imbdblog.com ও আমার কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ৩০ মে, ২০১৪, ০৯:৩১:৪৬ রাত
‘জামায়াতের রাজনীতির পোস্টমর্টেম ও আগামীর পথচলা’ ব্লগের উপর মন্তব্য করতে গিয়ে লিখেছিলাম
‘হাতি কাদায় পড়লে চামচকিায়ও লাথি মারে
জামায়াতের বর্তমান দুর্দিনে অনেকই অনেক কথা বলছেন ।
সব দেখে আমার মনে পড়ছে সে সময়ের কথা যখন জামায়াত আরেকটা দুর্দিনে পড়েছিল, দেশে শুরু হয়েছিল 'মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা প্রশ্ন । তখন ও শুনেছিলাম সে সব কথা যা এখন শুনতেছি । তখন ও সে সব কথাবার্তার শানে নুযুল ছিল ছাত্র শিবিরের বিভক্তি আর মরহুম আবদুল জব্বারের নেতৃত্ব নতুন জামায়তে ইসলামী গঠন ।
বর্তমান আলোচনার উদ্দেশ্য্ও কি পূর্ববত
মিডিয়ায় এমন কোন কথা আসা অনুচিত যাতে ইসলামের শত্রুরা উপকৃত হয় ।’
কথায় বলে ‘ঘরের শত্রু বিভীষন’
যারা imbdblog পরিচালনা করছেন আর যারা জামায়াত সম্পর্কে লিখছেন তাদের লেখা পড়ে মনে হচ্ছে তারা জামায়াতের একদম কাছের মানুষ । তারা কেন মিডিয়ায় এ সমস্ত কথা লিখছেন ? তারা কি জামায়াত শিবিরকে ভালবেশে এ কাজ করছের না নব্বই এর দশকের মত জামায়াত শিবিরকে খন্ডিত করার জন্য লিখছেন, অথবা বছর কয়েক আগে শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে যে ক্রাইইসস দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে বাদ পড়া ‘কাপ’ সদস্যরা এটা করছেন কিনা তা আমার জানা নেই ।
তবে তাদের লেখার মধ্য থেকে জামায়াতের নেতৃত্বের জন্য অনেক কিছু নেয়ার আছে বলে আমি মনে করি । আমি জানিনা এ সব লেখা জামায়াতের নেতারা পড়ছেন কিনা, পড়ছেন কিনা মহানগরী আমীর বা আইটির দায়িত্বে থাকা নেতৃবন্দ । জামায়াতের নেতারা যদি এগুলো পড়তেন ও এ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ নিয়ে জামায়াতকে পরিশুদ্ধ করতেন তবে খুবই ভাল হত । কিন্তু আমার ধারনা আমাকে আশাবাদী করেনা । তার কারন জামায়াতের মধ্যেও ‘তেল’ ঢুকে পড়েছে । আর যেখানে ‘তেল’ নামক পদার্থ ঢুকে, ‘সমালোচনা’ সেখান থেকে উধাও হয়ে যায় ।
আমার জানা একটি ঘটনা –
জোট সরকারের আমলে যখন জেএমবি সিরিজ বোমার বিস্ফোরন ঘটায়, দায়িত্বশীল একটি বৈঠকে একজন ভাই প্রশ্ন করলেন ’জেএমবির এ উত্থান হঠাৎ করে হয়নি, আগে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে না পারা কি জামায়াতে জন্য ব্যর্থতা নয়?’
উর্ধ্বতন দায়িত্বশীল সেদিন সে দায়িত্বশীল ভাইকে তুলোধুনা করে দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ।
জামায়াতের নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও ত্রুটি রয়েছে ।
মনে করুন জনাব ‘ক’ শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা । ছাত্রত্ব শেষে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন । জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জনাব ‘ক’ কে মহানগরীর আমীর বানাতে চান ।
তিনি বর্তমান মহানগরীর আমীরকে বলবেন ‘মনোনয়ন কোটায় তাকে ‘মজলিশে শুরার’ সদস্য করতে।
পরের টার্মে জনাব ‘ক’ স্বাভাবিক ভাবে নির্বাচিত ‘মজলিশে শুরার’ সদস্য হবেন ।
এবার মহানগরীর আমীর তাকে ‘ সহকারী সেক্রেটারী’ মনোনীত করবেন ।
এভাবে কয়েক টার্মে জনাব ‘ক’ সেক্রেটারী বা নায়েবে আমীর হিসাবে তায়িত্ব পালন করবেন আর এবার মহানগরীর আমীর তাকে বিভিন্ন ভাবে দায়িত্ব দিয়ে হাইলাইটেড করতে থাকবেন । এক পর্যায়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মহানগরীর আমীরকে কেন্দ্রে স্থানান্তর দেখিয়ে নির্বাচন দিলে জনাব ‘ক’ মহানগরীর আমীর হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আসবেন ।
এ ফর্মুলা ব্যবহার করে জামায়াতের প্রতিটি স্তরেই পছন্দণীয় ব্যক্তিকে উঠিয়ে আনা হয় ।
বিষয়: রাজনীতি
২৫৭৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি যেমন এখানে আপনার মতামত ব্যক্ত করেছেন , এই রকম আইএমবিডিতে ও লোকজন করে। আইএম বিডিকে একটি রিসার্সমূলক ব্লগ বানানোর জন্যই একটু অন্য এঙ্গেলের পোস্ট ঐখানে পোস্ট করা হয়
আপনি যেমন এখানে আপনার মতামত ব্যক্ত করেছেন , এই রকম আইএমবিডিতে ও লোকজন করে। আইএম বিডিকে একটি রিসার্সমূলক ব্লগ বানানোর জন্যই একটু অন্য এঙ্গেলের পোস্ট ঐখানে পোস্ট করা হয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন