পহেলা বৈশাখের কিছু লুল ব্যবসার আইডিয়া
লিখেছেন লিখেছেন আজরাঈল আমি ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৪৮:১০ দুপুর
পহেলা বৈশাখ
উপলক্ষে নুতন নুতন
লুল বিজনেস
করা সম্ভব। কারন
আমরা খুবই লুল প্রিয়
জাতি। তাই আসুন
কিছু লুল ব্যবসার
আইডিয়া দেইঃ
১.. ওয়ানটাইম
শাড়ি লুঙ্গি পান্জাবি উত্পাদন
করিয়া বিক্রয়
করা যাইবে।
কারনে পহেলা বৈশাখের
দিনই বেশির ভাগ
পুলামাইয়া শাড়ি পান্জাবি পড়ে কিন্তু
সারা বছর আর খবর
থাকে না। তাই সস্তায়
একবার ব্যবহার যোগ্য
পরিধেয় বস্ত্র
বাজারে অনেক ভাল
চলবে এতে কুনো সন্ধেহ
নাই।
২.. এত দাম
দিয়া বাংলার লুল
জনগন একদিনের
জইন্যে শাড়ি পান্জাবি খরিদ
করিবে এটা খুবই
দুস্কের বিষয়। তাই
শাড়ি ও
পান্জাবি ভাড়া দেবার
ব্যবস্থা করা যায়।
কিছু জামানতের
বিনিময়ে ঘন্টা কিংবা দিন
হিসেবে উহা ভাড়া দেওয়া সম্ভব।
৩.. কাপড় রঙ করার
ব্যবসা নেয়া যাইতে পারে।
কোন ললনার নানীর
সাদা শাড়ি থাকিতে পারে কিংবা কোন
যুবকের দাদার
সাদা পান্জাবী থাকিতে পারে।
উহাকে বৈশাখের
রঙে রাঙাইয়া ভাল
ব্যবসা করা সম্ভব।
৪.. পাশের বাড়ির
ছখিনার বাপে ঘুষখোড়
তাই সে এই আগুন
লাগা বাড়ারে ৬হাজার
টেকা দিয়া ইলিশ মত্স
কিনিতে পারে আর
তাহা পুরো এলাকা জুড়িয়া প্রচার
করে ছখিনার মা।
এতে জরিনার মায়ের
সংসারে আগুন
লাগে যেহেতু তার
স্বামী সত্। তাই এই
সত্ পরিবার রক্ষার
জন্যে ইলিশ মাছ
ভাড়ার
ব্যবস্থা করা যায়।
জরিনার বাবা ইলিশ
মাছ
ঘন্টা হিসেবে ভাড়া আনিবে আর
মা পুরো এলাকার
মানুষকে দাওয়াত
দিয়া দেখাইবে।
দেখানো শেষ হইলেই
মাছ
অতি গোপনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের
কাছে হস্তান্তর
হইবে।
৫.. মাছের আঁশ
এবং কাটা ফরমালিন
দিয়া সংরক্ষন
করিয়া বিক্রয়
করা যাইবে। ইহা খরিদ
করিয়া যাহারা মাছ
কিনিতে পারে নাই
তাহারা অন্তত
পাড়া প্রতিবেশীকে দেখাইতে পারিবে যে আমরাও
ইলিশ মত্স
খেয়েছি আর ইহাই
তাহার সেম্পল।
৬.. বডি স্প্রের নুতন
নুতন ফ্লেভারের মত
ইলিশ মত্স
ভাজা ফ্লেবারও
আবিষ্কার
করিয়া বোতলজাত
করিয়া বিক্রয়
করা যাইবে। এর
ফলে পহেলা বৈশাখে তাহারা উহা ঘরে স্প্রে করিলে মাছ
ভাজার মোহনীয় সুবাস
ছড়াইয়া যাইবে আর
এতে গৃত কর্তির
সম্মান পাশের বাসার
ভাবীদের নিকট
বৃদ্ধি পাইবে।
৭.. বাংলাদেশে এমন
অনেক পরিবার
আছে যাহারা পান্তা ভাত
সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই
তাদেরকে পান্তা ভাত
তৈরি ও সংরক্ষন
বিষয়ে প্রশিক্ষন
কর্মশালা খোলা সম্ভব।
৮.. পান্তাভাত তৈরিও
একটা শিল্প। কিন্তু
কেউ
যদি তাহা করিতে ব্যর্থ্য
হয় তখন
জরুরী ভিত্তিতে তাহাদের
গৃহে পিত্জা ডেলিভারির
মত পান্তাভাত
ডেলিভারির
ব্যবস্থা করার
ব্যবসা করা যায়।
এতে ভালই লাভ হইবে।
৯.. বঙ্গদ্যাশে বহু লুল
পুলামাইয়া আছে যাহারা বছরে কুনো দিন
পিয়াজ মরিচের নামও
লয় নাই। কিন্তু
বাঙালীয়ানা দেখাইতে গিয়া ভুলেও
যদি ঐদিন
খাইয়া ফালায় আর
তাইলে যদি আগ্নেওগিরির
লাভা উদগিরন শুরু
অইয়া যায়
তাহলে তাহাদের জন্য
ফায়ার ব্রিগেডের মত
পেয়াজ মরিচ ব্রিগেড
গঠন করা যাইতে পারে।
যাহারা গিয়া ঐ সব লুল
পোলামাইয়ারে যথেষ্ট
পরিমান চিনি গুড়ের
মাধ্যমে লাভা উদগিরন
বন্ধ
করিবে এতে ভালই
ব্যবসা অইবে। আর
বিপদগ্রস্থ মা বাবারও
বড়ই উপকার হইপে।
১০.. সবচাইতে নিরাপদ
ব্যবসা অইবে ঝোপ
জঙ্গল পাহারা।
বৈশাখের দিন কপত
কপতিরা যখন ঝোপের
আড়ালে প্রেমে মত্ত
থাকিবে তখন তাহাদের
কাছে আপনি ঝোপের
পাহারাদার
হিসেবে কাজ
করিতে পারেন।
ঘন্টা হিসেবে কর্মরত
থাকিলে ভালই ইনকাম
করিবেন।
আপনি বাঁশি নিয়া দাড়াইয়া থাকিবেন
বিপদ আসিলেই
সিটি মারিবেন আর
ইনজয় করিবেন কপত
কপোতিদের অলেম্পিক
রেস।
জায়গা খালি আবার
আরেক যুগলের
কাছে ভাড়া দেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন