র-এর এজেন্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর... (বাংলাদেশে কজন আছে আল্লাহই জানেন)
লিখেছেন লিখেছেন ববি_জি ০৩ মে, ২০১৫, ০৭:৫৫:৪৪ সন্ধ্যা
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড আনালাইসিস উইং বা র-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন এক মেজর। তার আসল নাম রবীন্দ্র কৌশিক। কিন্তু পাকিস্তানে তিনি নবি আহমদ শাকির নামে পরিচিত ছিলেন।
ধরা পড়ার পর তিনি পাকিস্তানের কারাগারে সাজাভোগ করা অবস্থায় মারা যান। তার কাহিনীর ওপর ভিত্তি করেই বলিউডের চাঞ্চল্যকর ছবি ‘এক থা টাইগার’ নির্মিত হয় বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
ভারতের রাজস্থানের গঙ্গানগরে ১৯৫২ সালের ১১ এপ্রিল জন্ম হয় রবীন্দ্র কৌশিকের। প্রথম জীবনে থিয়েটার অভিনেতা হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। ২১ বছর বয়সে অংশ নেন লক্ষ্ণৌতে আয়োজিত জাতীয় ড্রামা সামিটে। এখান থেকেই গোটা জীবনটা অন্য দিকে মোড় নেয় রবীন্দ্র কৌশিকের।
এই নাট্য সম্মেলনেই তার ওপর দৃষ্টি পড়ে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা র-এর কর্মকর্তাদের। তার অভিনয় ক্ষমতা দেখে গুপ্তচর হিসেবে রবীন্দ্র কৌশিককে পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় র। র-এর এজেন্ট হিসেবে নিয়োজিত হন কৌশিক। দিল্লিতে দুই বছরের প্রশিক্ষণের পর ২৩ বছর বয়সে পাকিস্তানে পা রাখেন তিনি। প্রশিক্ষণকালে তাকে মুসলমানি দেয়া হয়।
এখানে নতুন নাম হয় নবি আহমদ শাকির। করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করে তিনি যোগ দেন পাকিস্তানি সেনা বাহিনীতে। দক্ষতা ও কর্মক্ষমতার গুণে সহজেই উঠে সেনা বাহিনীর ওপরের স্তরে। রাজস্থানের নাট্যাভিনেতা রবীন্দ্র কৌশিক হয়ে ওঠেন পাক সেনাবাহিনীর মেজর নবি আহমেদ শাকির। বিয়েও করেন আমানত নামে স্থানীয় এক নারীকে। পাশাপাশি নিঃশব্দে চলতে থাকে র-এর কাজ।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩-এর মধ্যে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোপন খবর ভারতে পাঠান তিনি। র তার নাম দেয় ব্ল্যাক টাইগার। বেশ কয়েকবার তার পাঠানো খবরের জেরেই পাক সেনার হামলার পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছে ভারত। কিন্তু ১৯৮৩-এর শেষের দিকে নেমে আসে বিপর্যয়।
ইনায়েত মাসিহা নামে একজনকে কৌশিকের সাথে দেখা করতে পাকিস্তানে পাঠায় র। কিন্তু ধরা পড়ে যায় সে। মাসিহাকে জেরা করেই রবীন্দ্র কৌশিকের আসল পরিচয় জানতে পারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
১৯৮৩-এর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হন কৌশিক। শিয়ালকোটের জেলে দুই বছর থাকার পর ৮৫ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে তা খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে পাক সুপ্রিম কোর্ট। শিয়ালকোট ছাড়াও কোট লাখপত ও মিনারওয়ালি জেলে ১৬ বছর কাটান তিনি। মুলতানের জেলে ২০০১-এর ২১ নভেম্বর মৃত্যু হয় তার।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু বলার নাই!!
সম্ভবত ১৯৯৪ সালে একজন মেজর কে হাতেনাতে জরুরি দলিল সহ গ্রেফতার করা হয় এবং সামরিক আদালতে তার সাজা হয়। কিন্তু বর্তমানে তিনি বিশিষ্ট চেতনা বুদ্ধিজিবি!!
alihshan.net অথবা , https://m.facebook.com/mori.sokhi/posts/824332570976964
মন্তব্য করতে লগইন করুন