স্বাধীনতার সুখ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ উদ্দিন চৌধুরী ২৭ মার্চ, ২০১৩, ০৭:০৫:৪৬ সন্ধ্যা
স্বাধীনতার সুখ
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১ অনেক ত্যাগ -তিতিক্কা এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা আমাদের বহু কাংক্ষিত স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৪১ বছর পরে ও আমার প্রশ্ন আসলে কি আমরা স্বাধীন ? স্বাধীনতার প্রকৃত সুখ আমরা কি পেয়েছি ?ক্ষুধা,দারিদ্রতা,হানাহানি,ধংস্রাত্রক রাজনীতি,সন্ত্রাসবাদ,জ্ঞানপাপী,আমলা,চামচা,দুর্নীতির হাত থেকে আমরা কি স্বাধীন হতে পেরেছি ? আমার মনে হয় আমরা
পারিনি ? স্বাধীনতার ৪১ বছর পর ও আমরা এখন ও নির্ধারণ করতে পারিনি আসলে কে আমাদের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ? নোংরা রাজনীতির স্বাের্থর জন্য আমরা জেনে বুঝে ও স্বীকার করিনা কে প্রকৃত ঘোষক ? যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তারা নিজেদের মত করে ঘোষক বানায় । এবং জাতীয় পাঠ্য বইযে চাপায়। এবং কমল মতি শিশুরা পড়ে আর জানে । আবার পাঁচ বছর পরে নতুন ঘোষকের জন্ম নেয় । জ্ঞানপাপী এবং দেশবিরুধী রাজনীতিবিদদের প্রতি আমার প্রশ্ন দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানার অধিকার আছে কি ? কখন আপনারা আমাদের ইতিহাস জানার সুযোগ দিবেন ? প্রতি নিয়ত আমাদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন । ছাত্র রাজনীতি নামের বিষ দিয়ে দেশের মেধাবী ছাত্রদের শেষ করে দিচ্ছেন ।যেখানে আমাদের মতো গরিব দেশে একটি ছেলে পড়ালেখা শেষে পরিবারের দায়িত্ত নেবে বাবা মাকে একটু সুখ দেবে সেখানে খাতা কলমের বদলে তুলে দিচ্ছেন রাইফেল বা মারনাস্ত্র যার ফলে তারা হল দখল মারামরি ,চাদাবাজি ,খুনাখুনি ,সব করছে । আপনাদের ছাত্র রাজনীতির বিষে আসক্ত কিছু ছাত্রের জন্য বাকি সব সাধারণ ছাত্রের ছাত্র জীবন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ এবং মেধাবী ছাত্ররা অকালে প্রাণ হারাচ্ছে । এ নিয়ে আপনাদের কোন চিন্তা করার সময় বা প্রয়োজন কোনটাই নেই কারণ আপানদের ছেলেমেয়েত আর সেখানে পরেনা তারা পড়ে আপনার দুর্নীতির টাকায় বিদেশে । মরতেছেতো সাধারণ মানুষের সন্তান যাদের জীবনের কোন মূল্যই আপনাদের কাছে নেই । মৃত ছাত্রকে আপনাদের কর্মী বানিয়ে ব্যক্তিগত স্বাের্থর জন্য জাতীয় স্বার্থ বিরুধী হরতালের মত ক্ষতিকর জগন্য কর্মসূচি দিয়ে গরু ছাগলের মত মানুষ হত্যা করেন এবং জাতীয় অর্থনীতির চাকা অচল করে নোংরা রাজনীতির সুর্য উদয় করে আমাদের জাতীয় জীবনের সুর্য ডুবিয়ে দিচ্ছেন রাজপথে ,মাঠে ,প্রান্তরে,ঘরে বাইরে সবখানে কিন্তু একবার ও কি ভেবে দেখেছেন আপনাদের চিন্তার সাথে সাধারণ মানুষের জীবনের প্রয়োজনের কোন সম্পর্ক আছে কিনা ? কিংবা একজন শ্রমজীবী মানুষ দিন মুজুরের সংসার কিভাবে চলে ? কিভাবে তাদের ক্ষুধার জালা মিটে ? তাহলে রাজনীতি কার জন্য ?