের নামাজ নফল হয়ে যায় ।
3. তাহাজ্জুদের নামাজ রাসুল(সঃ) এর উপর ফরজ ছিল কিনা ?
সুরা বনী ইসরাইলের ৭৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন -
وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ عَسَى أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُودًا
অর্থ- রাত্রির কিছু আংশ কোরআন আবৃত্তি সহ জাগ্রত থাকুন । এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত । আশা করা যায় আপ্নার পালনকর্তা আপনাকে মাকামে মাহমুদে পৌঁছাইবেন ।
এ আয়াতের ‘নফল’ শব্দের ব্যখ্যা করতে গিয়ে অনেকে মনে করেন ‘নফল’ মানে অতিরিক্ত । অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ রাসুল(সঃ) এর উপর অতিরিক্ত ফরজ ছিল । কারন তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদের নামাজ পরিত্যাগ করেন নাই ।
অপর কিছু লোক ‘নফল’ শব্দের স্বাভাবিক অর্থ নিয়ে বলেন নামাজ রাসুল(সঃ) এর উপর তাহাজ্জুদের নামাজ ‘নফল’ ছিল, ফরজ ছিলনা ।
4. তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত বা সময়-
বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায় রাসুল(সঃ) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য -
- কখনো অর্ধ রাত্রে উঠতেন
- কখনো অর্ধ রাত্রের কিছু আগে উঠতেন
- কখনো অর্ধ রাত্রের কিছু পরে উঠতেন
- কখনো মোরগের পয়লা ডাক শুনে উঠতেন- অর্থাৎ রাত্রিভ দুই তৃতীয়াংশের মাথায় উঠতেন ।
5. তাহাজ্জুদ কত রাকাত-
বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায় রাসুল(সঃ) তাহাজ্জুদের নামাজ ৮ রাকাত পড়তেন । তাই ৮ রাকাত পড়াই উত্তম । তবে তা জরুরী নয় । অবস্থা ও সাধ্য অনুসারে ২ থেকে ৮ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়
চলবে......
বিষয়: বিবিধ
১২৭২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন