আগুন! আগুন!!

লিখেছেন লিখেছেন ব১কলম ২৩ মে, ২০১৪, ০৯:৪৬:১৬ সকাল

কেমন হয় যদি ঘুমন্ত অবস্থায় কেহ আপনার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় আর আপনি আগুনে দগ্ধ হন.................





আমাদের অনেক ভাই আছেন যাদের সকালে ফজরের জামায়াতে পাওয়া যায়না । জিজ্ঞেস করলে বলে ভাই ঘুমিয়ে ছিলাম, টের পাইনি--------, ভাই রাতে যে গরম, ঘুমাতে পারিনি শেষ রাতে একটু ঘুম আসছিল-------------, ভাই ছোট ছেলেটা রাতে বড্ড জালাতন করেছে, ঘুমাতে পারিনি শেষ রাতে একটু ঘুম -------------- ইত্যাদি ---ইত্যাদি------।

তাদের সকলের কাছে আমার সবিনয় প্রশ্ন, মনে করুন উপরোক্ত কোন কারণে বা তার চেয়েও কোন গুরুতর কারণে আপনি রাতে ঘুমাতে পারেননি বা জটিল কোন কারণে পর পর কয়েক রাত পর্যন্ত আপনি ঘুমুতে পারেননি । আজ রাতের শেষ ভাগে একটু ঘুমাবার সুযোগ পেলেন । এমন সময় বাইর থেকে আপনি চি‌তকার শুনতে পেলেন আগুন! আগুন!! আপনার ঘরে আগুন লেগেছে । এ অবস্থায় আপনি কি করবেন ? আপনি কি বলবেন ধুর ছাই, সারা রাত একটু ঘুমাতে পারিনি, একটি ঘুমিয়ে নেই, আগুন পরে নিভাব ?

যদি তা করে তবে আমার কোন কথা নেই। আর যদি বলেন, দুনিয়াতে এমন কোন পাগলও নেই যে এ অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকতে পারে, তবে আমার একটু কথা আছে ।

দুনিয়ার মানুষের আগুন! আগুন!! শুনে যদি আপনি আর ঘুমিয়ে থাকতে প্রস্তুত না থাকেন তবে আল্লাহ্‌র রাসুল (স) এর আগুন লাগানোর ঘোষনা শুনে আপনি কেমনে ফজরের সালাতের সময় মসজিদে না গিয়ে ঘুমিয়ে থাকবে????

حدثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ، ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا، ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيَؤُمَّ النَّاسَ، ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَرْقًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ ‏"‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! আমার ইচ্ছা হয়, জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দেই, তারপর সালাত (নামায/নামাজ) কায়েমের নির্দেশ দেই, এরপর সালাত (নামায/নামাজ)-এর আযান দেওয়া হোক, তারপর এক ব্যাক্তিকে লোকদের ইমামতি করার নির্দেশ দেই। এরপর আমি লোকদের কাছে যাই এবং তাদের (যারা সালাত (নামায/নামাজ) শামিল হয় নাই) ঘর জ্বালিয়ে দেই। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! যদি তাদের কেউ জানত যে, একটি গোশতহীন মোটা হাঁড় বা ছাগলের ভালো দুটি পা পাবে তাহলে অবশ্যই সে ইশার জামা’য়াতে হাযির হত।

তায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ করে বলছি, আমি ইচ্ছা করেছি যে, আমি কিছু জ্বালানি কাঠ আনতে আদেশ করব, তা সংগ্রহ হলে সালাতের আদেশ করব। তারপর তার জন্য আযান দেয়া হবে। পরে এক ব্যক্তিকে আদেশ করব সে লোকের ইমামতি করবে। আর আমি লোকদের পেছন থেকে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেব (যারা জামাআতে আসে না)। যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! যদি তাদের কেউ জানত যে, একখানা মাংসাল হাড় অথবা দুই টূকরা বকরীর সুন্দর খুর পাবে, তাহলে তারা ইশার সালাতে অবশ্যই উপস্থিত হতো।

বিষয়: বিবিধ

৯৬৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

225000
২৩ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
এনামুল হক মানিক লিখেছেন : জামায়াতে নামাজ পড়া অত্যন্ত জরুরী।
225293
২৪ মে ২০১৪ সকাল ০৭:০৫
ব১কলম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File