একবার ভেবে দেখুন please ? আপনাদের প্রতি সবিনয়ে আমার প্রশ্ন একজন নাগরিক হয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টানে পড়ালেখা করার অধিকার আমাদের আছে কিনা ?একজন দিনমুজুর হিসেবে দিনবর পরিশ্রম করে দুই বেলা খেয়ে বেচে থাকার অধিকার আছে কি ?আপনাদের আদরের সোনার ছেলেরা চাদাবাজি ,দখলবাজি ,অপহরন, টেন্ডারবাজি যাবতীয় কুকর্ম করে আপনারা তাদের বাহাবা দেন টাকা ভাগের জন্য । সরকারি এমন কোন প্রতিষ্টান নেই যেখানে আপনারা টেন্ডারবাজি করেন না এবং প্রতিষ্টানকে কোন নিয়ম নীতির অনুসারে চলতে দেন না । প্রতিটি কাজ আপনারা বাধাগ্রস্ত করেন এবং খেয়াল খুশি মত চালান । প্রতিটি সরকারি অফিসে সেবা দেয়ার পরিবর্তে বসিয়ে রেখেছেন জনগণ থেকে সেবা নেওয়ার জন্য কিছু চামচা । কোন কার্মাসংস্তানের সুযোগ থাকলে নিয়োগ দেন আপনাদের কোন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে । কিন্তু কেন ? কে আপনাদের এই অধিকার দিয়েছে ? সাধারণ জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাই জনসেবা করার জন্য আপনারা তেমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন করেন এবং জেতেন পরে করেন উল্টো । নির্বাচনের সময় আপনারা হাজার মিথ্যা কথা বলেন যেন মনে হয় আপনারা জাতীয় মিথ্যাবাদী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে এবং বিজয়ী হতেই হবে । যদি এমন কোন সুযোগ থাকত আপনাদের কথার ওপর tax আরোপ করার তাহলে taxer টাকায় বিেশ্ব খুব দ্রত ধনী দেশে পরিনত হত ।আসলে রাজনীতি নামক ব্যবসায় রাজনীতিক দলগুলু হচ্ছে আপনাদের ব্যবসার লাইসেন্স আর সাধারণ মানুষ হচ্ছে পণ্য ,রাজনীতির মাঠ হচ্ছে বাজার যেখানে আপনারা মানুষকে কেনাবেচা করেন ।
ব্যবসায় শুধু আপনাদের ভাগ্যের পরিবতন হয় কিন্তু হয় না সাধারণ মানুষের । কোন সাধারণ মানুষের আচারণ আপনাদের মন মত নাহলে তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন । নির্যাতিত মানুষ যদি আদালতের সাহায্য প্রার্থনা করে তাহলেতা জীবন নিয়ে টানাটানি । কারণ আদালত শুধু আপনাদের সেবার জন্য ।আর বিচার প্রার্থী সারা জীবনের জন্য জেলে । কিন্তু কেন ? তাহলে কোথায় আমাদের ন্যায়বিচার পাবার অধিকার ? কোথায় আমার নূনতম বেচে থাকার অধিকার ? দেশের মানুষ আপনাদের কাছে বেশি কিছু চায়না ,চাহিদা ও খুব কম শুধু কোনরকমে বেচে থাকা অপরদিকে আপনাদের চাহিদা আকাশ চুয়া তাই আপনারা সাদা পাঞ্জাবি ,কালো কোট,দামী ব্লেজার টাই পরে জাতীয় সম্পদ লুন্টন দুর্নীতি bank জালিয়াতি করে গরিবের টাকায় আলিশান বাড়ি নিয়ে অভিজাত এলাকায় থাকেন । দেশের ধনী মানুষদের দিকে তাকালে বুঝা যায় এবং দেখা যায় সবাই রাজনীতিবিদ ,জ্ঞানপাপী,আমলা,চামচা,ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ ,সন্ত্রাসীর godfather , দুর্নীতিবাজ ও ঋণখেলাপি । আর সাধারণ মানুষ কেমন তা আপনারা ভালো করে আপনারা জানেন । আদালতে বা দুর্নীতি দমন কমিশনে দুর্নীতি মামলায় কোন রিক্সা চালক ,কৃষক , দিনমুজুর কিংবা সাধারণ মানুষের নামে মনে হয় কোন দুর্নীতি মামলা নেই । শুদু মাত্র আপনারা কয়েকটি গোষ্টির জন্য সারা বিশ্বের কাছে দেশের সব মানুষ দুর্নীতিবাজ । কিন্তু কেন ? আপনাদের দুর্নীতির টাকায় ছেলেমেয়েরা উচ্ছৃঙ্খল ও বেপরোয়া জীবন যাপন করে সমাজকে করেছে নীতিবিবর্জিত ভারসাম্যহীন ও মাধাকাসক্তা । মাদক ছাড়িয়া দিয়েছে সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে । আপনাদের জীবন যাপন দেখে বুঝা যাই সৃষ্টিকর্তা যেন স্বাধীনতার সব সুখ আপনাদের দিলে দিয়েছেন । এই জন্যই কি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা জীবন দিয়েছিল ? মা বোনরা ইজ্জত দিয়েছিল ? তারা বলিদান করেছিল একটি পতাকা ,মাতৃভাষা ও স্বাধীন দেশের জন্য । সব আমরা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতার ৪১ বছর পর ও কযেকটি গোষ্টি ,পরিবারের কাছে আজ ও পরাধীন । মুক্তি যোদ্ধারা এখন ও বিনা চিকিৎসায় মারা যাই এবং দারিদ্রতার কারণে সমাজচুত । স্বাধীনতার ৪১ বছর পরে ও জাতীয় রাজনীতির যে অবস্তা তাতে মনে হয়না ভবিষ্যতে কোন গুনগত পরিবর্তন আসবে যদি আসত তাহলে ফখরুদ্দিন সরকারের সময় জাতীয় রাজনীতি যে একটা জাতীয় ধাক্কা খেয়েছিল তখন আসত ।তবে ফখরুদ্দিন সাহেব একটা কাজ আমাদের জন্য করে দিয়ে গেছেন আগে আমরা জানতাম আপনারা দুর্নীতি করেন তা অনুমান নির্ভর ফখরুদ্দিন সাহেবের কল্যাণে আমরা ১০০ % সঠিক তথ্য জানি ।আপনাদের বিচার বুদ্দি ,বিশ্লেষণ ক্ষমতা অনেক ভাল সমস্যা এক জায়গায় দেশ যদি ঠিক হয়ে যাই তাহলে আপনাদের ব্যবসা বন্দ হয়ে যাবে যে কারণে দেশের কাজে ব্যবহার করেন না ।বাক্তি জীবনে আপনারা অনেক সফল ।অনেক পেয়েছেন এবার দেশের মানুষের কথা একটু দয়া করে ভাবুন । কিছু করুন please । মানুষ হাত তুলে আল্লাহের দরবারে আপনাদের জন্য দোয়া করবে এবং মাফ করে দিবে । অন্তত সন্দুর ভাবে বেচে থাকার আধিকারটুকু দেন please । চিন্তা করুন সবার জন্য । আপনাদের সীমাবদ্ধতা থাকলে ও অন্তারিকথার জন্য সৃষ্টিকর্তার রহমত পাবেন এবং সফল হবেন । আমার সোনার বাংলার সব মানুষ ভাল থাকুক শান্তিতে থাক এটাই আমার স্বাধীনতার সুখ ।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন